বাধা না পেলে হরতালে যাবে না বিএনপি by সেলিম জাহিদ
জনদুর্ভোগ কম হবে এবং জনসমর্থন পাওয়া যাবে—এমন জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে সরকারের শেষ বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি। এ ক্ষেত্রে বাধ্য না হলে হরতালের মতো কর্মসূচি পরিহার করার ভাবনাও আছে দলটির।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, রোডমার্চ, প্রতীকী গণ-অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, রাজপথ অবরোধ, গণসংযোগ, গণমিছিল ও গণবিক্ষোভের মতো জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিতে ভালো সাড়া পেয়েছিলেন তাঁরা। সরকারের তরফ থেকে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করা না হলে কয়েক দিনের হরতালের চেয়ে নাগরিকদের মনে নাড়া দেওয়ার জন্য জনসম্পৃক্ত একটি কর্মসূচিই অনেক বেশি কার্যকর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত চার বছরে আমরা জনসম্পৃক্ততাকে প্রাধান্য দিয়েছি। তার ফলও পেয়েছি। সামনেও জনদুর্ভোগ কম হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর পরও সরকার যদি দাবির ব্যাপারে কর্ণপাত না করে, তাহলে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, রাজপথের কঠিন কর্মসূচির ব্যাপারে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বও বেশ সজাগ রয়েছেন। কারণ, এ ধরনের কর্মসূচির সুযোগে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি সুযোগ নিতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাই সরকারের আচরণ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি দেবে প্রধান বিরোধী দল।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাঠ খালি থাকলে তৃতীয়, চতুর্থ—নানা শক্তি সুযোগ নিতে পারে। এবার আমরা পাহারায় আছি।’
সরকারের আচরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে দলটির একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি মনে করছে, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন করার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনো অটল। এর জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে চলমান দুর্নীতির মামলায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে তা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা বিএনপির নেতাদের। সেই বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি-মার্চে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আছে বিএনপির।
সূত্রগুলো এও বলছে, এর সঙ্গে যুক্ত আছে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর কয়েক নেতার বিচারের রায়ের বিষয়টিও। দলটির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার যুক্তি-তর্ক শেষে রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছে। দলের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদের মামলার যুক্তি-তর্কও শেষ। আর আবদুল কাদের মোল্লা ও গোলাম আযমের বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই মার্চের আগে যেকোনো মূল্যে প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছরের শুরু থেকে আস্তে আস্তে কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে বিএনপি। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা, বিশ্ব ইজতেমার কারণে কর্মসূচি কম থাকবে। তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত আন্দোলন।’
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন—এই দাবিতে বিএনপি জনমত গড়তে সমর্থ হয়েছে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এখন নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করছে। তাই তাঁরা মনে করেন, এ দাবি অগ্রাহ্য করে সরকার খুব বেশি দূর যেতে পারবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত চার বছরে আমরা জনসম্পৃক্ততাকে প্রাধান্য দিয়েছি। তার ফলও পেয়েছি। সামনেও জনদুর্ভোগ কম হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর পরও সরকার যদি দাবির ব্যাপারে কর্ণপাত না করে, তাহলে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
বিএনপির সূত্রগুলো জানায়, রাজপথের কঠিন কর্মসূচির ব্যাপারে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বও বেশ সজাগ রয়েছেন। কারণ, এ ধরনের কর্মসূচির সুযোগে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি সুযোগ নিতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাই সরকারের আচরণ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি দেবে প্রধান বিরোধী দল।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাঠ খালি থাকলে তৃতীয়, চতুর্থ—নানা শক্তি সুযোগ নিতে পারে। এবার আমরা পাহারায় আছি।’
সরকারের আচরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে দলটির একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি মনে করছে, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন করার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনো অটল। এর জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে চলমান দুর্নীতির মামলায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে তা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা বিএনপির নেতাদের। সেই বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি-মার্চে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আছে বিএনপির।
সূত্রগুলো এও বলছে, এর সঙ্গে যুক্ত আছে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর কয়েক নেতার বিচারের রায়ের বিষয়টিও। দলটির নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার যুক্তি-তর্ক শেষে রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছে। দলের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদের মামলার যুক্তি-তর্কও শেষ। আর আবদুল কাদের মোল্লা ও গোলাম আযমের বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই মার্চের আগে যেকোনো মূল্যে প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বছরের শুরু থেকে আস্তে আস্তে কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে বিএনপি। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা, বিশ্ব ইজতেমার কারণে কর্মসূচি কম থাকবে। তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত আন্দোলন।’
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন—এই দাবিতে বিএনপি জনমত গড়তে সমর্থ হয়েছে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এখন নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করছে। তাই তাঁরা মনে করেন, এ দাবি অগ্রাহ্য করে সরকার খুব বেশি দূর যেতে পারবে না।
No comments