'মা স্পর্শ করে বুঝলেন ও নিথর হয়ে গেছে'-১৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবে দিল্লি সরকার
বাবা-মা, ভাই সবার নজর ছিল নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মনিটরের দিকে। তাতে নির্যাতিত তরুণীটির হৃদস্পন্দন ওঠা-নামার গতি দেখছিলেন তাঁরা। আশা ছিল, সুস্থ হয়ে উঠবে তাঁদের কাছের মানুষটি।
কিন্তু তা না হয়ে উল্টো তাঁদের চোখের সামনেই ধীরে ধীরে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিল ওই তরুণীর। অবশেষে ১৩ দিন লড়াইয়ের পর অজানার পথে পাড়ি জমান তিনি।
মেয়েটি ছিল তাঁর পরিবারের মধ্যমণি। বাবা-মা ও ভাইদের প্রতি খেয়াল রাখতেন তিনি। তাঁরা খেয়েছেন কি না, ভাইয়েরা ঠিকমতো পড়ালেখা করছেন কি না- সব দিকেই ছিল তাঁর নজর। সেই বোনের জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা এভাবেই ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান তাঁর ছোট ভাই। তিনি বলেন, "শুক্রবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় রাত ৯টায় চিকিৎসক এসে আমাদের চরম দুঃসংবাদ দেন। ওই সময় আমার বোনের অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা আমাদের বললেন, 'আমরা দুঃখিত, তাঁর শেষ সময়ে আপনাদের পাশে থাকা উচিত।' এরপর আমরা সারা রাত ধরে কেঁদেছিলাম এবং মনিটরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চিকিৎসকরা আমাদের বলেছিলেন, 'মনিটরে যখন রেখাগুলো সমান দেখা যাবে, তখন বুঝবেন ওর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছে।' বাবা-মা ও আমরা দুই ভাই এরপর প্রায় আট ঘণ্টা তাঁকে ঘিরে বসে ছিলাম। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে আমার বোন শেষবার শ্বাস নিয়েছিল। তারপর মনিটরের রেখাগুলো লাফালাফি থামিয়ে সমান হয়ে যায়। আমরা বুঝে নিলাম ও চলে গেছে।"
বড় ভাই বলেন, 'ও তখনো শুয়ে ছিল। মা ওর দেহ স্পর্শ করে বুঝতে পারলেন, সে নিথর হয়ে গেছে। দিল্লিতে সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্ট অ্যাটাকের পর থেকেই ও অচেতন ছিল। ওই সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে আমাদের আর কোনো কথা হয়নি। বাবা কিছুটা সামলে উঠলেও মা একেবারে ভেঙে পড়েছেন। মায়ের কান্না থামছেই না।'
মেয়েকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে বাবা চিকিৎসকদের বলেছিলেন, 'ওকে সুস্থ করতে যা কিছু প্রয়োজন করেন, শুধু আমার মেয়েকে সুস্থ করে দেন।'
গত ১৬ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার হন ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। গত ২৭ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গত শনিবার তিনি মারা যান।
তরুণীর পরিবারকে ১৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি সরকার। গতকাল সোমবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
মেয়েটি ছিল তাঁর পরিবারের মধ্যমণি। বাবা-মা ও ভাইদের প্রতি খেয়াল রাখতেন তিনি। তাঁরা খেয়েছেন কি না, ভাইয়েরা ঠিকমতো পড়ালেখা করছেন কি না- সব দিকেই ছিল তাঁর নজর। সেই বোনের জীবনের শেষ মুহূর্তের কথা এভাবেই ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান তাঁর ছোট ভাই। তিনি বলেন, "শুক্রবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় রাত ৯টায় চিকিৎসক এসে আমাদের চরম দুঃসংবাদ দেন। ওই সময় আমার বোনের অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা আমাদের বললেন, 'আমরা দুঃখিত, তাঁর শেষ সময়ে আপনাদের পাশে থাকা উচিত।' এরপর আমরা সারা রাত ধরে কেঁদেছিলাম এবং মনিটরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চিকিৎসকরা আমাদের বলেছিলেন, 'মনিটরে যখন রেখাগুলো সমান দেখা যাবে, তখন বুঝবেন ওর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছে।' বাবা-মা ও আমরা দুই ভাই এরপর প্রায় আট ঘণ্টা তাঁকে ঘিরে বসে ছিলাম। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে আমার বোন শেষবার শ্বাস নিয়েছিল। তারপর মনিটরের রেখাগুলো লাফালাফি থামিয়ে সমান হয়ে যায়। আমরা বুঝে নিলাম ও চলে গেছে।"
বড় ভাই বলেন, 'ও তখনো শুয়ে ছিল। মা ওর দেহ স্পর্শ করে বুঝতে পারলেন, সে নিথর হয়ে গেছে। দিল্লিতে সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্ট অ্যাটাকের পর থেকেই ও অচেতন ছিল। ওই সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে আমাদের আর কোনো কথা হয়নি। বাবা কিছুটা সামলে উঠলেও মা একেবারে ভেঙে পড়েছেন। মায়ের কান্না থামছেই না।'
মেয়েকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে বাবা চিকিৎসকদের বলেছিলেন, 'ওকে সুস্থ করতে যা কিছু প্রয়োজন করেন, শুধু আমার মেয়েকে সুস্থ করে দেন।'
গত ১৬ ডিসেম্বর ধর্ষণের শিকার হন ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। গত ২৭ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গত শনিবার তিনি মারা যান।
তরুণীর পরিবারকে ১৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি সরকার। গতকাল সোমবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
No comments