যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট-সমঝোতা না হলে নতুন 'মন্দা'
শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রকে আজ মঙ্গলবার নতুন বছরের প্রথম প্রহর থেকে নতুন অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হবে। একদিকে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কর বাড়বে জনগণের এবং অন্যদিকে সরকারের ব্যয়ও কমাতে হবে ব্যাপকভাবে।
আশা করা হচ্ছিল, প্রবল মতভেদ সত্ত্বেও গতকাল স্থানীয় সময় মধ্যরাতের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবেন আইনপ্রণেতারা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবি্লউ বুশের আমলে বিশেষ একটি আইন প্রণয়ের মাধ্যমে জনগণের কর কমানো হয়েছিল। আইনটির কার্যকারিতার মেয়াদ ১০ বছর। সে অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। আইনটি নবায়ন করা না হলে অথবা নতুন আরেকটি আইন করা না হলে ১ জানুয়ারি (আজ) থেকে আগের আইন বলবৎ হবে। সে ক্ষেত্রে জনগণের ঘাড়ে করের বোঝা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। এ সংকটকে 'ফিসক্যাল ক্লিফ' অভিহিত করা হচ্ছে।
গত রবিবারও সংকটের সুরাহার লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন হয়েছে সিনেটে। কিন্তু কোনো মতৈক্য ছাড়াই শেষ হয় অধিবেশন। এদিন সকালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে কংগ্রেসের প্রতি আর্জি জানান। রাজনৈতিকভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে রক্ষার আবেদন জানান তিনি। এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, 'বেশির ভাগ মার্কিনির কর বাড়ানোর পথ বন্ধ করা কংগ্রেসের প্রথম ও প্রধান কাজ।' তিনি জানান, যদি কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো না-ই যায়, তবে জরুরি আইন প্রণয়নের দিকে এগিয়ে যেতে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আহবান জানাবেন তিনি। জরুরি আইনের মাধ্যমে বছরে আড়াই লাখেরও কম আয়ের পরিবারগুলোকে অতিরিক্ত করের বোঝা থেকে রক্ষা করা যাবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জরুরি আইন পাস হলে রিপাবলিকরা রাজনৈতিকভাবে কিছুটা দুর্বল হতে পারে।
গতকালও সিনেটের অধিবেশন আহবান করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দূর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা হ্যারি রিড বলেন, 'আমাদের দুই দলের মধ্যে এখনো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দূরত্ব রয়েছে। তবে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাবি্লউ বুশের আমলে বিশেষ একটি আইন প্রণয়ের মাধ্যমে জনগণের কর কমানো হয়েছিল। আইনটির কার্যকারিতার মেয়াদ ১০ বছর। সে অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। আইনটি নবায়ন করা না হলে অথবা নতুন আরেকটি আইন করা না হলে ১ জানুয়ারি (আজ) থেকে আগের আইন বলবৎ হবে। সে ক্ষেত্রে জনগণের ঘাড়ে করের বোঝা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। এ সংকটকে 'ফিসক্যাল ক্লিফ' অভিহিত করা হচ্ছে।
গত রবিবারও সংকটের সুরাহার লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন হয়েছে সিনেটে। কিন্তু কোনো মতৈক্য ছাড়াই শেষ হয় অধিবেশন। এদিন সকালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ব্যাপারে মীমাংসায় পৌঁছাতে কংগ্রেসের প্রতি আর্জি জানান। রাজনৈতিকভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে রক্ষার আবেদন জানান তিনি। এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, 'বেশির ভাগ মার্কিনির কর বাড়ানোর পথ বন্ধ করা কংগ্রেসের প্রথম ও প্রধান কাজ।' তিনি জানান, যদি কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো না-ই যায়, তবে জরুরি আইন প্রণয়নের দিকে এগিয়ে যেতে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আহবান জানাবেন তিনি। জরুরি আইনের মাধ্যমে বছরে আড়াই লাখেরও কম আয়ের পরিবারগুলোকে অতিরিক্ত করের বোঝা থেকে রক্ষা করা যাবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জরুরি আইন পাস হলে রিপাবলিকরা রাজনৈতিকভাবে কিছুটা দুর্বল হতে পারে।
গতকালও সিনেটের অধিবেশন আহবান করা হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দূর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা হ্যারি রিড বলেন, 'আমাদের দুই দলের মধ্যে এখনো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দূরত্ব রয়েছে। তবে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments