চট্টগ্রাম মানেই প্রাপ্তি! by তারেক মাহমুদ
চট্টগ্রাম
মানেই প্রাপ্তি! জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মানেই কিছু না কিছু নিয়ে
ফেরা! দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্রয়ে বৃষ্টির অবদান বেশি
থাকলেও পরিসংখ্যান তা-ই বলে। গত চার বছরে সাগরপাড়ের এই মাঠে কোনো টেস্ট
হারেনি বাংলাদেশ দল।
চট্টগ্রামে সর্বশেষ টেস্ট হার ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশ লজ্জাজনকই ছিল সে পরাজয়, ব্যবধানটা ছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এরপর হয়েছে আরও চারটি টেস্ট। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড, ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে এবং এবার খেলল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এর মধ্যে তিনটাই ড্র। জয় একটা। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের দল জিতেছে ১৮৬ রানে। এই মাঠে এখন পর্যন্ত ওটাই বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট জয়।
বলতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের টেস্টে তো শেষ দুই দিন খেলাই হলো না। এই ড্রয়ে কৃতিত্বের কী আছে? আসলে ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া ১৪টি টেস্টের যে পাঁচটিতে বাংলাদেশ ড্র করেছে, এবারেরটিসহ তার তিনটিতেই ছিল বৃষ্টির বাগড়া। তবে গত তিন বছরের তিন ড্রয়ের মধ্যে বৃষ্টির ভূমিকা থাকল কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের টেস্টেই।
কিন্তু বাংলাদেশ দল কি এমন ড্র চেয়েছিল? ম্যাচের প্রথম তিন দিনের স্কোরকার্ডই বলে দেবে এর উত্তর। তিন দিন শেষেও বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে ছিল ১৭ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টের দিগন্তে মুশফিকুর রহিমের দলও ভালো কিছুর সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু সেটা আর হলো না। বৃষ্টি তাই এবার আর আশীর্বাদ হয়ে আসেনি বাংলাদেশের জন্য, এসেছে অভিশাপ হয়ে।
টেস্ট বাদ দিয়ে ওয়ানডের দিকে তাকান। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সাফল্যের ডালা সাজিয়ে রেখেছে সেখানেও। মোট ১৬টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছে এ মাঠে বাংলাদেশ, জয় এসেছে ১০টিতেই। এর মধ্যে আটটি জয় সর্বশেষ ১০ ম্যাচে। এসব জয়ও সব সময় যেনতেন দলের বিপক্ষে নয়। এবার তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা এখানে সিরিজ জয়ের উৎসবই নিয়ে এসেছে। বড় দলের বিপক্ষে জয় ছিল এর আগেও। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ উইকেটের জয় কিংবা ওই বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে পাওয়া ৮ উইকেটের জয়ের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি এত দিনেও।
টেস্ট, ওয়ানডের তুলনায় চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টির সাফল্য কমই বাংলাদেশের। চার ম্যাচ খেলে শুধু নেপালের বিপক্ষে একটা জয়। অবশ্য এটাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সার্বিক পারফরম্যান্সের প্রতীকও বলা যায়। মোট ৪৪ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছেই মাত্র ১২টি।
চট্টগ্রামে পাওয়া বেশির ভাগ সাফল্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এলেও এর শুরুটা কিন্তু কাজির দেউড়ি এলাকার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। সেটাকে টেস্ট ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সাফল্যের শুরু বলতে পারেন। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ এবং প্রথম টেস্টটা সেবার হয়েছিল চট্টগ্রামের এম আজিজ স্টেডিয়ামে। ২২৬ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস হাবিবুল বাশারের দল নিয়ে ফিরেছিল এখান থেকেই।
১০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে করে এখনো রোমাঞ্চিত বর্তমানে নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা হাবিবুল, ‘মনে আছে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার সময় দুই রকম অনুভূতি সঙ্গী হয়েছিল আমার। এক হলো, অবশেষে টেস্ট ম্যাচ জিতলাম। অভিষেকের পাঁচ বছর হয়ে গেলেও আমরা এর আগে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিতিনি। আরেকটা হলো সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস। ঢাকায় গিয়ে সিরিজ জিততে হবে, এটাই মনে হচ্ছিল বারবার।’
ওই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডে জয়টাও বাংলাদেশ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামেই পেয়েছিল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পয়মন্ত চট্টগ্রামের সেই ব্যাটনটা ধরে রেখেছে আজও।
চট্টগ্রামে সর্বশেষ টেস্ট হার ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বেশ লজ্জাজনকই ছিল সে পরাজয়, ব্যবধানটা ছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানের। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এরপর হয়েছে আরও চারটি টেস্ট। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড, ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে এবং এবার খেলল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এর মধ্যে তিনটাই ড্র। জয় একটা। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের দল জিতেছে ১৮৬ রানে। এই মাঠে এখন পর্যন্ত ওটাই বাংলাদেশের একমাত্র টেস্ট জয়।
বলতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের টেস্টে তো শেষ দুই দিন খেলাই হলো না। এই ড্রয়ে কৃতিত্বের কী আছে? আসলে ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া ১৪টি টেস্টের যে পাঁচটিতে বাংলাদেশ ড্র করেছে, এবারেরটিসহ তার তিনটিতেই ছিল বৃষ্টির বাগড়া। তবে গত তিন বছরের তিন ড্রয়ের মধ্যে বৃষ্টির ভূমিকা থাকল কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবারের টেস্টেই।
কিন্তু বাংলাদেশ দল কি এমন ড্র চেয়েছিল? ম্যাচের প্রথম তিন দিনের স্কোরকার্ডই বলে দেবে এর উত্তর। তিন দিন শেষেও বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে ছিল ১৭ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টের দিগন্তে মুশফিকুর রহিমের দলও ভালো কিছুর সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু সেটা আর হলো না। বৃষ্টি তাই এবার আর আশীর্বাদ হয়ে আসেনি বাংলাদেশের জন্য, এসেছে অভিশাপ হয়ে।
টেস্ট বাদ দিয়ে ওয়ানডের দিকে তাকান। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সাফল্যের ডালা সাজিয়ে রেখেছে সেখানেও। মোট ১৬টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছে এ মাঠে বাংলাদেশ, জয় এসেছে ১০টিতেই। এর মধ্যে আটটি জয় সর্বশেষ ১০ ম্যাচে। এসব জয়ও সব সময় যেনতেন দলের বিপক্ষে নয়। এবার তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা এখানে সিরিজ জয়ের উৎসবই নিয়ে এসেছে। বড় দলের বিপক্ষে জয় ছিল এর আগেও। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ উইকেটের জয় কিংবা ওই বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে পাওয়া ৮ উইকেটের জয়ের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি এত দিনেও।
টেস্ট, ওয়ানডের তুলনায় চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টির সাফল্য কমই বাংলাদেশের। চার ম্যাচ খেলে শুধু নেপালের বিপক্ষে একটা জয়। অবশ্য এটাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের সার্বিক পারফরম্যান্সের প্রতীকও বলা যায়। মোট ৪৪ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছেই মাত্র ১২টি।
চট্টগ্রামে পাওয়া বেশির ভাগ সাফল্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এলেও এর শুরুটা কিন্তু কাজির দেউড়ি এলাকার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। সেটাকে টেস্ট ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সাফল্যের শুরু বলতে পারেন। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ এবং প্রথম টেস্টটা সেবার হয়েছিল চট্টগ্রামের এম আজিজ স্টেডিয়ামে। ২২৬ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস হাবিবুল বাশারের দল নিয়ে ফিরেছিল এখান থেকেই।
১০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে করে এখনো রোমাঞ্চিত বর্তমানে নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা হাবিবুল, ‘মনে আছে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার সময় দুই রকম অনুভূতি সঙ্গী হয়েছিল আমার। এক হলো, অবশেষে টেস্ট ম্যাচ জিতলাম। অভিষেকের পাঁচ বছর হয়ে গেলেও আমরা এর আগে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিতিনি। আরেকটা হলো সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস। ঢাকায় গিয়ে সিরিজ জিততে হবে, এটাই মনে হচ্ছিল বারবার।’
ওই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডে জয়টাও বাংলাদেশ এম এ আজিজ স্টেডিয়ামেই পেয়েছিল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পয়মন্ত চট্টগ্রামের সেই ব্যাটনটা ধরে রেখেছে আজও।
No comments