জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে, নির্মূল সম্ভব নয়: ডিএমপি
মনিরুল ইসলাম |
বাংলাদেশ
থেকে একেবারে জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে এটি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ মনে করছে, বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে এ
দেশেও জঙ্গিবাদ উৎসাহিত হয়। বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থান জানাতে জঙ্গিরা
বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। এই স্থানে আজ সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশ কারাগারে বন্দী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ যে নির্মূল হয়ে যায়নি তা জানানোর জন্য তারা ব্যক্তি বা স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করে। এর একটি দিক হচ্ছে নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দেওয়া আর একটি হচ্ছে অন্যদের তাঁদের দলে ভিড়তে উৎসাহিত করা। ডিএমপির এই মুখপত্র বলেন, জঙ্গিরা কারাগারে বসেও নানা কৌশলে বাইরে তাঁদের সংগঠনের দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, জঙ্গিরা কারাগারে মোবাইলে কথা বলছে। এ ছাড়া তাদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেখা করার সময় সংগঠনের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে।’
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আজকে গ্রেপ্তার করা আট জঙ্গির একজন আবু তালহা মোহাম্মদ ফাহিম ওরফে পাখি গ্রেপ্তার থাকা জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের ছেলে। বাবা কারাগারে থাকায় তিনি জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে কাজ করছিলেন। আর তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ময়মনসিংহের ত্রিশালের জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়ে তাঁর বাবা ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানীকে ছিনিয়ে নেওয়া।
মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা এটা বলেন দেশে জঙ্গি নেই তাঁরা আগেও এ ধরনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে জেএমবি ৬৩ জেলায় বোমা হামলা চালিয়ে তাঁদের ব্যাপক অবস্থানের কথা জানান দেয়। তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে একেবারে নির্মল করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের অভিযানের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে আছে। তাঁর মতে, গত দুই বছরে ইরাক, সিরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি তৎপরতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনদের নানা কার্যক্রমে এ দেশেও জঙ্গি তৎপরতায় অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে। যেহেতু এখন ঘরে বসেই ইন্টারনেটে অন্যান্য দেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ সহ কার্যক্রম সহজেই দেখা যাচ্ছে তাই সেখান থেকে ওই কার্যক্রমের ভিডিও দেখে এ দেশেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়। তার ধারাবাহিকতায় এ দেশেও জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গিদের বিষয়ে গোয়েন্দাদের তৎপরতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জঙ্গিদের বিষয়ে তৎপর আছি ও জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছি। আটক আট জঙ্গির বিষয়ে আমরা আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছি। ত্রিশালের ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্তরা আছে কি না যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের অর্থের যোগানদাতাদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। এই স্থানে আজ সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশ কারাগারে বন্দী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের ছেলেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ যে নির্মূল হয়ে যায়নি তা জানানোর জন্য তারা ব্যক্তি বা স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করে। এর একটি দিক হচ্ছে নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দেওয়া আর একটি হচ্ছে অন্যদের তাঁদের দলে ভিড়তে উৎসাহিত করা। ডিএমপির এই মুখপত্র বলেন, জঙ্গিরা কারাগারে বসেও নানা কৌশলে বাইরে তাঁদের সংগঠনের দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, জঙ্গিরা কারাগারে মোবাইলে কথা বলছে। এ ছাড়া তাদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেখা করার সময় সংগঠনের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে।’
গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আজকে গ্রেপ্তার করা আট জঙ্গির একজন আবু তালহা মোহাম্মদ ফাহিম ওরফে পাখি গ্রেপ্তার থাকা জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমানের ছেলে। বাবা কারাগারে থাকায় তিনি জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে কাজ করছিলেন। আর তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ময়মনসিংহের ত্রিশালের জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়ে তাঁর বাবা ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানীকে ছিনিয়ে নেওয়া।
মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা এটা বলেন দেশে জঙ্গি নেই তাঁরা আগেও এ ধরনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরে জেএমবি ৬৩ জেলায় বোমা হামলা চালিয়ে তাঁদের ব্যাপক অবস্থানের কথা জানান দেয়। তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে একেবারে নির্মল করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের অভিযানের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে আছে। তাঁর মতে, গত দুই বছরে ইরাক, সিরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি তৎপরতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনদের নানা কার্যক্রমে এ দেশেও জঙ্গি তৎপরতায় অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে। যেহেতু এখন ঘরে বসেই ইন্টারনেটে অন্যান্য দেশের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ সহ কার্যক্রম সহজেই দেখা যাচ্ছে তাই সেখান থেকে ওই কার্যক্রমের ভিডিও দেখে এ দেশেও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়। তার ধারাবাহিকতায় এ দেশেও জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। জঙ্গিদের বিষয়ে গোয়েন্দাদের তৎপরতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জঙ্গিদের বিষয়ে তৎপর আছি ও জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছি। আটক আট জঙ্গির বিষয়ে আমরা আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছি। ত্রিশালের ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্তরা আছে কি না যাচাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের অর্থের যোগানদাতাদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
No comments