কৌশলী মুদ্রানীতি ঘোষণা ॥ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রাধান্য পেল- প্রবৃদ্ধি নিয়ে উচ্চাশা নেই, বেসরকারী খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি
ভোক্তা মূল্যস্ফীতি স্বস্তিকর
নিম্নমাত্রায় পরিমিত ও স্থিতিশীল রাখাকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এবং
প্রবৃদ্ধির সঙ্গে কিছুটা আপোস করেই চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য
(জানুয়ারি-জুন) একটি কৌশলী ও ব্যালেন্স মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ
ব্যাংক।
আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন মুদ্রানীতির ঘোষণা দিয়ে
গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমরা প্রবৃদ্ধি চাই। তবে সেটি মূল্যস্ফীতিকে
নিয়ন্ত্রণে রেখে। কারণ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে গরিবের শত্রু। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে
এই শত্রুকে প্রতিহত করতে সহায়ক সব কৌশলই রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি
সহায়ক বেসরকারী খাতের ঋণের প্রবাহও আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। তবে এই
বর্ধিত পরিসর প্রবৃদ্ধিমুখী ও উৎপাদনমুখী উদ্যোগে ঋণ যোগানোর পর্যাপ্ততা
নিশ্চিতকরণে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে সম্পদ মূল্য বুদবুদ সৃষ্টিকারী
ঝুঁকিপ্রবণ অনুৎপাদনশীল কর্মকা-ে ঋণ যোগান নিরুৎসাহিত রেখে ভোক্তা
মূল্যস্ফীতি নিম্নগামী রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক সজাগ ও সক্রিয় থাকবে। অর্থাৎ
আমরা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দুই পথেই হাঁটতে চলেছি। এই হাঁটার পথে
(মুদ্রানীতি প্রণয়নে) সমর্থন যাচাইয়ে প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষজ্ঞ ও
স্টেকহোল্ডার মহলের সঙ্গে আলোচনা ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত, পরামর্শ ও
পর্যবেক্ষণ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রানীতির ঘোষণা দেন গবর্নর। এ সময় ড. রহমান বলেন, এবারের মুদ্রানীতি ভঙ্গির লক্ষ্য হবে এই অর্থবছরে মুদ্রা যোগানের প্রবৃদ্ধি দেশজ উৎপাদনে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে পর্যাপ্ততার পাশাপাশি গড় বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য সঙ্গতিপূর্ণ মাত্রায় সীমিত রাখা। এক্ষেত্রে ঘোষিত মুদ্রানীতি সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও মূল্যস্ফীতিকে সংযত আচরণ করার দিকে ধাবিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে মুদ্রানীতিতে রাখা ভারসাম্যপূর্ণ ভঙ্গি টাকার মূল্যমানে অবাঞ্ছনীয় উচ্চ অস্থিতিশীলতা এড়াতে সহায়ক হবে।
আগামী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি অনুসারে বেসরকারী খাতে ঋণের প্রবাহের গতিবিধি উল্লেখ করে সম্পর্কে ড. আতিউর জানান, এবার বেসরকারী খাতের ঋণের প্রবাহ আগের তুলনায় বাড়িয়ে ১৮.৫ শতাংশে ধার্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক মুদ্রা যোগানোর প্রবৃদ্ধি সীমা আগেকার ১৬.৫ শতাংশ থেকে ১৭.৭ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। তবে এবারের মুদ্রানীতি ঘোষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ঋণের ব্যবহারে গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করা। পাশাপাশি উৎপাদন প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি মন্দাজনিত চাহিদা দুর্বলতার ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব মুখ্যনীতি সুদহার অর্থাৎ রেপো ও বিশেষ রেপো সুদহার ০.৫ শতাংশে কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ। তবে যেহেতু ইপ্সিত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে বিবিধমুখী ট্রেড-অফও নিহীত রয়েছে, তাই চলমান আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিস্থিতির আলোকে এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত পর্যালোচনায় রাখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঋণের ব্যবহারে গুণগত মান রক্ষার পদক্ষেপ সম্পর্কে মুদ্রানীতিতে জানানো হয়, বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সমেত সব উৎপাদনমুখী কর্মকা-ে পৌঁছায় সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সূচিত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে। দেশের মূলধন বাজারের কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা ও গতিশীলতা বজায় রাখার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্রিয় সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এটি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রানীতির ঘোষণা দেন গবর্নর। এ সময় ড. রহমান বলেন, এবারের মুদ্রানীতি ভঙ্গির লক্ষ্য হবে এই অর্থবছরে মুদ্রা যোগানের প্রবৃদ্ধি দেশজ উৎপাদনে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে পর্যাপ্ততার পাশাপাশি গড় বার্ষিক ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য সঙ্গতিপূর্ণ মাত্রায় সীমিত রাখা। এক্ষেত্রে ঘোষিত মুদ্রানীতি সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও মূল্যস্ফীতিকে সংযত আচরণ করার দিকে ধাবিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে মুদ্রানীতিতে রাখা ভারসাম্যপূর্ণ ভঙ্গি টাকার মূল্যমানে অবাঞ্ছনীয় উচ্চ অস্থিতিশীলতা এড়াতে সহায়ক হবে।
আগামী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি অনুসারে বেসরকারী খাতে ঋণের প্রবাহের গতিবিধি উল্লেখ করে সম্পর্কে ড. আতিউর জানান, এবার বেসরকারী খাতের ঋণের প্রবাহ আগের তুলনায় বাড়িয়ে ১৮.৫ শতাংশে ধার্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক মুদ্রা যোগানোর প্রবৃদ্ধি সীমা আগেকার ১৬.৫ শতাংশ থেকে ১৭.৭ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। তবে এবারের মুদ্রানীতি ঘোষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ঋণের ব্যবহারে গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করা। পাশাপাশি উৎপাদন প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি মন্দাজনিত চাহিদা দুর্বলতার ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব মুখ্যনীতি সুদহার অর্থাৎ রেপো ও বিশেষ রেপো সুদহার ০.৫ শতাংশে কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ। তবে যেহেতু ইপ্সিত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে বিবিধমুখী ট্রেড-অফও নিহীত রয়েছে, তাই চলমান আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিস্থিতির আলোকে এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত পর্যালোচনায় রাখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ঋণের ব্যবহারে গুণগত মান রক্ষার পদক্ষেপ সম্পর্কে মুদ্রানীতিতে জানানো হয়, বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবাহ যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সমেত সব উৎপাদনমুখী কর্মকা-ে পৌঁছায় সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সূচিত ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে। দেশের মূলধন বাজারের কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা ও গতিশীলতা বজায় রাখার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্রিয় সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এটি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
No comments