শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল- ’৭৩-৭৫ সালে খন্দকার মাহবুব দালালদের বিচারের পক্ষে ছিলেন
জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলা পুনর্বিচারের আবেদনের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন অবস্থান নেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, ১৯৭৩-৭৫ সালে তিনি (খন্দকার মাহবুব) দালালদের বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচারাধীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পুনর্বিচারের তিনটি আবেদনের শুনানিতে গতকাল সোমবার পাল্টা যুক্তি দেওয়ার সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।
জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেছেন, দালাল আইনে গোলাম আযম, নিজামী ও সাঈদীকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির নিজামী ও নায়েবে আমির সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা তিনটি পুনর্বিচারের আবেদনের ওপর এই শুনানি গত ২৪ ডিসেম্বর শুরু হয়।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল নিজামীর বিরুদ্ধে মামলা পুনর্বিচারের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৬(৬) ধারা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বিচারপতি নিজামুল হকের চলে যাওয়া কোন ধরনের পরিবর্তন ছিল এবং কী পরিস্থিতিতে তিনি চলে গেছেন, তা বিবেচনা করতে হবে। অভিযোগ গঠনের আদেশের ভাষা সাবেক চেয়ারম্যানের নয়। দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়নি। এখানে বিচারপতির বিচারিক বুদ্ধি প্রয়োগ করা হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, উচ্চ আদালতের মর্যাদা ও সম্মানের স্বার্থে নতুন করে বিচার শুরু করা উচিত। আহমেদ জিয়াউদ্দিন বিচারপতির চেয়ে বিজ্ঞ নন। তাঁর পেছনে বিরাট চক্র কাজ করছে। এই চক্রের সবাইকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালস আইনের ৬(২এ) ধারায় বলা আছে, ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কিন্তু অভিযোগ গঠন কি স্বাধীনভাবে করা হয়েছে? এটা আমদানি করা হয়েছে। জামায়াত একটি নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দল। কিন্তু অভিযোগ গঠনের আদেশে সেই দলকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পাল্টা জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘১৯৭২ সালের দালাল অধ্যাদেশের অধীনে যখন দালালদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু তখন খন্দকার মাহবুবকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি নিযুক্ত করেন। তিনি (খন্দকার মাহবুব) ভালোভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন এবং তখন অনেক দালালের সাজা হয়েছিল। একজন আইনজীবী, যিনি ১৯৭৩-৭৫ সালে দালালদের বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তিনি আজ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আইনজীবীরা তাঁর পেশায় স্বাধীন, কিন্তু এটা কতটা নৈতিক?’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, দি ইকোনমিস্ট-এর বিরুদ্ধে আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি (বিচারপতি নিজামুল হক) আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, তিনি সহযোগিতা নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালস আইনে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য নয়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ, অভিযোগ গঠনের আদেশ নয়।
পাল্টা যুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব বলেন, ১৯৭২ সালে আটক পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালস আইন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দালাল অধ্যাদেশে গোলাম আযম, নিজামী বা সাঈদী অভিযুক্ত হননি।
এরপর সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলাসহ তিনটি মামলা পুনর্বিচারের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে পাল্টা যুক্তি দেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক আজ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করবেন।
জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেছেন, দালাল আইনে গোলাম আযম, নিজামী ও সাঈদীকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির নিজামী ও নায়েবে আমির সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা তিনটি পুনর্বিচারের আবেদনের ওপর এই শুনানি গত ২৪ ডিসেম্বর শুরু হয়।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল নিজামীর বিরুদ্ধে মামলা পুনর্বিচারের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৬(৬) ধারা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বিচারপতি নিজামুল হকের চলে যাওয়া কোন ধরনের পরিবর্তন ছিল এবং কী পরিস্থিতিতে তিনি চলে গেছেন, তা বিবেচনা করতে হবে। অভিযোগ গঠনের আদেশের ভাষা সাবেক চেয়ারম্যানের নয়। দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়নি। এখানে বিচারপতির বিচারিক বুদ্ধি প্রয়োগ করা হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, উচ্চ আদালতের মর্যাদা ও সম্মানের স্বার্থে নতুন করে বিচার শুরু করা উচিত। আহমেদ জিয়াউদ্দিন বিচারপতির চেয়ে বিজ্ঞ নন। তাঁর পেছনে বিরাট চক্র কাজ করছে। এই চক্রের সবাইকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালস আইনের ৬(২এ) ধারায় বলা আছে, ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কিন্তু অভিযোগ গঠন কি স্বাধীনভাবে করা হয়েছে? এটা আমদানি করা হয়েছে। জামায়াত একটি নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দল। কিন্তু অভিযোগ গঠনের আদেশে সেই দলকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পাল্টা জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘১৯৭২ সালের দালাল অধ্যাদেশের অধীনে যখন দালালদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু তখন খন্দকার মাহবুবকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি নিযুক্ত করেন। তিনি (খন্দকার মাহবুব) ভালোভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেন এবং তখন অনেক দালালের সাজা হয়েছিল। একজন আইনজীবী, যিনি ১৯৭৩-৭৫ সালে দালালদের বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তিনি আজ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আইনজীবীরা তাঁর পেশায় স্বাধীন, কিন্তু এটা কতটা নৈতিক?’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, দি ইকোনমিস্ট-এর বিরুদ্ধে আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি (বিচারপতি নিজামুল হক) আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, তিনি সহযোগিতা নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালস আইনে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য নয়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ, অভিযোগ গঠনের আদেশ নয়।
পাল্টা যুক্তি দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব বলেন, ১৯৭২ সালে আটক পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালস আইন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দালাল অধ্যাদেশে গোলাম আযম, নিজামী বা সাঈদী অভিযুক্ত হননি।
এরপর সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলাসহ তিনটি মামলা পুনর্বিচারের বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে পাল্টা যুক্তি দেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক আজ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করবেন।
No comments