ভোলায় ৬০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মাছঘাট বিলীন
ভোলার চডারমাথা এলাকায় বরিশাল–ভোলা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক রক্ষাবাঁধ গতকাল মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে |
বৈরী
আবহাওয়ায় মেঘনা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে এক দিনে ভোলার ইলিশা
ফেরিঘাটের উত্তর-পশ্চিম থেকে বিশ্বরোডের মাথা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার
এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। চডারমাথা বাজারের ৬০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং
একটি মাছঘাট বিলীন হয়ে গেছে।
সেই সঙ্গে নদীর ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। এতে গতকাল রোববার ঘাটে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, ঝড়ে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, বাপ্তা ও পশ্চিম ইলিশা এলাকার অনেক কাঁচা ঘর ও গাছ ভেঙে গেছে। সদর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুরের ইলিশা ফেরিঘাট থেকে বিশ্বরোডের মাথা পর্যন্ত এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চডারমাথা বাজারের আমির হোসেন, আবদুর জব্বারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৬০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া চডারমাথা মাছঘাটে আবু তাহের বুলাই, জামাল কোম্পানি, মহসিন ব্যাপারীসহ ২০টি মাছের আড়তসহ ঘাটটি ভেঙে গেছে। একই সঙ্গে ফেরিঘাটের কিছু অংশ ও মিছির আলীর ট্রলারঘাট ভেঙে গেছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মিজি বলেন, আগের মাছ কেনার ঘাট ভেঙে গেছে। নতুন করে মাছ কেনাবেচার জন্য কোনো জমি নেই। ভাঙনের কবল থেকে বাঁচাতে ঘরের আসবাব সড়কের ওপর রেখেছেন বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম বলেন, গত শনিবার থেকে মেঘনার তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে। বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভোলা-ইলিশা অংশের এক কিলোমিটার, রাজাপুর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলার উত্তরে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক আটকে আছে।
জেলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুরের আফজাল হোসেন, লালমোহন কর্তারহাটের আলাউদ্দিন, বোরহানউদ্দিন কুঞ্জেরহাটের আমেনা বেগমসহ একাধিক যাত্রী বলেন, তাঁরা চট্টগ্রামে কাজ করেন। ঈদে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য টিকিট কেটে গাড়িতে উঠেছিলেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। ভাড়ার টাকাও ফেরত পাননি। আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য লক্ষাধিক বালুভর্তি বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলার কাজ গত শুক্রবার শুরু হয়। আবহাওয়ার কারণে রোববার (গতকাল) ওই কাজ বন্ধ রয়েছে।
ঠিকাদার খোকন গোলদার বলেন, ঝোড়ো বাতাসে তাঁদের বালুভর্তি একটি কার্গো ডুবে গেছে। আরেকটি কার্গো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে আবার ফেরি চালু হবে।
সেই সঙ্গে নদীর ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। এতে গতকাল রোববার ঘাটে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, ঝড়ে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, বাপ্তা ও পশ্চিম ইলিশা এলাকার অনেক কাঁচা ঘর ও গাছ ভেঙে গেছে। সদর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুরের ইলিশা ফেরিঘাট থেকে বিশ্বরোডের মাথা পর্যন্ত এলাকা ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চডারমাথা বাজারের আমির হোসেন, আবদুর জব্বারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৬০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া চডারমাথা মাছঘাটে আবু তাহের বুলাই, জামাল কোম্পানি, মহসিন ব্যাপারীসহ ২০টি মাছের আড়তসহ ঘাটটি ভেঙে গেছে। একই সঙ্গে ফেরিঘাটের কিছু অংশ ও মিছির আলীর ট্রলারঘাট ভেঙে গেছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মিজি বলেন, আগের মাছ কেনার ঘাট ভেঙে গেছে। নতুন করে মাছ কেনাবেচার জন্য কোনো জমি নেই। ভাঙনের কবল থেকে বাঁচাতে ঘরের আসবাব সড়কের ওপর রেখেছেন বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম বলেন, গত শনিবার থেকে মেঘনার তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে। বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভোলা-ইলিশা অংশের এক কিলোমিটার, রাজাপুর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলার উত্তরে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক আটকে আছে।
জেলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুরের আফজাল হোসেন, লালমোহন কর্তারহাটের আলাউদ্দিন, বোরহানউদ্দিন কুঞ্জেরহাটের আমেনা বেগমসহ একাধিক যাত্রী বলেন, তাঁরা চট্টগ্রামে কাজ করেন। ঈদে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য টিকিট কেটে গাড়িতে উঠেছিলেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। ভাড়ার টাকাও ফেরত পাননি। আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য লক্ষাধিক বালুভর্তি বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলার কাজ গত শুক্রবার শুরু হয়। আবহাওয়ার কারণে রোববার (গতকাল) ওই কাজ বন্ধ রয়েছে।
ঠিকাদার খোকন গোলদার বলেন, ঝোড়ো বাতাসে তাঁদের বালুভর্তি একটি কার্গো ডুবে গেছে। আরেকটি কার্গো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে আবার ফেরি চালু হবে।
No comments