সামাজিক নিরাপত্তা-প্রবীণদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে by জহিরুল হক মাখন
আবহমান বাংলার গৌরব ও ঐতিহ্য পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে যৌথ পরিবারে ভাঙন ধরেছে বেশ আগেই। আর তখন থেকেই মূলত শুরু হয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা এবং প্রবীণদের প্রতি ঔদাসীন্য-অবহেলা
আংমাদের পারিবারিক বন্ধন কি দিন দিন কেবল আলগা হয়েই চলেছে। কমে যাচ্ছে কি বৃদ্ধ মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সর্বোপরি দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ? প্রশ্নটি এ কারণেই যে, সম্প্রতি একটি খবর হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েছে। খবরটি পারিবারিক আইন সংক্রান্ত। খবরটির সারমর্ম : ছেলের উপার্জনের ১০ শতাংশ বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাধ্যতামূলক দিতে হবে এবং বাবা-মার বা কোনো বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে তাদের সম্মতি ছাড়া বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়া যাবে না। খবরটি দেখে ভালো লেগেছে, আবার বিষণ্নও হয়েছি। ভালো লেগেছে এই ভেবে যে, বৃদ্ধ বয়সে, অসহায় অবস্থায় ছেলের আয়ের ১০ শতাংশ পেলে জীবনযাপনের তীব্র কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন তারা। রোগভোগের কিছুটা চিকিৎসাও করাতে পারবেন। আর বিষণ্ন বোধ করার কারণ এই যে, বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ও নিগ্রহের মাত্রা কি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে?
আবহমান বাংলার গৌরব ও ঐতিহ্য পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে যৌথ পরিবারে ভাঙন ধরেছে বেশ আগেই। আর তখন থেকেই মূলত শুরু হয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা এবং প্রবীণদের প্রতি ঔদাসীন্য-অবহেলা। যান্ত্রিক ও ভোগবাদী মানসিকতার কারণে বয়স্ক বাবা-মা বা পরিবারের বয়োবৃদ্ধরা এখন সন্তান বা নির্ভরশীলদের কাছে বোঝাস্বরূপ। এই ভোগবাদী মানসিকতা থেকেই অনেক সন্তান বাবা-মা বা প্রবীণদের জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। বাবা-মার অধিকার রক্ষায় প্রস্তাবিত প্রবীণ আইন প্রবীণদের অসহায়ত্ব অনেকটা দূর করবে যদি আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়। কথাটি এই কারণেই বলা যে, দেশের অনেক আইন আছে যেগুলোর প্রয়োগ হয় কদাচিৎ। যে কোনো আইন করা হয় দুর্বলকে রক্ষা করার জন্য; কিন্তু বাস্তবে আইনের সুবিধা পায় 'সবলরাই'। যারা বৃদ্ধ বাবা-মাকে জোর করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় বা উপার্জনের কোনো টাকা দেয় না, তাদের বেশিরভাগই এ সমাজের সবল ব্যক্তি। কাজেই এসব 'সবল' সন্তান যেন বৃদ্ধ অধিকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে না পারে সে বিষয়টি সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হবে।
দারিদ্র্য মানুষের জীবনে বড় অভিশাপ। দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটানো কত কষ্টের, কত বেদনার_ তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। আর সেই দারিদ্র্য যদি হয় বৃদ্ধ বয়সের, তাহলে তো বেঁচে থাকাটাই দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সমস্যার অন্ত নেই। পরিপূর্ণ আহার, প্রয়োজনীয় বাসস্থান ও নূ্যনতম চিকিৎসা পাওয়া থেকে এখনও বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। এর মধ্যে একটি বড় অংশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা প্রবীণ। দেশে বয়স্ক বা প্রবীণদের সংখ্যা কত এবং এদের মধ্যে অসহায় কত ভাগ তার সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। প্রবীণ হিতৈষী সংঘের এক জরিপ অনুযায়ী দেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ এবং ২০২৫ সালে তা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় পৌনে ২ কোটিতে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের দেশের প্রবীণদের সংখ্যা বেশি, এমনকি শুধু অসহায় প্রবীণদের সংখ্যাও বেশি। দেখা যাচ্ছে, উন্নত দেশে যে সংখ্যক মানুষ বাস করে, তার চেয়ে বেশি মানুষ প্রবীণ অবস্থায় অসহায় ও আশ্রয়হীন জীবনযাপন করে আমাদের দেশে।
বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক শেক্সপিয়র বার্ধক্যকে আখ্যায়িত করেছেন দ্বিতীয় শৈশবকাল। তবে এই দুই শিশুকালের পরিবেশ ও অবস্থা হয় ভিন্ন রকমের। প্রথম শিশুকাল ভরা থাকে সবার আদর-স্নেহ-মমতা আর ভালোবাসায়। দেখাশোনা ও লালনপালনের জন্য থাকে মা-বাবা ছাড়াও ভাই-বোন, দাদা-দাদিসহ নানা আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু দ্বিতীয় শিশুকালে অর্থাৎ প্রবীণ বয়সে ভালোবাসার প্রধান অবলম্বন মা-বাবাই জীবিত থাকেন না, যারা তখনও বেঁচে থাকেন তারা তো প্রবীণেরও প্রবীণ। এই বার্ধক্যে এসে সন্তান-সন্ততির কাছ থেকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও আদর পান ক'জন? অধিকাংশ বৃদ্ধ বাবা-মার জীবন কাটে অনাদর-অবহেলায়। অনেক সন্তানই তাদের বোঝা মনে করে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। দয়াপরবশ (!) হয়ে কেউ কেউ পাঠায় বৃদ্ধাশ্রমে। বের করে দেওয়া এসব প্রবীণের ঠিকানা হয় রাস্তা, ফুটপাত, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি জায়গায়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, যে সন্তানদের মানুষ করার জন্য যে বাবা-মা সারাজীবন কষ্ট করে গেছেন, সন্তানের সুখের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়েছেন, সেই নরাধম সন্তানদের দ্বারা নিগৃহীত হয়ে বৃদ্ধা মা-বাবার শেষ জীবন অতিকষ্টে অতিবাহিত হয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রবীণদের খাওয়া-পরা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে রাষ্ট্রই। বাংলাদেশে সেসব ব্যবস্থা কল্পনাও করা যায় না। এ কারণেই রাস্তায় বয়োবৃদ্ধ ভিক্ষুক, ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্বেগজনক হারে। ১ কোটির কাছাকাছি প্রবীণের জন্য সরকারি পর্যায়ে প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিস্তান নামক দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় ওই প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম যৎসামান্য বললে বেশি বলা হয় না। তাহলে কি দেশের অসহায় প্রবীণদের শেষ জীবন অর্ধাহারে-অনাহারে বা বিনা চিকিৎসায় কাটবে? আমাদের অর্থাৎ সামর্থ্যবানদের কি কিছুই করার নেই? আছে। আশার বিষয় হচ্ছে, ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ কেউ অসহায় প্রবীণদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার জন্য গড়ে তুলেছেন বৃদ্ধাশ্রম। বস্তুত আমাদের সবারই উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসহায় বয়স্কদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। আর্থিকভাবে না পারলে অন্তত মানসিকভাবে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। একটি ভালোবাসা, একটু সহানুভূতি দেখানো মোটেই কঠিন কিছু নয়।
সব ধর্মগ্রন্থে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা বা পরিবারের প্রবীণদের দেখাশোনা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব আমাদেরই। সবারই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আজকের আমিই আগামী দিনের পরিবারের প্রবীণ। আজ আমি তাদের সঙ্গে যেমন আচরণ করব,
ঠিক সে আচরণ অপেক্ষা করবে
আমার জন্য।
জহিরুল হক মাখন :কলাম লেখক
আবহমান বাংলার গৌরব ও ঐতিহ্য পারিবারিক বন্ধন আলগা হয়ে যৌথ পরিবারে ভাঙন ধরেছে বেশ আগেই। আর তখন থেকেই মূলত শুরু হয়েছে বৃদ্ধ বাবা-মা এবং প্রবীণদের প্রতি ঔদাসীন্য-অবহেলা। যান্ত্রিক ও ভোগবাদী মানসিকতার কারণে বয়স্ক বাবা-মা বা পরিবারের বয়োবৃদ্ধরা এখন সন্তান বা নির্ভরশীলদের কাছে বোঝাস্বরূপ। এই ভোগবাদী মানসিকতা থেকেই অনেক সন্তান বাবা-মা বা প্রবীণদের জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। বাবা-মার অধিকার রক্ষায় প্রস্তাবিত প্রবীণ আইন প্রবীণদের অসহায়ত্ব অনেকটা দূর করবে যদি আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়। কথাটি এই কারণেই বলা যে, দেশের অনেক আইন আছে যেগুলোর প্রয়োগ হয় কদাচিৎ। যে কোনো আইন করা হয় দুর্বলকে রক্ষা করার জন্য; কিন্তু বাস্তবে আইনের সুবিধা পায় 'সবলরাই'। যারা বৃদ্ধ বাবা-মাকে জোর করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় বা উপার্জনের কোনো টাকা দেয় না, তাদের বেশিরভাগই এ সমাজের সবল ব্যক্তি। কাজেই এসব 'সবল' সন্তান যেন বৃদ্ধ অধিকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে না পারে সে বিষয়টি সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হবে।
দারিদ্র্য মানুষের জীবনে বড় অভিশাপ। দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটানো কত কষ্টের, কত বেদনার_ তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। আর সেই দারিদ্র্য যদি হয় বৃদ্ধ বয়সের, তাহলে তো বেঁচে থাকাটাই দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সমস্যার অন্ত নেই। পরিপূর্ণ আহার, প্রয়োজনীয় বাসস্থান ও নূ্যনতম চিকিৎসা পাওয়া থেকে এখনও বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। এর মধ্যে একটি বড় অংশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা প্রবীণ। দেশে বয়স্ক বা প্রবীণদের সংখ্যা কত এবং এদের মধ্যে অসহায় কত ভাগ তার সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। প্রবীণ হিতৈষী সংঘের এক জরিপ অনুযায়ী দেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ এবং ২০২৫ সালে তা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় পৌনে ২ কোটিতে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের দেশের প্রবীণদের সংখ্যা বেশি, এমনকি শুধু অসহায় প্রবীণদের সংখ্যাও বেশি। দেখা যাচ্ছে, উন্নত দেশে যে সংখ্যক মানুষ বাস করে, তার চেয়ে বেশি মানুষ প্রবীণ অবস্থায় অসহায় ও আশ্রয়হীন জীবনযাপন করে আমাদের দেশে।
বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক শেক্সপিয়র বার্ধক্যকে আখ্যায়িত করেছেন দ্বিতীয় শৈশবকাল। তবে এই দুই শিশুকালের পরিবেশ ও অবস্থা হয় ভিন্ন রকমের। প্রথম শিশুকাল ভরা থাকে সবার আদর-স্নেহ-মমতা আর ভালোবাসায়। দেখাশোনা ও লালনপালনের জন্য থাকে মা-বাবা ছাড়াও ভাই-বোন, দাদা-দাদিসহ নানা আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু দ্বিতীয় শিশুকালে অর্থাৎ প্রবীণ বয়সে ভালোবাসার প্রধান অবলম্বন মা-বাবাই জীবিত থাকেন না, যারা তখনও বেঁচে থাকেন তারা তো প্রবীণেরও প্রবীণ। এই বার্ধক্যে এসে সন্তান-সন্ততির কাছ থেকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ও আদর পান ক'জন? অধিকাংশ বৃদ্ধ বাবা-মার জীবন কাটে অনাদর-অবহেলায়। অনেক সন্তানই তাদের বোঝা মনে করে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। দয়াপরবশ (!) হয়ে কেউ কেউ পাঠায় বৃদ্ধাশ্রমে। বের করে দেওয়া এসব প্রবীণের ঠিকানা হয় রাস্তা, ফুটপাত, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি জায়গায়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, যে সন্তানদের মানুষ করার জন্য যে বাবা-মা সারাজীবন কষ্ট করে গেছেন, সন্তানের সুখের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়েছেন, সেই নরাধম সন্তানদের দ্বারা নিগৃহীত হয়ে বৃদ্ধা মা-বাবার শেষ জীবন অতিকষ্টে অতিবাহিত হয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রবীণদের খাওয়া-পরা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে রাষ্ট্রই। বাংলাদেশে সেসব ব্যবস্থা কল্পনাও করা যায় না। এ কারণেই রাস্তায় বয়োবৃদ্ধ ভিক্ষুক, ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্বেগজনক হারে। ১ কোটির কাছাকাছি প্রবীণের জন্য সরকারি পর্যায়ে প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিস্তান নামক দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় ওই প্রতিষ্ঠান দুটির কার্যক্রম যৎসামান্য বললে বেশি বলা হয় না। তাহলে কি দেশের অসহায় প্রবীণদের শেষ জীবন অর্ধাহারে-অনাহারে বা বিনা চিকিৎসায় কাটবে? আমাদের অর্থাৎ সামর্থ্যবানদের কি কিছুই করার নেই? আছে। আশার বিষয় হচ্ছে, ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ কেউ অসহায় প্রবীণদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার জন্য গড়ে তুলেছেন বৃদ্ধাশ্রম। বস্তুত আমাদের সবারই উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসহায় বয়স্কদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। আর্থিকভাবে না পারলে অন্তত মানসিকভাবে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। একটি ভালোবাসা, একটু সহানুভূতি দেখানো মোটেই কঠিন কিছু নয়।
সব ধর্মগ্রন্থে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা বা পরিবারের প্রবীণদের দেখাশোনা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব আমাদেরই। সবারই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আজকের আমিই আগামী দিনের পরিবারের প্রবীণ। আজ আমি তাদের সঙ্গে যেমন আচরণ করব,
ঠিক সে আচরণ অপেক্ষা করবে
আমার জন্য।
জহিরুল হক মাখন :কলাম লেখক
No comments