সোনাকাটা ইকোপার্কে ২৬ দিন ধরে খাবার সরবরাহ বন্ধ, নিস্তেজ বন্য প্রাণীরা
বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইকোপার্কে ২৬ দিন ধরে বন্য প্রাণীদের
খাবার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছে এরা। বনের মধ্যে
সারা দিন ঘোরাঘুরি করেও এখন আর কোনো খাবার পাচ্ছে না প্রাণীগুলো।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁদের সহযোগিতায় বনরক্ষীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সামান্য খাবার সরবরাহ করে প্রাণীগুলোর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় এদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ ও যথাসময়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না দেওয়াতেই এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে এ সংকটের মধ্যে গত মাসের শেষ দিকে পার্কের কুমির প্রজননকেন্দ্রের কুমির ‘সখিনা’ ২৫-৩০টি ডিম পেড়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘ইকো-টুরিজমের সুযোগ বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সখিনা অরণ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে সোনাকাটা ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করে। পার্কে ১২টি হরিণ, তিনটি মেছোবাঘ, দুটি কুমির, শতাধিক বানর, দুটি শজারু, ২৫টি শূকরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী রয়েছে।
স্থানীয় বন কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন কুমিরের খাবারের জন্য ১ দশমিক ২৫ ও মেছোবাঘের জন্য পাঁচ কেজি মুরগির মাংস, হরিণের জন্য ২৫ কেজি মিষ্টিকুমড়া ও আলু, শূকরের জন্য ৬৩ কেজি ভাত, কুড়া, ডালের ভুসি ও কচু দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এতে দৈনিক ব্যয় হয় প্রায় ২৫০০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত ঠিকাদার তা সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু গত জুনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না করায় চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে এ প্রাণীদের কোনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ও বনরক্ষীরা জানান, পার্কে আসা দর্শনার্থী ও তাঁদের উদ্যোগে প্রাণীগুলোকে বর্তমানে কিছু খাবার দেওয়া হলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। ফলে এই প্রাণীরা আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে নিস্তেজ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত জুনে এ পার্কের কুমির প্রজননকেন্দ্রে এবারই প্রথম স্ত্রী কুমির সখিনা ডিম দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সখিনার এখন বেশি খাবার প্রয়োজন। কেননা, সে বেশির ভাগ সময়ই ডিমে তা দেওয়া ও সেগুলো পাহারার কাজে ডিমের কাছাকাছি থাকে। এ জন্য প্রাকৃতিক উৎস থেকে সে খাবার নিতে পারছে না। সোনাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মাসে ইকোপার্কটির প্রাণীদের খাবারের জন্য সরকার কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। ২৬ দিন ধরে স্থানীয়ভাবে সামান্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সরবরাহ করা এ খাবার বন্ধ হয়ে গেলে প্রাণীগুলো মারা যাবে।
টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনের সখিনা বিট কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার জানান, জুলাই মাসের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তাঁরা সামান্য খাবার সরবরাহ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে এদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার বলেন, ‘জুন মাসে বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার পর বরাদ্দ পেতে দুই-তিন মাস সময় লাগে। বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় খাবার সরবরাহ করতে বলেছি। তবে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হচ্ছে।’
স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁদের সহযোগিতায় বনরক্ষীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সামান্য খাবার সরবরাহ করে প্রাণীগুলোর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় এদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ ও যথাসময়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না দেওয়াতেই এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে এ সংকটের মধ্যে গত মাসের শেষ দিকে পার্কের কুমির প্রজননকেন্দ্রের কুমির ‘সখিনা’ ২৫-৩০টি ডিম পেড়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘ইকো-টুরিজমের সুযোগ বৃদ্ধি’ প্রকল্পের আওতায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সখিনা অরণ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে সোনাকাটা ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করে। পার্কে ১২টি হরিণ, তিনটি মেছোবাঘ, দুটি কুমির, শতাধিক বানর, দুটি শজারু, ২৫টি শূকরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী রয়েছে।
স্থানীয় বন কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন কুমিরের খাবারের জন্য ১ দশমিক ২৫ ও মেছোবাঘের জন্য পাঁচ কেজি মুরগির মাংস, হরিণের জন্য ২৫ কেজি মিষ্টিকুমড়া ও আলু, শূকরের জন্য ৬৩ কেজি ভাত, কুড়া, ডালের ভুসি ও কচু দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এতে দৈনিক ব্যয় হয় প্রায় ২৫০০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত ঠিকাদার তা সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু গত জুনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না করায় চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে এ প্রাণীদের কোনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ও বনরক্ষীরা জানান, পার্কে আসা দর্শনার্থী ও তাঁদের উদ্যোগে প্রাণীগুলোকে বর্তমানে কিছু খাবার দেওয়া হলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। ফলে এই প্রাণীরা আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে নিস্তেজ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত জুনে এ পার্কের কুমির প্রজননকেন্দ্রে এবারই প্রথম স্ত্রী কুমির সখিনা ডিম দিয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সখিনার এখন বেশি খাবার প্রয়োজন। কেননা, সে বেশির ভাগ সময়ই ডিমে তা দেওয়া ও সেগুলো পাহারার কাজে ডিমের কাছাকাছি থাকে। এ জন্য প্রাকৃতিক উৎস থেকে সে খাবার নিতে পারছে না। সোনাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মাসে ইকোপার্কটির প্রাণীদের খাবারের জন্য সরকার কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। ২৬ দিন ধরে স্থানীয়ভাবে সামান্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সরবরাহ করা এ খাবার বন্ধ হয়ে গেলে প্রাণীগুলো মারা যাবে।
টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনের সখিনা বিট কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার জানান, জুলাই মাসের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তাঁরা সামান্য খাবার সরবরাহ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে এদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার বলেন, ‘জুন মাসে বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার পর বরাদ্দ পেতে দুই-তিন মাস সময় লাগে। বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় খাবার সরবরাহ করতে বলেছি। তবে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করা হচ্ছে।’
No comments