জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষ- যশোরে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
হরতাল চলাকালে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা সদরে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের
ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে পুলিশের সাত সদস্য ও
জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত পুলিশ কনস্টেবল
জহুরুল হক (৫৫) থানায় ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট
জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হরতালে পিকেটিং করার জন্য মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের এক শ থেকে দেড় শ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে মনিরামপুর থানার মোড় থেকে কলেজ পর্যন্ত এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ছয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান নেতা-কর্মীরা। পুলিশ তখন লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় শিবিরের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আজম খান জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল ও ইটের খোয়া ছুড়তে থাকে। তাঁরা গুলতি দিয়ে মার্বেলও ছুড়ে মারেন। তাঁদের প্রতিহত করতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশের চার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিন কনস্টেবল আহত হন বলে দাবি করেন ওসি।
ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শিবিরের চার কর্মীকে আটক করে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার টুনিয়া ঘরা গ্রামের শাহ মুরাদ (৩০), মনোহরপুর গ্রামের জামাল উদ্দীন (৩৩) ও হায়াতপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান এবং কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের ইয়াসিন আলী (২৫)।
যশোর জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।’ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন আবদুর রশিদ।
পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর ব্যাপারে ওসি আলী আজম খান জানান, সংঘর্ষের সময় কনস্টেবল জহুরুল পরোপুরি সুস্থ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে সংঘর্ষে তিনি আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসান মাহমুদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক হাসান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশের বাঁ চোখের নিচে জখমের একটি চিহ্ন ছিল। লাশের ময়নাতদন্ত করেন তিন চিকিৎসক। তাঁদের একজন যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক মো. হুসাইন শাফায়াত বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, লাশের বাঁ চোখের নিচে একটি ক্ষতচিহ্ন ছিল। কিন্তু সেটি ততটা গুরুতর ছিল না; যতটা গুরুতর হলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। হূদ্যন্ত্রে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে। হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে জহুরুলের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হরতালে পিকেটিং করার জন্য মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের এক শ থেকে দেড় শ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে মনিরামপুর থানার মোড় থেকে কলেজ পর্যন্ত এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ছয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান নেতা-কর্মীরা। পুলিশ তখন লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় শিবিরের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আজম খান জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল ও ইটের খোয়া ছুড়তে থাকে। তাঁরা গুলতি দিয়ে মার্বেলও ছুড়ে মারেন। তাঁদের প্রতিহত করতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশের চার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিন কনস্টেবল আহত হন বলে দাবি করেন ওসি।
ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শিবিরের চার কর্মীকে আটক করে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, মনিরামপুর উপজেলার টুনিয়া ঘরা গ্রামের শাহ মুরাদ (৩০), মনোহরপুর গ্রামের জামাল উদ্দীন (৩৩) ও হায়াতপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান এবং কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের ইয়াসিন আলী (২৫)।
যশোর জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।’ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন আবদুর রশিদ।
পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর ব্যাপারে ওসি আলী আজম খান জানান, সংঘর্ষের সময় কনস্টেবল জহুরুল পরোপুরি সুস্থ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে সংঘর্ষে তিনি আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসান মাহমুদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক হাসান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, লাশের বাঁ চোখের নিচে জখমের একটি চিহ্ন ছিল। লাশের ময়নাতদন্ত করেন তিন চিকিৎসক। তাঁদের একজন যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক মো. হুসাইন শাফায়াত বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, লাশের বাঁ চোখের নিচে একটি ক্ষতচিহ্ন ছিল। কিন্তু সেটি ততটা গুরুতর ছিল না; যতটা গুরুতর হলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। হূদ্যন্ত্রে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া গেছে। হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে জহুরুলের মৃত্যু হয়েছে।
No comments