রাবিতে বিএনপি নামধারী জামায়াতী শিক্ষক বিরোধী শুদ্ধি অভিযান- টিচার্স ক্লাবে ৩ জনকে ধাওয়া
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি নামধারী
জামায়াতের অনুসারী শিকদের ধাওয়া করে শিক কাব থেকে বের করে দিয়েছেন
বিএনপিপন্থী শিকরা। এ সময় তাঁরা তিন শিককে শারীরিভাবে লাঞ্ছিতও করেন।
জামায়াতপন্থী শিকদের গোপন বৈঠকে বিএনপি নামধারী জামায়াতের শিকদের যোগ
দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে জুবেরী ভবনে এই ঘটনা ঘটে। এতে
ক্যাম্পাসে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়, রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী গ্রেফতারের পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী শিকরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক গ্রম্নপের
ব্যানারে শহীদুলস্নাহ কলা ভবনের ৪০৪ নম্বর ক েগোপন বৈঠক করেন। এতে জামায়াতের আবুল হাশেম, ড. বেলাল হোসেন, ড. আজহারম্নল ইসলাম, ড. আব্দুল হান্নান, শামসুল আলম সরকার, মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, ফকির নজরম্নল ইসলাম, ড. ইফতেখার আলম মাসউদ, ড. নিজাম উদ্দীন, ড. আইয়ুব আলী, ড. মাহফুজসহ জামায়াতের ৪০/৪৫ শিক অংশ নেন। ওই রম্নদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি নামধারী জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত ড. মু. আজহার আলী, এম সাদেকুল ইসলাম, নজরম্নল ইসলাম (হিসাববিজ্ঞান), রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, ড. হাসানাত আলীসহ ১০/১৫ শিক অংশ নেন। সভায় রাবি প্রশাসনের বিরম্নদ্ধে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার ল্যে ড. মু. আজহার আলীকে আহ্বায়ক করে সাদা দলের চার সদস্যের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন ড. সিএম মোসত্মফা, ড. বেলাল হোসেন ও ড. এফ নজরম্নল ইসলাম। এ ছাড়া সভায় রাবিসহ সারাদেশে শিবির নেতাকমর্ীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে দুই শতাধিক শিকের স্বার সংবলিত একটি স্মারকলিপি তৈরি করা হয়। স্মারকলিপিতে যেসব শিকের স্বার রয়েছে তার মধ্যে ১৫২ জন মূলধারার বিএনপিপন্থী শিক জামায়াতের শিকদের সাদা দলে না রাখার দাবিতে গত মাসের শেষের দিকে স্বার করেন। গত সপ্তাহে ড. মু. আজহার আলী ওই শিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জামায়াত অধু্যষিত সাদা দল থেকে পদত্যাগ করবেন বলে স্বারকৃত সিটটি তাঁর কাছে রাখেন। কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পর ওই স্বারগুলোই জাল করে তিনি শিবিরের প েস্মারকলিপি তৈরি করেন।
এদিকে সাদা দলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ রাত ১০টার দিকে জুবেরী ভবনে এসে জামায়াতপন্থী শিকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত মূলধারার বিএনপির অনুসারী শিক নজরম্নল ইসলাম মিঞা, আতাউল্যাহ্, খালেদউজ্জামান মিজান, এসএম শফিউজ্জামান ডাবলু, গোলাম আরিফ, নেছার উদ্দিন রাকিব, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, নূরে আলম, আব্দুল হান্নান, সারোয়ার জাহান লিটন, গোলাম মতর্ুজা, আব্দুল আলিম, খোন্দকার ইমামুল হক, আব্দুল বারিসহ ৩০/৩৫ শিক ড. আজহার আলীর কাছে জামায়াতের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে বিধিবহির্ভূতভাবে সাদা দলের কমিটি গঠন এবং স্বার জাল করে স্মারকলিপি তৈরির কারণ জানতে চান। এ সময় ড. আজহার আলী, এম সাদেকুল ইসলাম ও নজরম্নল ইসলাম উল্টো ওই শিকদের ওপর চড়াও হলে দু'গ্রম্নপ শিকের মধ্যে চরম বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। হট্টগোলের এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থী শিকরা আজহার আলী, সাদেকুল ইসলাম ও নজরম্নল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় সাবেক প্রক্টর শামসুল আলম সরকার উত্তেজিত হয়ে 'যা বায়ান্ন তা-ই তিপ্পান্ন, যা বিএনপি তা-ই জামায়াত' বলে মনত্মব্য করলে বিএনপিপন্থী শিকরা নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি নামধারী জামায়াতের শিকদের 'ধর ধর, জামায়াতের দালাল ধর' বলে ধাওয়া করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিএনপি নামধারী জামায়াতের ১২/১৩ শিক টিচার্স কাব জুবেরী ভবনের পেছনের গেট দিয়ে দৌড়ে কাজলার দিকে চলে যান। এ সময় জুবেরী ভবনে কয়েক শ' শিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দু'গ্রম্নপ শিকদের মধ্যে বাকবিত-ার সময় কৌশলে জামায়াতের ২০/২৫ শিক জুবেরী ভবন থেকে কেটে পড়েন।
এ ব্যাপারে বিএনপিপন্থী শিক খালেদউজ্জামান মিজান ও আতাউল্যাহ্ বলেন, আমরা শুদ্ধি অভিযানে নেমেছি। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ব্যবহার করে জামায়াত চক্র যেন কোন রাজনীতি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শীঘ্রই রাবি শাখা জিয়া পরিষদও জামায়াত-শিবিরমুক্ত করা হবে। কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ শাফি জানান, কলা ভবনের ৪০৪ নম্বর ক েসভা করার জন্য কেউ তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেননি। ড. আজহার আলী, এম সাদেকুল ইসলাম ও নজরম্নল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী গ্রেফতারের পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী শিকরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক গ্রম্নপের
ব্যানারে শহীদুলস্নাহ কলা ভবনের ৪০৪ নম্বর ক েগোপন বৈঠক করেন। এতে জামায়াতের আবুল হাশেম, ড. বেলাল হোসেন, ড. আজহারম্নল ইসলাম, ড. আব্দুল হান্নান, শামসুল আলম সরকার, মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, ফকির নজরম্নল ইসলাম, ড. ইফতেখার আলম মাসউদ, ড. নিজাম উদ্দীন, ড. আইয়ুব আলী, ড. মাহফুজসহ জামায়াতের ৪০/৪৫ শিক অংশ নেন। ওই রম্নদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি নামধারী জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত ড. মু. আজহার আলী, এম সাদেকুল ইসলাম, নজরম্নল ইসলাম (হিসাববিজ্ঞান), রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, ড. হাসানাত আলীসহ ১০/১৫ শিক অংশ নেন। সভায় রাবি প্রশাসনের বিরম্নদ্ধে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার ল্যে ড. মু. আজহার আলীকে আহ্বায়ক করে সাদা দলের চার সদস্যের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন ড. সিএম মোসত্মফা, ড. বেলাল হোসেন ও ড. এফ নজরম্নল ইসলাম। এ ছাড়া সভায় রাবিসহ সারাদেশে শিবির নেতাকমর্ীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে দুই শতাধিক শিকের স্বার সংবলিত একটি স্মারকলিপি তৈরি করা হয়। স্মারকলিপিতে যেসব শিকের স্বার রয়েছে তার মধ্যে ১৫২ জন মূলধারার বিএনপিপন্থী শিক জামায়াতের শিকদের সাদা দলে না রাখার দাবিতে গত মাসের শেষের দিকে স্বার করেন। গত সপ্তাহে ড. মু. আজহার আলী ওই শিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জামায়াত অধু্যষিত সাদা দল থেকে পদত্যাগ করবেন বলে স্বারকৃত সিটটি তাঁর কাছে রাখেন। কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পর ওই স্বারগুলোই জাল করে তিনি শিবিরের প েস্মারকলিপি তৈরি করেন।
এদিকে সাদা দলের নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ রাত ১০টার দিকে জুবেরী ভবনে এসে জামায়াতপন্থী শিকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত মূলধারার বিএনপির অনুসারী শিক নজরম্নল ইসলাম মিঞা, আতাউল্যাহ্, খালেদউজ্জামান মিজান, এসএম শফিউজ্জামান ডাবলু, গোলাম আরিফ, নেছার উদ্দিন রাকিব, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, নূরে আলম, আব্দুল হান্নান, সারোয়ার জাহান লিটন, গোলাম মতর্ুজা, আব্দুল আলিম, খোন্দকার ইমামুল হক, আব্দুল বারিসহ ৩০/৩৫ শিক ড. আজহার আলীর কাছে জামায়াতের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে বিধিবহির্ভূতভাবে সাদা দলের কমিটি গঠন এবং স্বার জাল করে স্মারকলিপি তৈরির কারণ জানতে চান। এ সময় ড. আজহার আলী, এম সাদেকুল ইসলাম ও নজরম্নল ইসলাম উল্টো ওই শিকদের ওপর চড়াও হলে দু'গ্রম্নপ শিকের মধ্যে চরম বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। হট্টগোলের এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থী শিকরা আজহার আলী, সাদেকুল ইসলাম ও নজরম্নল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় সাবেক প্রক্টর শামসুল আলম সরকার উত্তেজিত হয়ে 'যা বায়ান্ন তা-ই তিপ্পান্ন, যা বিএনপি তা-ই জামায়াত' বলে মনত্মব্য করলে বিএনপিপন্থী শিকরা নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিএনপি নামধারী জামায়াতের শিকদের 'ধর ধর, জামায়াতের দালাল ধর' বলে ধাওয়া করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিএনপি নামধারী জামায়াতের ১২/১৩ শিক টিচার্স কাব জুবেরী ভবনের পেছনের গেট দিয়ে দৌড়ে কাজলার দিকে চলে যান। এ সময় জুবেরী ভবনে কয়েক শ' শিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দু'গ্রম্নপ শিকদের মধ্যে বাকবিত-ার সময় কৌশলে জামায়াতের ২০/২৫ শিক জুবেরী ভবন থেকে কেটে পড়েন।
এ ব্যাপারে বিএনপিপন্থী শিক খালেদউজ্জামান মিজান ও আতাউল্যাহ্ বলেন, আমরা শুদ্ধি অভিযানে নেমেছি। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ব্যবহার করে জামায়াত চক্র যেন কোন রাজনীতি করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শীঘ্রই রাবি শাখা জিয়া পরিষদও জামায়াত-শিবিরমুক্ত করা হবে। কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ শাফি জানান, কলা ভবনের ৪০৪ নম্বর ক েসভা করার জন্য কেউ তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নেননি। ড. আজহার আলী, এম সাদেকুল ইসলাম ও নজরম্নল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
No comments