লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতি পোস্টারিং মাইকিং, গ্রামে গ্রামে সাড়া- নেত্রকোনার ঐতিহ্যবাহী 'আড়ং'
আবহমান গ্রাম-বাংলার এক প্রাচীন ঐতিহ্য
ষাঁড়ের লড়াই। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের চিত্তবিনোদনের অনুষঙ্গ হিসাবে এটি
আজও ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় এখনও বছরের বিভিন্ন সময়ে এ
ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
লড়াইয়ের পাশাপাশি
চলে লোকজ মেলা, বাউল-জারি-সারি ও যাত্রা গান। দর্শকদের কোলাহল,
ঢাক-ঢোল-সানাইয়ের মন মাতানো আওয়াজ আর জয়-পরাজয়ের আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত এ
উৎসবের মধ্য দিয়ে চিরায়ত গ্রাম-জনপদ এখনও ফিরে পায় তার সেই হৃত গৌরব।
লোকজ সংস্কৃতির তীর্থভূমি নেত্রকোনার অনেক চিরায়ত ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু এখনও টিকে আছে ষাঁড়ের লড়াই। স্থানীয়ভাবে এটিকে বলা হয় 'আড়ং' বা 'নাড়াই'। প্রায় সারাবছরই নেত্রকোনার বিভিন্ন গ্রামে আড়ং-এর আয়োজন করা হয়। তবে বেশি হয় শীত মৌসুমে। অঘ্রাণের ধান কাটার পর বড় খোলা মাঠে আড়ং-এর আয়োজন করা হয়। প্রায় মাসব্যাপী চলে প্রস্তুতি। গ্রামে-গ্রামে চাঁদা-অনুদান তুলে গঠন করা হয় আয়োজক কমিটি, প্রচারের জন্য করা হয় পোস্টারিং, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ। প্রচার যত বেশি হয়, তত বেশি দর্শক সমাগম ঘটে।
যে কোন ষঁড়ি দিয়ে লড়াই চলে না। আড়ং-এর ষাঁড় পালতে হয় একটু আলাদাভাবে। বছরের পর বছর ষাঁড়ের পেছনে লেগে থাকতে হয়। সাধারণত শৌখিন ব্যক্তিরাই এ ধরনের ষাঁড় পালেন। একটি এঁড়ে বাছুরকে আলাদা ঘরে রেখে, মশারির নিচে ঘুম পাড়িয়ে, রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে, বিশেষভাবে খাইয়ে, সাবানজলে গোসল করিয়ে, শরীরে তেল ও শিংয়ে ডিম মেখে মেখে পুরদস্তুর ষাঁড়ে পরিণত করতে হয়। দিনের আলোয় এদের সচরাচর বাইরে বেড় করা হয় না। দিনে কাটা ঘাস খাওয়ানো হয়। বাইরে বেড় করা হয় শেষ রাতে। মালিকরা ষাঁড়ের গলার সঙ্গে যুক্ত রশি ধরে ধান েেতর আইল ধরে হাঁটেন, আর ষাঁড়ও দু'এক কামড় ধান গাছ খেতে খেতে হাঁটে মালিকের সঙ্গে। এ নিয়ে ঘটে নানা অঘটনও। অন্যের েেতর ধান খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বাধে সংঘর্ষ ও মারামারি। এভাবেই পরম যত্নে ষাঁড় পালন করেন শৌখিন মালিকরা। আর এ জন্য কিছুটা সামাজিক মর্যাদাও পান তাঁরা।
যেখানে লড়াই বা আড়ং-এর আয়োজন হয়, সে গ্রামে দু'এক দিন আগে থেকেই দূর-দূরানত্মের মালিকরা ষাঁড় নিয়ে জড়ো হন। যে ব্যক্তির বাড়িতে ষাঁড় ওঠানো হয়, সে ব্যক্তি বেশ গৌরব বোধ করেন।
লোকজ সংস্কৃতির তীর্থভূমি নেত্রকোনার অনেক চিরায়ত ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু এখনও টিকে আছে ষাঁড়ের লড়াই। স্থানীয়ভাবে এটিকে বলা হয় 'আড়ং' বা 'নাড়াই'। প্রায় সারাবছরই নেত্রকোনার বিভিন্ন গ্রামে আড়ং-এর আয়োজন করা হয়। তবে বেশি হয় শীত মৌসুমে। অঘ্রাণের ধান কাটার পর বড় খোলা মাঠে আড়ং-এর আয়োজন করা হয়। প্রায় মাসব্যাপী চলে প্রস্তুতি। গ্রামে-গ্রামে চাঁদা-অনুদান তুলে গঠন করা হয় আয়োজক কমিটি, প্রচারের জন্য করা হয় পোস্টারিং, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ। প্রচার যত বেশি হয়, তত বেশি দর্শক সমাগম ঘটে।
যে কোন ষঁড়ি দিয়ে লড়াই চলে না। আড়ং-এর ষাঁড় পালতে হয় একটু আলাদাভাবে। বছরের পর বছর ষাঁড়ের পেছনে লেগে থাকতে হয়। সাধারণত শৌখিন ব্যক্তিরাই এ ধরনের ষাঁড় পালেন। একটি এঁড়ে বাছুরকে আলাদা ঘরে রেখে, মশারির নিচে ঘুম পাড়িয়ে, রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে, বিশেষভাবে খাইয়ে, সাবানজলে গোসল করিয়ে, শরীরে তেল ও শিংয়ে ডিম মেখে মেখে পুরদস্তুর ষাঁড়ে পরিণত করতে হয়। দিনের আলোয় এদের সচরাচর বাইরে বেড় করা হয় না। দিনে কাটা ঘাস খাওয়ানো হয়। বাইরে বেড় করা হয় শেষ রাতে। মালিকরা ষাঁড়ের গলার সঙ্গে যুক্ত রশি ধরে ধান েেতর আইল ধরে হাঁটেন, আর ষাঁড়ও দু'এক কামড় ধান গাছ খেতে খেতে হাঁটে মালিকের সঙ্গে। এ নিয়ে ঘটে নানা অঘটনও। অন্যের েেতর ধান খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বাধে সংঘর্ষ ও মারামারি। এভাবেই পরম যত্নে ষাঁড় পালন করেন শৌখিন মালিকরা। আর এ জন্য কিছুটা সামাজিক মর্যাদাও পান তাঁরা।
যেখানে লড়াই বা আড়ং-এর আয়োজন হয়, সে গ্রামে দু'এক দিন আগে থেকেই দূর-দূরানত্মের মালিকরা ষাঁড় নিয়ে জড়ো হন। যে ব্যক্তির বাড়িতে ষাঁড় ওঠানো হয়, সে ব্যক্তি বেশ গৌরব বোধ করেন।
No comments