নেশা করতে গিয়ে নিজেদের তৈরি সুড়ঙ্গেই মৃত্যু তিন কিশোরের
নেশা করার জন্য অতি সংগোপনে মাটি কেটে
সুড়ঙ্গ বানিয়েছিল চার কিশোর। প্রতিরাতে ওই সুড়ঙ্গে বসে নেশা এবং জুয়া খেলে
আমোদ ফুর্তিও করত তারা।
কিন্তু কে জানত ওই সুড়ঙ্গে অতি
সংগোপনেই মৃত্যু হবে তাদের! তিন কিশোরের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাই
ঘটেছে রংপুর মহানগরীর শহরতলীতে। বৃহস্পতিবার সকালে তিন কিশোরের একই সঙ্গে
মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে দেখার জন্য কৌতূহলী মানুষের ঢল নামে।
শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা।
মহানগরীর পূর্ব খাসবাগ এলাকার মাছ বিক্রেতা সুন্দর আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন বাপ্পী (১৬), একই এলাকার ভ্যানচালক আজাদ মিয়ার পুত্র নুর ইসলাম লিমন (১৫) ও চিড়া মুড়ি বিক্রেতা বিরাজ মিয়ার ছেলে শাকিল (১৬) এবং পার্শ্ববর্তী বালাটারী বীরভদ্র গ্রামের ফরিদ আহমেদের ছেলে রিপন (১৬) একে অপরের বন্ধু। এদের কেউ মাদ্রাসা ছাত্র কেউ আবার কর্মজীবী। কিন্তু এ অল্প বয়সেই নেশার রাজ্যে পাড়ি জমায় তারা। প্রতি রাতেই তারা নেশা করত। কিন্তু তাদের এ নেশায় বাঁদ সাধে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এলাকাবাসী। ফলে চার বন্ধু বুদ্ধি করে নেশা করার নিরাপদ জায়গা হিসেবে রিপনের বাসার পাশের খোলা জায়গায় মাটি কেটে গোপনে গড়ে তোলে বড় এক সুড়ঙ্গ। রাতের আধার নামলে সেখানেই কাঁথা কম্বল বিছিয়ে, চার্জার লাইট জ্বালিয়ে নেশা করত তারা।
বুধবার রাতেও একই কায়দায় সেখানে নেশার জন্য বসে তারা। রিপনের ছোট বোন ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী রূপা আক্তার জানায়, বুধবার রাতে তাদের বাবা বাসায় থাকায় তার ভাই রিপন ওদের সঙ্গে যায়নি। বাপ্পী, লিমন আর শাকিল মিলেই বুধবার রাতে বসে সেখানে। বাপ্পীর বাবা সুন্দর আলী জানায়, বুধবার রাতের খাওয়া শেষ বাসা থেকে বের হয় তার ছেলে বাপ্পী। কিন্তু সারা রাতেও আর ফিরে আসেনি। সকালে খোঁজ করেও তার অবস্থান জানা যায়নি। একই অবস্থার কথা জানান লিমন এবং শাকিলের পরিবারের সদস্যরাও। কোথাও তাদের খুঁজে না পাওয়ায় সবাই তাদের বন্ধু রিপনকে খোঁজে। পরে রিপন ওই গোপন সুড়ঙ্গে গিয়ে দেখতে পায় সুড়ঙ্গের চার ধারের মাটি চাপায় তাদের মৃতদেহ ঢাকা পড়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের পৃথক দুটি দল এসে তাদের উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে গা-ঢাকা দেয় রিপন।
এলাকার ব্যবসায়ী জামাল মিয়া জানান, খুব অল্প বয়সেই তারা নানা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এর আগেও তাদের নেশা থেকে বিরত থাকা এবং এলাকার পরিবেশ নষ্ট না করার জন্য বহুবার বলা হয়েছিল। আর এ কারণেই তারা সুড়ঙ্গ কেটে গোপনে এ কাজ করত বলেই তাদের ধারণা বলে জানান তিনি। পলাতক রিপনের ছোট বোন রূপা আক্তার জানায়, এই সুরঙ্গ তাদের জমিতে এবং বাসার সঙ্গে হলেও তারা কোনদিন তা বুঝতে পারেনি। রাতে সেখানে বসলেও হয়ত উপরে গাছপালা ফেলে তা ঢেকে রাখত। যে কারণে বোঝার উপায় ছিল না।
নিহতদের সুরতহাল তৈরির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আফওয়াজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে তার কাছে মনে হয়েছে, ওই মাটির গর্তে বসে নেশা করত এবং মাটি চাপাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তারা মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় হয়ত ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহানগরীর পূর্ব খাসবাগ এলাকার মাছ বিক্রেতা সুন্দর আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন বাপ্পী (১৬), একই এলাকার ভ্যানচালক আজাদ মিয়ার পুত্র নুর ইসলাম লিমন (১৫) ও চিড়া মুড়ি বিক্রেতা বিরাজ মিয়ার ছেলে শাকিল (১৬) এবং পার্শ্ববর্তী বালাটারী বীরভদ্র গ্রামের ফরিদ আহমেদের ছেলে রিপন (১৬) একে অপরের বন্ধু। এদের কেউ মাদ্রাসা ছাত্র কেউ আবার কর্মজীবী। কিন্তু এ অল্প বয়সেই নেশার রাজ্যে পাড়ি জমায় তারা। প্রতি রাতেই তারা নেশা করত। কিন্তু তাদের এ নেশায় বাঁদ সাধে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এলাকাবাসী। ফলে চার বন্ধু বুদ্ধি করে নেশা করার নিরাপদ জায়গা হিসেবে রিপনের বাসার পাশের খোলা জায়গায় মাটি কেটে গোপনে গড়ে তোলে বড় এক সুড়ঙ্গ। রাতের আধার নামলে সেখানেই কাঁথা কম্বল বিছিয়ে, চার্জার লাইট জ্বালিয়ে নেশা করত তারা।
বুধবার রাতেও একই কায়দায় সেখানে নেশার জন্য বসে তারা। রিপনের ছোট বোন ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী রূপা আক্তার জানায়, বুধবার রাতে তাদের বাবা বাসায় থাকায় তার ভাই রিপন ওদের সঙ্গে যায়নি। বাপ্পী, লিমন আর শাকিল মিলেই বুধবার রাতে বসে সেখানে। বাপ্পীর বাবা সুন্দর আলী জানায়, বুধবার রাতের খাওয়া শেষ বাসা থেকে বের হয় তার ছেলে বাপ্পী। কিন্তু সারা রাতেও আর ফিরে আসেনি। সকালে খোঁজ করেও তার অবস্থান জানা যায়নি। একই অবস্থার কথা জানান লিমন এবং শাকিলের পরিবারের সদস্যরাও। কোথাও তাদের খুঁজে না পাওয়ায় সবাই তাদের বন্ধু রিপনকে খোঁজে। পরে রিপন ওই গোপন সুড়ঙ্গে গিয়ে দেখতে পায় সুড়ঙ্গের চার ধারের মাটি চাপায় তাদের মৃতদেহ ঢাকা পড়ে আছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের পৃথক দুটি দল এসে তাদের উদ্ধার করে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে গা-ঢাকা দেয় রিপন।
এলাকার ব্যবসায়ী জামাল মিয়া জানান, খুব অল্প বয়সেই তারা নানা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এর আগেও তাদের নেশা থেকে বিরত থাকা এবং এলাকার পরিবেশ নষ্ট না করার জন্য বহুবার বলা হয়েছিল। আর এ কারণেই তারা সুড়ঙ্গ কেটে গোপনে এ কাজ করত বলেই তাদের ধারণা বলে জানান তিনি। পলাতক রিপনের ছোট বোন রূপা আক্তার জানায়, এই সুরঙ্গ তাদের জমিতে এবং বাসার সঙ্গে হলেও তারা কোনদিন তা বুঝতে পারেনি। রাতে সেখানে বসলেও হয়ত উপরে গাছপালা ফেলে তা ঢেকে রাখত। যে কারণে বোঝার উপায় ছিল না।
নিহতদের সুরতহাল তৈরির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আফওয়াজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে তার কাছে মনে হয়েছে, ওই মাটির গর্তে বসে নেশা করত এবং মাটি চাপাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তারা মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় হয়ত ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments