আমাদের স্বপ্নের শিক্ষায়তন by এমাজউদ্দীন আহমদ
আজ
থেকে চুরানব্বই বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক দেশের অন্যতম প্রধান উচ্চ
বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চুরানব্বই বছর পরে সেই দিনের সঙ্গে আজকের
বাস্তবতা মেলাতে গেলে আমরা কোনো কূলকিনারা পাব না। এই প্রতিষ্ঠানটি আজ যেমন
আঙ্গিকে অনেক বিস্তৃত তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের মধ্যে অন্যভাবে
পরিচিতও। এ দেশের গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন-সংগ্রামে এই
প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা কতটা উজ্জ্বল এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নতুন করে
নিষ্প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-জাতির অস্বিত্বের সঙ্গে নানাভাবে মিশে আছে। ১৯২১ সালের ২১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। সংক্ষেপে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাবি নামে এখন সমধিক পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বহু অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। দেশের অন্যতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি এক সময় দায়িত্ব পালন করেছি এটি আমার জীবনের আলোকিত অধ্যায়। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আমার মতো অনেকের জীবনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক মাতৃসম প্রতিষ্ঠান। আমার প্রিয় অষসধ সধঃবৎ। যেমনি প্রিয় তেমনি শ্রদ্ধেয়। মাতৃস্নেহের পরশমণি সন্তানকে যেমন আদর-যতেœর সজীব স্পর্শে পরিণত ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করে, আত্মপ্রত্যয়ে সুদৃঢ় করে, মর্যাদা সিক্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জীবনে তেমনি এক পরশমণি। আমার প্রয়াত মা এখনো যেমন আমার চারপাশ ঘিরে বর্তমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তেমনি আমার এবং আমার মতো হাজারো মনের সচেতনতাকে ঘিরে প্রতি মুহূর্তে বিদ্যমান। এই প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আগামী ১ জুলাই চুরানব্বই বছর পূর্ণ করবে।
২০২১ সালের ১ জুলাইতে একশ’ বছরে পা দেবে। সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে মনে রেখে এই ছোট লেখাটি।
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করে তার জয়যাত্রা। মাত্র তিনটি অনুষদের কলা, বিজ্ঞান এবং আইন মাত্র বারোটি বিভাগে ৮৭৭ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৮৪ জন শিক্ষক নিয়ে। একটি বিভাগীয় শহরে প্রতিষ্ঠিত এই মহতী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তখন প্রভাব এবং অবয়বে ছিল ছোট একটি চারাগাছ। দীর্ঘ ৯০ বছরে হাজারো চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে, অনেক অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে এখন পরিণত হয়েছে এক বিরাট মহীরুহে। পরিণত হয়েছে একটি জাতি রাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিষ্ঠানে, গোটা জাতির আশা-আকাঙ্খা ধারণ করে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অর্জনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পর্শ। জাতীয় পর্যায়ে কল্যাণমুখী প্রত্যেকটি উদ্যোগের উৎসও এই মহতী প্রতিষ্ঠানটি। এর কুশলী পরিচর্যায় এবং স্নেহ-স্পর্শে বেড়ে উঠেছেন এ দেশের অধিকাংশ রাজনীতিক, প্রশাসক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবহারবিদ এবং বিভিন্ন পেশার শীর্ষ স্থানীয়দের অধিকাংশই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ গবেষকদের গবেষণা সক্ষম হয়েছে জ্ঞানভাণ্ডারে অসংখ্য মণিমাণিক্য সংযোজনে। সফল হয়েছে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সমাবর্তনে বাংলার গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লড লিটন বলেছিলেন, ‘জনসমক্ষে আমি এই ঘোষণা দিয়েছি, আমার মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো ঢাকার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং অন্যসব কিছুর ঊর্ধ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার খ্যাতি বৃদ্ধি করবে এবং তা বাংলা, এমন কী ভারতের সীমারেখা ছাড়িয়ে যাবে।’ তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি চর্চা এবং গবেষণা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের স্বীকৃতি ঢাকা ছাড়িয়ে বাংলা কেন, ভারতের বিস্তৃত পরিধি ছাড়িয়ে বিশ্বময় বিস্তৃত হয়েছে।
ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম : অন্যান্য স্বাধীন জনপদে বৃদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং শিক্ষা সংস্কৃতির মানোন্নয়নকল্পে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম কিন্তু সেভাবে হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি জে হার্টগ (---) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের প্রথম সভায় (১৯২১ সালের ১৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজনৈতিক জন্মের কথা’ সবাইকে স্মরণ করিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। লড লিটনও সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বরে দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ বিলুপ্তির কারণে এই অঞ্চলের বৃহত্তর জনসমষ্টি মুসলমানদের যে ক্ষতি হয় তার এক খেসারত স্বরূপ, লর্ড লিটনের কথায় ‘এক চমৎকার রাজকীয় ক্ষতিপূরণ।’
সৃষ্টির শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়ে। কলকাতার তৎকালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। বিশেষ করে যারা ১৯০৬ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল তারাই তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা মেনে নিতে পারেনি। নানা রকম প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোকিত প্রতিষ্ঠান পরিচয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অনেক অনেক কিছু যা এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা করা খুবই দুরূহ। আমাদের গর্বের ধন, আলোকিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য আমাদের আরো আলোকিত করুক।
লেখক : সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-জাতির অস্বিত্বের সঙ্গে নানাভাবে মিশে আছে। ১৯২১ সালের ২১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। সংক্ষেপে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাবি নামে এখন সমধিক পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বহু অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। দেশের অন্যতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি এক সময় দায়িত্ব পালন করেছি এটি আমার জীবনের আলোকিত অধ্যায়। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।
আমার মতো অনেকের জীবনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক মাতৃসম প্রতিষ্ঠান। আমার প্রিয় অষসধ সধঃবৎ। যেমনি প্রিয় তেমনি শ্রদ্ধেয়। মাতৃস্নেহের পরশমণি সন্তানকে যেমন আদর-যতেœর সজীব স্পর্শে পরিণত ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করে, আত্মপ্রত্যয়ে সুদৃঢ় করে, মর্যাদা সিক্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জীবনে তেমনি এক পরশমণি। আমার প্রয়াত মা এখনো যেমন আমার চারপাশ ঘিরে বর্তমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তেমনি আমার এবং আমার মতো হাজারো মনের সচেতনতাকে ঘিরে প্রতি মুহূর্তে বিদ্যমান। এই প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আগামী ১ জুলাই চুরানব্বই বছর পূর্ণ করবে।
২০২১ সালের ১ জুলাইতে একশ’ বছরে পা দেবে। সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে মনে রেখে এই ছোট লেখাটি।
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করে তার জয়যাত্রা। মাত্র তিনটি অনুষদের কলা, বিজ্ঞান এবং আইন মাত্র বারোটি বিভাগে ৮৭৭ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৮৪ জন শিক্ষক নিয়ে। একটি বিভাগীয় শহরে প্রতিষ্ঠিত এই মহতী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তখন প্রভাব এবং অবয়বে ছিল ছোট একটি চারাগাছ। দীর্ঘ ৯০ বছরে হাজারো চড়াই-উতরাই অতিক্রম করে, অনেক অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে এখন পরিণত হয়েছে এক বিরাট মহীরুহে। পরিণত হয়েছে একটি জাতি রাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিষ্ঠানে, গোটা জাতির আশা-আকাঙ্খা ধারণ করে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অর্জনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পর্শ। জাতীয় পর্যায়ে কল্যাণমুখী প্রত্যেকটি উদ্যোগের উৎসও এই মহতী প্রতিষ্ঠানটি। এর কুশলী পরিচর্যায় এবং স্নেহ-স্পর্শে বেড়ে উঠেছেন এ দেশের অধিকাংশ রাজনীতিক, প্রশাসক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবহারবিদ এবং বিভিন্ন পেশার শীর্ষ স্থানীয়দের অধিকাংশই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ গবেষকদের গবেষণা সক্ষম হয়েছে জ্ঞানভাণ্ডারে অসংখ্য মণিমাণিক্য সংযোজনে। সফল হয়েছে জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সমাবর্তনে বাংলার গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লড লিটন বলেছিলেন, ‘জনসমক্ষে আমি এই ঘোষণা দিয়েছি, আমার মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো ঢাকার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং অন্যসব কিছুর ঊর্ধ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার খ্যাতি বৃদ্ধি করবে এবং তা বাংলা, এমন কী ভারতের সীমারেখা ছাড়িয়ে যাবে।’ তার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি চর্চা এবং গবেষণা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের স্বীকৃতি ঢাকা ছাড়িয়ে বাংলা কেন, ভারতের বিস্তৃত পরিধি ছাড়িয়ে বিশ্বময় বিস্তৃত হয়েছে।
ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম : অন্যান্য স্বাধীন জনপদে বৃদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং শিক্ষা সংস্কৃতির মানোন্নয়নকল্পে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম কিন্তু সেভাবে হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি জে হার্টগ (---) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের প্রথম সভায় (১৯২১ সালের ১৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজনৈতিক জন্মের কথা’ সবাইকে স্মরণ করিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। লড লিটনও সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বরে দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ বিলুপ্তির কারণে এই অঞ্চলের বৃহত্তর জনসমষ্টি মুসলমানদের যে ক্ষতি হয় তার এক খেসারত স্বরূপ, লর্ড লিটনের কথায় ‘এক চমৎকার রাজকীয় ক্ষতিপূরণ।’
সৃষ্টির শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়ে। কলকাতার তৎকালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। বিশেষ করে যারা ১৯০৬ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিল তারাই তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা মেনে নিতে পারেনি। নানা রকম প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোকিত প্রতিষ্ঠান পরিচয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অনেক অনেক কিছু যা এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা করা খুবই দুরূহ। আমাদের গর্বের ধন, আলোকিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য আমাদের আরো আলোকিত করুক।
লেখক : সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী
No comments