জ্বালানি তেল সরবরাহ ও ব্যবহারে বিশৃঙ্খলা- সরকারি নীতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা by অরুণ কর্মকার
ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিকসহ
তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি তেল ব্যবহার ও সরবরাহে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি নীতিই এই বিশৃঙ্খলার কারণ বলে জানিয়েছে
পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), এমনকি
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
বিপিসির সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) গত ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য ফার্নেস তেল নিচ্ছে চাহিদার তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ কম। কিন্তু ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন হয়ে এসেছে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা মতোই। অপরদিকে পিডিবি ডিজেল নিচ্ছে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
অথচ বছরের শুরুতে পিডিবির দেওয়া চাহিদা অনুযায়ীই বিপিসি ফার্নেস ও ডিজেল আমদানি করছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় ব্যবহারে তারতম্যের কারণে বিপিসির সব মজুতাগার পরিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখন তেল নিয়ে যে জাহাজগুলো আসছে, সেগুলোকে তেল খালাসের জন্য এক সপ্তাহ পর্যন্ত বন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে বিপিসির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
চাহিদার তুলনায় কম জ্বালানি তেল ব্যবহারে তারতম্যের বিষয়ে পিডিবি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, এ বছরের জুলাই পর্যন্ত তেলের চাহিদাপত্র তৈরি করে তারা পিডিবিকে দিয়েছেন গত নভেম্বরে। এরপর গত মার্চে বিপিসিই কয়েকটি ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কোম্পানিকে ফার্নেস তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ফলে ওই কোম্পানিগুলো আর পিডিবির কাছ থেকে তেল নিচ্ছে না। এই কারণেই পিডিবি ফার্নেস তেল কম নিচ্ছে।
অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ডিজেল নেওয়ার বিষয়ে সূত্রটি আরও বলছে, বেসরকারি খাতের সামিট পাওয়ার কোম্পানি নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে ৩৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক (ডুয়েল ফুয়েল) যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করেছে সেখানে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হয়নি। ফলে সেটি ডিজেল দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ কারণে পূর্বনির্ধারিত চাহিদার তুলনায় ডিজেল অনেক বেশি নিতে হচ্ছে।
পিডিবি চাহিদাপত্র দেওয়ার পর বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে ফার্নেস তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, এটা সরকারি নীতির কারণে দেওয়া হয়েছে। দেশের সব তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে গত কয়েক বছরে বিপিসির মজুত ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নত করা হয়েছে। বিপিসি সব তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর আগ্রহে সরকার তাঁদের নিজ নিজ প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ীই বিপিসি অনুমোদন দিচ্ছে।
বর্তমানে ১১টি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকার এই আমদানির জন্য কোনো শুল্ক কিংবা কর নেয় না। উপরন্তু কোম্পানিগুলোকে ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দেওয়া হয়।
পিডিবি ও বিপিসির সূত্র অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পিডিবি ফার্নেস তেলের চাহিদা দিয়েছিল ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন। কিন্তু নিয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১০০ টন। চাহিদার তুলনায় কম নিয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩২ বা প্রায় ৩০ শতাংশ।
অপরদিকে, ওই ছয় মাসের জন্য ডিজেলের চাহিদা দিয়েছিল ৯১ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন। কিন্তু নিয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ টন, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০৬ শতাংশ বেশি।
বিপিসির সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) গত ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য ফার্নেস তেল নিচ্ছে চাহিদার তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ কম। কিন্তু ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন হয়ে এসেছে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা মতোই। অপরদিকে পিডিবি ডিজেল নিচ্ছে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
অথচ বছরের শুরুতে পিডিবির দেওয়া চাহিদা অনুযায়ীই বিপিসি ফার্নেস ও ডিজেল আমদানি করছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় ব্যবহারে তারতম্যের কারণে বিপিসির সব মজুতাগার পরিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখন তেল নিয়ে যে জাহাজগুলো আসছে, সেগুলোকে তেল খালাসের জন্য এক সপ্তাহ পর্যন্ত বন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে বিপিসির আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
চাহিদার তুলনায় কম জ্বালানি তেল ব্যবহারে তারতম্যের বিষয়ে পিডিবি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, এ বছরের জুলাই পর্যন্ত তেলের চাহিদাপত্র তৈরি করে তারা পিডিবিকে দিয়েছেন গত নভেম্বরে। এরপর গত মার্চে বিপিসিই কয়েকটি ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কোম্পানিকে ফার্নেস তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ফলে ওই কোম্পানিগুলো আর পিডিবির কাছ থেকে তেল নিচ্ছে না। এই কারণেই পিডিবি ফার্নেস তেল কম নিচ্ছে।
অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ডিজেল নেওয়ার বিষয়ে সূত্রটি আরও বলছে, বেসরকারি খাতের সামিট পাওয়ার কোম্পানি নারায়ণগঞ্জের হরিপুরে ৩৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক (ডুয়েল ফুয়েল) যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করেছে সেখানে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হয়নি। ফলে সেটি ডিজেল দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ কারণে পূর্বনির্ধারিত চাহিদার তুলনায় ডিজেল অনেক বেশি নিতে হচ্ছে।
পিডিবি চাহিদাপত্র দেওয়ার পর বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে ফার্নেস তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, এটা সরকারি নীতির কারণে দেওয়া হয়েছে। দেশের সব তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে গত কয়েক বছরে বিপিসির মজুত ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নত করা হয়েছে। বিপিসি সব তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর আগ্রহে সরকার তাঁদের নিজ নিজ প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ীই বিপিসি অনুমোদন দিচ্ছে।
বর্তমানে ১১টি বিদ্যুৎ কোম্পানিকে জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকার এই আমদানির জন্য কোনো শুল্ক কিংবা কর নেয় না। উপরন্তু কোম্পানিগুলোকে ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দেওয়া হয়।
পিডিবি ও বিপিসির সূত্র অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পিডিবি ফার্নেস তেলের চাহিদা দিয়েছিল ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৩২ মেট্রিক টন। কিন্তু নিয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১০০ টন। চাহিদার তুলনায় কম নিয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩২ বা প্রায় ৩০ শতাংশ।
অপরদিকে, ওই ছয় মাসের জন্য ডিজেলের চাহিদা দিয়েছিল ৯১ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন। কিন্তু নিয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ টন, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০৬ শতাংশ বেশি।
No comments