১৫-১৭ বছর বয়সীদের ভোটার করা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী নাগরিকদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ১৫-১৭ বছর বয়সীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে এ কমিশনের একটি “বদ মতলব” রয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন দলের এই বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের পেছনে ভবিষ্যতে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জালিয়াতি করার একটি নীলনকশা থাকতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
নির্বাচন কমিশনকে ‘আজ্ঞাবহ’ ও ‘দুষ্টের শিরোমণি’ আখ্যা দিয়ে রিপন বলেন, ‘অনতিবিলম্বে এই ব্যর্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার সহযোগী কমিশনাররা সংবিধান বিরোধী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকায় তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত।’
রিপন অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের একটি রুটিন কাজ হলেও বর্তমান কমিশন ভোটার তথ্য হালনাগাদের কাজটি অতীতেও সুষ্ঠুভাবে করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
রিপন বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টরাল সিস্টেম এর নিরীক্ষা অনুযায়ী ২০০৮ সালে আট কোটি ১০ লাখ ৫৮ ভোটার ছিল। তখন পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি ছিল। এই সংখ্যা ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ জন। কিন্তু এরপর প্রতিবার ভোটার তথ্য হালনাগাদ করতে গিয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা ক্রমে কমছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
গত ২৫ জুলাই থেকে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা শুরু হয়েছে। গত ২ জুলাই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এবার ১৫ বছর বয়সী বা তদূর্ধ্বদের, অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বা তার বেশি হবে, তাদের নামও নিবন্ধন করা হবে। তবে তারা ২০১৮ সালের আগে ভোটারযোগ্য হবে না।

No comments

Powered by Blogger.