বৃষ্টিহীন পঞ্চগড়ের চাষিরা শঙ্কিত
পঞ্জিকার
পাতায় অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের প্রায় অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও পঞ্চগড়ে
সেভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বর্ষা মৌসুমেও এমন আবহাওয়া থাকায় আমন চাষিরা
শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
গতকাল রোববার সদর উপজেলার দেওয়ানহাট, জগদল, হাফিজাবাদ, বলেয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা অগভীর নলকূপের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে আমন আবাদ করছেন। অনেক এলাকায় রোপণ করা আমন খেত শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। অল্প দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে এসব আমন খেত শুকিয়ে মরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলা হাফিজাবাদ এলাকার কৃষক লিটন বলেন, কোনো শ্রাবণ মাস এমন খরায় কাটেনি। একটুও বৃষ্টি নেই। একই উপজেলার লাখেরাজঘুমটি গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে তাঁরা বিপাকে পড়বেন। অনেক কৃষকের বীজতলা তৈরি হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির অভাবে সেগুলো নষ্ট হতে চলেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯৪ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের ধানের ফলন হবে ৯১ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে। বাকি জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান রোপণ করা হবে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবাদ সফল হলে আড়াই লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদন হবে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আরও বলেন, জুলাই মাসের প্রথম দিক থেকে আমন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত চাষাবাদ করা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়ার এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার কৃষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুকনা জমিতে রোপা লাগাতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে রোপা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে ফলন কমে যাবে। একই উপজেলার ভেলকুগছ গ্রামের আলম জানান, ‘পানি নাই। তাই শ্যালো মেশিনের পানিতে এক বিঘা জমিতে রোপা লাগিয়েছি। আরও আধা বিঘা জমিতে রোপা লাগাতে পারিনি। বীজতলার বয়স বেড়ে যাচ্ছে। সময়মতো লাগাতে না পারলে ভালো ধান হবে না।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স ম আশরাফ আলী বলেন, ১২৬টি গভীর ও ৮১৩টি অগভীর নলকূপের সাহায্যে আমন চাষ চলছে। তবে যত দ্রুত দিন যাচ্ছে তাতে করে কৃষকদের নাবি জাতের আমন চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া বিরূপ আকার ধারণ করেছে।
গতকাল রোববার সদর উপজেলার দেওয়ানহাট, জগদল, হাফিজাবাদ, বলেয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা অগভীর নলকূপের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে আমন আবাদ করছেন। অনেক এলাকায় রোপণ করা আমন খেত শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। অল্প দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে এসব আমন খেত শুকিয়ে মরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলা হাফিজাবাদ এলাকার কৃষক লিটন বলেন, কোনো শ্রাবণ মাস এমন খরায় কাটেনি। একটুও বৃষ্টি নেই। একই উপজেলার লাখেরাজঘুমটি গ্রামের ইউসুফ আলী বলেন, দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে তাঁরা বিপাকে পড়বেন। অনেক কৃষকের বীজতলা তৈরি হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির অভাবে সেগুলো নষ্ট হতে চলেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯৪ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের ধানের ফলন হবে ৯১ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে। বাকি জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান রোপণ করা হবে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবাদ সফল হলে আড়াই লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদন হবে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আরও বলেন, জুলাই মাসের প্রথম দিক থেকে আমন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত চাষাবাদ করা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়ার এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান এলাকার কৃষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুকনা জমিতে রোপা লাগাতে হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে রোপা নষ্ট হয়ে যাবে। এতে ফলন কমে যাবে। একই উপজেলার ভেলকুগছ গ্রামের আলম জানান, ‘পানি নাই। তাই শ্যালো মেশিনের পানিতে এক বিঘা জমিতে রোপা লাগিয়েছি। আরও আধা বিঘা জমিতে রোপা লাগাতে পারিনি। বীজতলার বয়স বেড়ে যাচ্ছে। সময়মতো লাগাতে না পারলে ভালো ধান হবে না।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স ম আশরাফ আলী বলেন, ১২৬টি গভীর ও ৮১৩টি অগভীর নলকূপের সাহায্যে আমন চাষ চলছে। তবে যত দ্রুত দিন যাচ্ছে তাতে করে কৃষকদের নাবি জাতের আমন চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া বিরূপ আকার ধারণ করেছে।
বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে আমন খেত। তাই অগভীর নলকূপের সাহায্যে সেচ দিয়ে রোপা আমন রক্ষার চেষ্টা করছেন চাষিরা। ছবিটি গতকাল দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার দেওয়ানহাট থেকে তোলা l প্রথম আলো |
No comments