নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে জাহাজ শিল্প গড়লে শাস্তি

সচিবালয়ে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে
জাহাজ শিল্প গড়ার জন্য অঞ্চল নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। ওই অঞ্চলের বাইরে কেউ শিল্প গড়লে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। আজ সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ (শিপ রিসাইক্লিং) জোন আইন ২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই আইন অনুযায়ী সরকার এ ধরনের অঞ্চল নির্দিষ্ট করে দেবে এবং এর বাইরে কেউ শিল্প গড়লে আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, মন্ত্রিসভার নিয়মিত ৭০ তম বৈঠকে আজ আইনটির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনে বিধিমালা তৈরির বিধান রাখা হয়েছে। বোর্ডের মাধ্যমে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল পরিচালনা করার কথা বলা হয়। এই বোর্ডের অনুমতি ছাড়া পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে কেউ জাহাজ আমদানি করলে, জাহাজ ভাঙলে বা মজুত করলে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানা, এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ এ সংক্রান্ত কাজে দেশে বিদেশে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, ছয় মাস কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
অনুমতি ছাড়া কেউ এ ধরনের শিল্প স্থাপন করলে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা বা পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বা পরিদর্শনে সহযোগিতা না করলে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা ছয় মাস কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এর আগে জাহাজ ভাঙার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কাজ করলেও আইন অনুযায়ী এটি এখন পুরোপুরি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে।
এ ছাড়া বৈঠকে পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। ১৯৩৪ সালের পেট্রোলিয়াম অধ্যাদেশটি ১৯৮৬ সালে সংশোধন করা হয়। সেই অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম আমদানি, পরিবহন ও মজুত বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। আইন বা বিধি লঙ্ঘন করলে শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে শাস্তি ছিল ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ড। আইনে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে শাস্তির পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.