সরঞ্জাম নেই, তবু স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাচ্ছে দুর্গম জনপদে by সৈকত দেওয়ান
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ক্যাংঘাট ইউনিয়নের করল্যাছড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের জীর্ণ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি পড়লে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। তখন বন্ধ থাকে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম l নীরব চৌধুরী |
দুটি
কক্ষের একটি ব্যবহৃত হয় কার্যালয় হিসেবে। বাকি কক্ষটিতে প্রসবপূর্ব সেবা
দেওয়ার পাশাপাশি প্রসবও করানো হয়। তবে নেই বিশেষায়িত টেবিল ও সরঞ্জাম,
মেঝেতে মাদুর বা পলিথিন বিছিয়ে চলে প্রসবের কাজ।
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থিত কেরেংগানাল কমিউনিটি ক্লিনিকের চিত্র এটি। টিনের ছাউনি দেওয়া যে ঘরটিতে চলছে ক্লিনিকের কাজ, সেটির মেঝেও পাকা করা হয়নি। ঘরের ছাউনি থাকলেও নেই সিলিং। বিশুদ্ধ পানিও সরবরাহ করা হয় না। এত কিছুর পরও এটি সফল একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত ১১ মাসে এ ক্লিনিকে জন্ম হয়েছে ১৭টি সুস্থ শিশুর।
কেবল এই কমিউনিটি ক্লিনিক নয়, উপজেলার ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমবেশি এই অবস্থা। তবে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রসূতি নারীদের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
সম্প্রতি মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত সদর ইউনিয়নের কেরেংগানাল ও ক্যাংঘাট ইউনিয়নের করল্যাছড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে প্রচুর রোগী চোখে পড়েছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকলেও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর ভিড় ছিল। স্বাস্থ্যসেবার জন্য গ্রামবাসী ক্লিনিকগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন প্রশিক্ষিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছেন। তিনিই রোগীদের সব সেবা দিয়ে থাকেন।
অবকাঠামোর সমস্যা থাকলেও কেরেংগানাল কমিউনিটি ক্লিনিকে দৈনিক গড়ে ৩০ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। গত ১১ মাসে ক্লিনিকের সেবা নিয়ে ১৭টি শিশু জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে নয়জন প্রসূতি নারী এই ক্লিনিক থেকে প্রসবপূর্ব সেবা নিচ্ছেন।
কেরেংগানাল ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ডেফোডিল খিসা বলেন, যাতায়াতের সমস্যার কারণে অনেকে উপজেলা সদরে যেতে চান না। তঁারা এ ক্লিনিকে এসে সেবা গ্রহণ করেন।
করল্যাছড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে আলাদা একটি প্রসবকক্ষ রয়েছে। এখানে আছে প্রসবের আধুনিক টেবিল। এ ক্লিনিকে এ পর্যন্ত তিনটি শিশু জন্ম নিয়েছে। তবে এ ক্লিনিকের অন্যতম সমস্যা হলো, ভবনের ছাদ থেকে চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে।
ক্লিনিকটিতে গিয়ে দেখা যায়, ওষুধপথ্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কক্ষের ভেতর ছাদে শেওলা জন্মেছে। ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বিপন তালুকদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে ওষুধ রক্ষণাবেক্ষণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি ভবনটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানান।
মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফতাবুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা তুলে ধরে সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থিত কেরেংগানাল কমিউনিটি ক্লিনিকের চিত্র এটি। টিনের ছাউনি দেওয়া যে ঘরটিতে চলছে ক্লিনিকের কাজ, সেটির মেঝেও পাকা করা হয়নি। ঘরের ছাউনি থাকলেও নেই সিলিং। বিশুদ্ধ পানিও সরবরাহ করা হয় না। এত কিছুর পরও এটি সফল একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত ১১ মাসে এ ক্লিনিকে জন্ম হয়েছে ১৭টি সুস্থ শিশুর।
কেবল এই কমিউনিটি ক্লিনিক নয়, উপজেলার ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কমবেশি এই অবস্থা। তবে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রসূতি নারীদের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
সম্প্রতি মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় অবস্থিত সদর ইউনিয়নের কেরেংগানাল ও ক্যাংঘাট ইউনিয়নের করল্যাছড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে প্রচুর রোগী চোখে পড়েছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকলেও ক্লিনিকগুলোতে রোগীর ভিড় ছিল। স্বাস্থ্যসেবার জন্য গ্রামবাসী ক্লিনিকগুলোর ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন প্রশিক্ষিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছেন। তিনিই রোগীদের সব সেবা দিয়ে থাকেন।
অবকাঠামোর সমস্যা থাকলেও কেরেংগানাল কমিউনিটি ক্লিনিকে দৈনিক গড়ে ৩০ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। গত ১১ মাসে ক্লিনিকের সেবা নিয়ে ১৭টি শিশু জন্ম নিয়েছে। বর্তমানে নয়জন প্রসূতি নারী এই ক্লিনিক থেকে প্রসবপূর্ব সেবা নিচ্ছেন।
কেরেংগানাল ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ডেফোডিল খিসা বলেন, যাতায়াতের সমস্যার কারণে অনেকে উপজেলা সদরে যেতে চান না। তঁারা এ ক্লিনিকে এসে সেবা গ্রহণ করেন।
করল্যাছড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে আলাদা একটি প্রসবকক্ষ রয়েছে। এখানে আছে প্রসবের আধুনিক টেবিল। এ ক্লিনিকে এ পর্যন্ত তিনটি শিশু জন্ম নিয়েছে। তবে এ ক্লিনিকের অন্যতম সমস্যা হলো, ভবনের ছাদ থেকে চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে।
ক্লিনিকটিতে গিয়ে দেখা যায়, ওষুধপথ্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কক্ষের ভেতর ছাদে শেওলা জন্মেছে। ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার বিপন তালুকদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে ওষুধ রক্ষণাবেক্ষণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি ভবনটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানান।
মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফতাবুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ছয়টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা তুলে ধরে সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
No comments