দেড় হাজার যাত্রীর নিরাপত্তায় পাঁচজন পুলিশ! by সুমন মোল্লা, দুলাল ঘোষ ও শাহাদৎ হোসেন,
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট,
নোয়াখালী-ঢাকা-ময়মনসিংহসহ পূর্বাঞ্চল রেলপথে প্রতি রাতে প্রায় ৫০টি
যাত্রীবাহী আন্তনগর ও মেইল ট্রেন চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেনে গড়ে এক থেকে
দেড় হাজার যাত্রী ভ্রমণ করে থাকে।
অথচ এই যাত্রীদের
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন রেলওয়ে পুলিশের চার-পাঁচজন সদস্য। রেলওয়ের
নিয়ন্ত্রণকক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টগ্রাম মেইল
(টু ডাউন) ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর ছাড়ে। এই ট্রেনে প্রায় ১৯টি
কামরা থাকে। এর মধ্যে পাঁচটি মালবাহী। চারটি প্রথম ও তাপানুকূল। অপর ১০টি
দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীর কামরা। ৬০টি যাত্রী-আসনের বিপরীতে এগুলোতে যাত্রী
ভ্রমণ করে গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন। এই রেলপথে চলাচলকারী আখাউড়া ও ভৈরবের
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় পথে রাতে চলাচলকারী মেইল
ট্রেনগুলোতে রেলওয়ে পুলিশ একটি করে যাত্রী-কামরা দখল করে। তারা টাকা নিয়ে
ওই কামরায় যাত্রী তোলে। পুরো যাত্রায় তারা যাত্রী তুলতেই ব্যস্ত থাকে। ফলে
ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলের ১২টি থানার পুলিশ রাতের ট্রেনগুলোর যাত্রীদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে। ট্রেনের তুলনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সংখ্যা কম বলে আনসার সদস্যরা এখানে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন। তবে সম্প্রতি প্রতিটি থানা থেকে প্রায় ২০ জন করে আনসার সদস্য সরিয়ে নেওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। প্রতিটি ট্রেনে আটজন করে নিরাপত্তাকর্মী থাকার কথা। কিন্তু লোকবলের অভাবে বর্তমানে চারজনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
রেলওয়ের পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অনেকগুলো কারণেই রাতের ট্রেনে যাত্রীরা পুরোপুরি নিরাপদ নন। লোকবলের সংকট, মেইল ট্রেনগুলোর এক বগি থেকে অন্য বগিতে যেতে না পারা, রাতে অনেক ট্রেনে আলো না থাকা ইত্যাদি। তবে রেলওয়ে পুলিশের ট্রেনের কামরা দখলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম জানান, পূর্বাঞ্চলীয় জোনে ১২টি থানা ও ১৭টি ফাঁড়ি আছে। মাত্র ৭৩৭ জন পুলিশ ও ১৫০ জন আনসার দিয়ে তা পরিচালনা করতে হয়। কতজন হলে সমস্যার সমাধন সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বিগুণ হলেও যাত্রীদের পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। লোকবল সংকটের কারণে প্রতি ট্রেনে তিন বা চারজন নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের আন্তনগর ট্রেনগুলোতে মধ্যবর্তী করিডর দিয়ে এক কামরা থেকে অন্য কামরায় যাতায়াত করা যায়। এ কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এক কামরা থেকে অন্য কামরায় চলাচল করে নজর রাখতে পারেন। কিন্তু মেইল ট্রেনগুলোতে এই সুবিধা নেই। ওই ট্রেনগুলোর দুটি কামরায় নিরাপত্তাকর্মী থাকলে বাকি ছয় থেকে সাতটি কামরা চলন্ত অবস্থায় অনিরাপদ। কুমিল্লা-আখাউড়া-ভৈরব সেকশনে শুধু যাত্রীই নয়, কয়েক বছর আগে রেলওয়ের দুজন কর্মীও খুনের শিকার হন। অহরহ ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। মলম, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতাও রাতের ট্রেনে থেমে নেই। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিতাস কমিউটার ট্রেনে ডাকাতেরা ছুরিকাঘাত করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে তিন যাত্রীকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা ট্রেনটি আখাউড়া জংশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো। ট্রেনটির ইঞ্জিনের পাশের বগিটির দরজায় লেখা পরিচালকের কামরা। নিচে দুজন নিরাপত্তাকর্মী দাঁড়ানো। তাঁরা ওই কামরায় প্রায় ১৩ জন যাত্রী তুলে নিজেরাও উঠে পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত বলেন, সাশ্রয়ী, সুবিধা ও নিরাপদ ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে আগে ট্রেন সবার কাছে জনপ্রিয় ছিল। এখন জনপ্রিয়তা কমছে। কারণ, ট্রেনের যাত্রীরা আগের মতো নিরাপদ বোধ করতে পারে না ।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলের ১২টি থানার পুলিশ রাতের ট্রেনগুলোর যাত্রীদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে। ট্রেনের তুলনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সংখ্যা কম বলে আনসার সদস্যরা এখানে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন। তবে সম্প্রতি প্রতিটি থানা থেকে প্রায় ২০ জন করে আনসার সদস্য সরিয়ে নেওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। প্রতিটি ট্রেনে আটজন করে নিরাপত্তাকর্মী থাকার কথা। কিন্তু লোকবলের অভাবে বর্তমানে চারজনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
রেলওয়ের পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অনেকগুলো কারণেই রাতের ট্রেনে যাত্রীরা পুরোপুরি নিরাপদ নন। লোকবলের সংকট, মেইল ট্রেনগুলোর এক বগি থেকে অন্য বগিতে যেতে না পারা, রাতে অনেক ট্রেনে আলো না থাকা ইত্যাদি। তবে রেলওয়ে পুলিশের ট্রেনের কামরা দখলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম জানান, পূর্বাঞ্চলীয় জোনে ১২টি থানা ও ১৭টি ফাঁড়ি আছে। মাত্র ৭৩৭ জন পুলিশ ও ১৫০ জন আনসার দিয়ে তা পরিচালনা করতে হয়। কতজন হলে সমস্যার সমাধন সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বিগুণ হলেও যাত্রীদের পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। লোকবল সংকটের কারণে প্রতি ট্রেনে তিন বা চারজন নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের আন্তনগর ট্রেনগুলোতে মধ্যবর্তী করিডর দিয়ে এক কামরা থেকে অন্য কামরায় যাতায়াত করা যায়। এ কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এক কামরা থেকে অন্য কামরায় চলাচল করে নজর রাখতে পারেন। কিন্তু মেইল ট্রেনগুলোতে এই সুবিধা নেই। ওই ট্রেনগুলোর দুটি কামরায় নিরাপত্তাকর্মী থাকলে বাকি ছয় থেকে সাতটি কামরা চলন্ত অবস্থায় অনিরাপদ। কুমিল্লা-আখাউড়া-ভৈরব সেকশনে শুধু যাত্রীই নয়, কয়েক বছর আগে রেলওয়ের দুজন কর্মীও খুনের শিকার হন। অহরহ ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। মলম, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতাও রাতের ট্রেনে থেমে নেই। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিতাস কমিউটার ট্রেনে ডাকাতেরা ছুরিকাঘাত করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে তিন যাত্রীকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা ট্রেনটি আখাউড়া জংশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো। ট্রেনটির ইঞ্জিনের পাশের বগিটির দরজায় লেখা পরিচালকের কামরা। নিচে দুজন নিরাপত্তাকর্মী দাঁড়ানো। তাঁরা ওই কামরায় প্রায় ১৩ জন যাত্রী তুলে নিজেরাও উঠে পড়েন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত বলেন, সাশ্রয়ী, সুবিধা ও নিরাপদ ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে আগে ট্রেন সবার কাছে জনপ্রিয় ছিল। এখন জনপ্রিয়তা কমছে। কারণ, ট্রেনের যাত্রীরা আগের মতো নিরাপদ বোধ করতে পারে না ।
No comments