ঘটনা-দুর্ঘটনা-চারটি ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ দেশ by বিপ্লব রহমান
বর্ষপঞ্জির পাতা উল্টে গেলেও ২০১২ সালের অন্তত চারটি মর্মান্তিক ঘটনা-দুর্ঘটনা বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়ে গেছে, ভাবিয়েছে, মুখোমুখি করেছে নানা প্রশ্নের।
বৌদ্ধ জনপদে হামলা
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ জনপদে সহিংস হামলার ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, এ দেশের হাজার বছরের শান্তি-সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে মৌলবাদী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি কী ভয়ংকরভাবেই না নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাতে পারে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধপল্লী-মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়, রামুর বৌদ্ধ জনপদে হামলায় জোরালো ও মূল ভূমিকা রাখে জামায়াতে ইসলামী। খবরে প্রকাশ, তারা কৌশলে ব্যবহার করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। ওই তাণ্ডব চালাতে টাকা-পয়সার জোগান দেয় রোহিঙ্গাদের জঙ্গি সংগঠন 'রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন'সহ (আরএসও) কয়েকটি এনজিও। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার পূর্বাভাস পেলেও তাতে গুরুত্ব দেয়নি। পুলিশসহ বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল সমন্বয়ের মারাত্মক অভাব। গোয়েন্দারাও ছিলেন চুপচাপ। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনার সূত্র থেকে মূলত রামুর ঘটনার সূত্রপাত।
রামুর ঘটনার জের ধরে একই সময় চলে টেকনাফ ও পটিয়াতেও হামলা। এর আগে রাঙামাটিতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে পাহাড়ি জনপদে সহিংস হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনার শোক এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি নানা মহল, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থাসহ পুরো দেশবাসী সাহস জুগিয়েছে তাদের। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়ে বেশ কিছু ধরপাকড় করেছে। কিন্তু দৃশ্যত, এসব ঘটনায় গণমাধ্যমে যেসব ভিডিও ফুটেজ ও ছবি প্রকাশিত হয়েছে, ছবি দেখে সেসব অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সরকার তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। এমনকি সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে যেসব রাজনৈতিক নেতার নাম প্রকাশিত হয়েছে, নাটেরগুরু সেসব নেতা এখনো রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড
গত ২৪ নভেম্বর রাতের ভয়াল আগুন কেড়ে নেয় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে ১১১ জন তৈরি পোশাক শ্রমিকের প্রাণ। আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া একেকজন শ্রমিকের মৃতদেহ, আর তাদের স্বজনদের আহাজারি প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশের সবচেয়ে লাভজন গার্মেন্ট শিল্পখাতের শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি। ওই ঘটনায় আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয় শ্রমিক নিরাপত্তা দেখভালের সঙ্গে জড়িত শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কর্মকাণ্ড। গার্মেন্টে অগ্নি দুর্ঘটনাকে অনেকেই 'হত্যাকাণ্ড' অভিহিত করেছে। বার বার তৈরি পোশাক শিল্পে আগুনে পুড়ে শ্রমিক নিহত হলেও শেষ পর্যন্ত যেন এর কোনো প্রতিকারই নেই। সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার ঘটনার পরপরই কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভের সঙ্গে তুলে ধরেন গার্মেন্ট শিল্পের বেহাল পরিস্থিতি। শুধু ক্ষতিপূরণ দিয়েই মালিকপক্ষ যেন দায় না সারে, সে দাবিও জানান তিনি।
তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নি দুর্ঘটনা বিশ্ব বাজারে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেয়। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি উঠে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকের কাজের পরিবেশ ও জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের। বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের বৃহত্তম বিক্রেতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওয়াল মার্টও দাবি জানায়, বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানে মালিকপক্ষকেই দায়ভার গ্রহণের।
ফ্লাইওভার গার্ডারের ধস
তাজরীন ফ্যাশনসে দুর্ঘটনার দিনই (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে নিহত হন আরো ১৪ জন শ্রমজীবী। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন শতাধিক। ভেঙে পড়া গার্ডারের নিচে দেখা যায় কারো জোড়া পা, মানুষের শরীরের উপরের অংশ। ফ্লাইওভারের নিচে জমে থাকা পানি মানুষের রক্তে লাল হয়ে ওঠে। বীভৎস এ দৃশ্য উপেক্ষা করে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী দানবাকৃতির গার্ডারের নিচে চাপা পড়া নিথর দেহগুলো উদ্ধার তৎপরতা চালায়। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা সরকারের নাজুক ব্যবস্থাপনাকে আরেকবার চিহ্নিত করে। একটি ফ্লাইওভারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সীমাহীন গাফিলতির বিচারেরও দাবি ওঠে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক শক্তি জড়িত কি না, সে প্রশ্নও প্রাধান্য পায়।
বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা
সবশেষ গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই ছুরি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাসকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন হত্যাকারীরা কেউই ছাত্রলীগের নন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হত্যাকারীরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাত আসামির মধ্যে গত ২৩ ও ৩০ ডিসেম্বর শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন ও এমদাদুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশেই তারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। গণমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের ছবি দেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজন ছাত্রকে বহিষ্কার করে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড নাড়া দেয় সারা দেশে। এই ঘটনা আরেকবার উন্মোচন করে অপরাজনীতির নোংরা, কদাকার মুখ।
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ জনপদে সহিংস হামলার ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, এ দেশের হাজার বছরের শান্তি-সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে মৌলবাদী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তি কী ভয়ংকরভাবেই না নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাতে পারে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধপল্লী-মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়, রামুর বৌদ্ধ জনপদে হামলায় জোরালো ও মূল ভূমিকা রাখে জামায়াতে ইসলামী। খবরে প্রকাশ, তারা কৌশলে ব্যবহার করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। ওই তাণ্ডব চালাতে টাকা-পয়সার জোগান দেয় রোহিঙ্গাদের জঙ্গি সংগঠন 'রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন'সহ (আরএসও) কয়েকটি এনজিও। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার পূর্বাভাস পেলেও তাতে গুরুত্ব দেয়নি। পুলিশসহ বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল সমন্বয়ের মারাত্মক অভাব। গোয়েন্দারাও ছিলেন চুপচাপ। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনার সূত্র থেকে মূলত রামুর ঘটনার সূত্রপাত।
রামুর ঘটনার জের ধরে একই সময় চলে টেকনাফ ও পটিয়াতেও হামলা। এর আগে রাঙামাটিতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে পাহাড়ি জনপদে সহিংস হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনার শোক এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি নানা মহল, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার সংস্থাসহ পুরো দেশবাসী সাহস জুগিয়েছে তাদের। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়ে বেশ কিছু ধরপাকড় করেছে। কিন্তু দৃশ্যত, এসব ঘটনায় গণমাধ্যমে যেসব ভিডিও ফুটেজ ও ছবি প্রকাশিত হয়েছে, ছবি দেখে সেসব অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সরকার তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি। এমনকি সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে যেসব রাজনৈতিক নেতার নাম প্রকাশিত হয়েছে, নাটেরগুরু সেসব নেতা এখনো রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড
গত ২৪ নভেম্বর রাতের ভয়াল আগুন কেড়ে নেয় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে ১১১ জন তৈরি পোশাক শ্রমিকের প্রাণ। আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া একেকজন শ্রমিকের মৃতদেহ, আর তাদের স্বজনদের আহাজারি প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশের সবচেয়ে লাভজন গার্মেন্ট শিল্পখাতের শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি। ওই ঘটনায় আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয় শ্রমিক নিরাপত্তা দেখভালের সঙ্গে জড়িত শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কর্মকাণ্ড। গার্মেন্টে অগ্নি দুর্ঘটনাকে অনেকেই 'হত্যাকাণ্ড' অভিহিত করেছে। বার বার তৈরি পোশাক শিল্পে আগুনে পুড়ে শ্রমিক নিহত হলেও শেষ পর্যন্ত যেন এর কোনো প্রতিকারই নেই। সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার ঘটনার পরপরই কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভের সঙ্গে তুলে ধরেন গার্মেন্ট শিল্পের বেহাল পরিস্থিতি। শুধু ক্ষতিপূরণ দিয়েই মালিকপক্ষ যেন দায় না সারে, সে দাবিও জানান তিনি।
তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নি দুর্ঘটনা বিশ্ব বাজারে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেয়। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি উঠে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকের কাজের পরিবেশ ও জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের। বিশ্ব বাজারে তৈরি পোশাকের বৃহত্তম বিক্রেতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওয়াল মার্টও দাবি জানায়, বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানে মালিকপক্ষকেই দায়ভার গ্রহণের।
ফ্লাইওভার গার্ডারের ধস
তাজরীন ফ্যাশনসে দুর্ঘটনার দিনই (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে নিহত হন আরো ১৪ জন শ্রমজীবী। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন শতাধিক। ভেঙে পড়া গার্ডারের নিচে দেখা যায় কারো জোড়া পা, মানুষের শরীরের উপরের অংশ। ফ্লাইওভারের নিচে জমে থাকা পানি মানুষের রক্তে লাল হয়ে ওঠে। বীভৎস এ দৃশ্য উপেক্ষা করে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী দানবাকৃতির গার্ডারের নিচে চাপা পড়া নিথর দেহগুলো উদ্ধার তৎপরতা চালায়। বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দুর্ঘটনা সরকারের নাজুক ব্যবস্থাপনাকে আরেকবার চিহ্নিত করে। একটি ফ্লাইওভারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সীমাহীন গাফিলতির বিচারেরও দাবি ওঠে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক শক্তি জড়িত কি না, সে প্রশ্নও প্রাধান্য পায়।
বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা
সবশেষ গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই ছুরি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাসকে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন হত্যাকারীরা কেউই ছাত্রলীগের নন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হত্যাকারীরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সাত আসামির মধ্যে গত ২৩ ও ৩০ ডিসেম্বর শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাশেদুজ্জামান শাওন ও এমদাদুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশেই তারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। গণমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের ছবি দেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজন ছাত্রকে বহিষ্কার করে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড নাড়া দেয় সারা দেশে। এই ঘটনা আরেকবার উন্মোচন করে অপরাজনীতির নোংরা, কদাকার মুখ।
No comments