নোবেলজয়ী সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারজয়ী স্নায়ুবিজ্ঞানী রিতা লেভি মন্তালসিনি মারা গেছেন। গত রবিবার ইতালির রাজধানী রোমের বাসভবনে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। রোমের মেয়র গিয়ানি্ন আলেমানো তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
রিতার নোবেলজয়ী প্রথম ব্যক্তি যিনি এক শ বছরের বেশি বাঁচেন।
রিতাকে বিবেচনা করা হয় তার সমসাময়িকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী হিসেবে। নারীদের বিজ্ঞানচর্চায় অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যে সময় তিনি বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়া শুরু করেন সে সময় নারীদের পক্ষে বিজ্ঞানচর্চা এক রকম অসাধ্যই ছিল।
রিতা ১৯৮৬ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী স্ট্যানলি কোহেনের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পান। স্নায়ু বৃদ্ধির কারণ (এনজিএফ) আবিষ্কারের জন্য তিনি এ সম্মান অর্জন করেন। তিনি দেখান, এক ধরনের প্রোটিনের স্নায়ুকোষসমষ্টিকে উদ্দীপিত করার কারণেই এই কোষের বৃদ্ধি ঘটে। তাঁর এই আবিষ্কার মেরুদণ্ডের আঘাত ও হৃদনালী সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখে। এ ছাড়া আলঝেইমারস ও অটিজমের মতো বিষয়গুলো বুঝতেও সহায়তা করে।
রিতার জন্ম ইতালির তুরিন শহরে ১৯০৯ সালের ২২ এপ্রিল এক ইহুদি পরিবারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তুরিনে মিত্রবাহিনীর বোমা বর্ষণের সময় রিতার পরিবার এক গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। যুদ্ধের মধ্যেও সেখানে তিনি গড়ে তোলেন তাঁর বিজ্ঞানচর্চার জন্য ছোট এক ল্যাবরেটরি। জার্মানবাহিনী ইতালিতে আগ্রাসন চালালে তিনি চলে যান ফ্লোরেন্সে। পরে এক শরণার্থী শিবিরে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্তি এক শোকবার্তায় রিতার প্রশংসা করে জানান, এক শোকবার্তায় তরুণদের বিশেষ করে নারীদের বিজ্ঞান গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য রিতার অবদানের প্রশংসা করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্তি। তিনি জানান, নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে রিতা ইতালির জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন।
আজীবন সৃষ্টিশীল ভাবনায় নিমগ্ন ছিলেন রিতা। গত এপ্রিলে জন্মদিন পালনের পর রিতা ফেসবুকে এক বার্তায় বলেন, 'এই বয়সে চোখে একটু কম দেখি, কানেও কম শুনি। কোনো বিজ্ঞান সম্মেলনে গেলে প্রজেকশনের সময় কিছুই দেখতে পাই না। বিষয়টা আমার ভালো লাগে না। তা সত্ত্বেও কুড়ি বছর বয়সে যা চিন্তা করতে পারতাম এখন তার চেয়ে অনেক বেশি চিন্তা করতে পারি।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
রিতাকে বিবেচনা করা হয় তার সমসাময়িকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী হিসেবে। নারীদের বিজ্ঞানচর্চায় অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যে সময় তিনি বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়া শুরু করেন সে সময় নারীদের পক্ষে বিজ্ঞানচর্চা এক রকম অসাধ্যই ছিল।
রিতা ১৯৮৬ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী স্ট্যানলি কোহেনের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পান। স্নায়ু বৃদ্ধির কারণ (এনজিএফ) আবিষ্কারের জন্য তিনি এ সম্মান অর্জন করেন। তিনি দেখান, এক ধরনের প্রোটিনের স্নায়ুকোষসমষ্টিকে উদ্দীপিত করার কারণেই এই কোষের বৃদ্ধি ঘটে। তাঁর এই আবিষ্কার মেরুদণ্ডের আঘাত ও হৃদনালী সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখে। এ ছাড়া আলঝেইমারস ও অটিজমের মতো বিষয়গুলো বুঝতেও সহায়তা করে।
রিতার জন্ম ইতালির তুরিন শহরে ১৯০৯ সালের ২২ এপ্রিল এক ইহুদি পরিবারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তুরিনে মিত্রবাহিনীর বোমা বর্ষণের সময় রিতার পরিবার এক গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। যুদ্ধের মধ্যেও সেখানে তিনি গড়ে তোলেন তাঁর বিজ্ঞানচর্চার জন্য ছোট এক ল্যাবরেটরি। জার্মানবাহিনী ইতালিতে আগ্রাসন চালালে তিনি চলে যান ফ্লোরেন্সে। পরে এক শরণার্থী শিবিরে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্তি এক শোকবার্তায় রিতার প্রশংসা করে জানান, এক শোকবার্তায় তরুণদের বিশেষ করে নারীদের বিজ্ঞান গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য রিতার অবদানের প্রশংসা করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্তি। তিনি জানান, নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে রিতা ইতালির জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন।
আজীবন সৃষ্টিশীল ভাবনায় নিমগ্ন ছিলেন রিতা। গত এপ্রিলে জন্মদিন পালনের পর রিতা ফেসবুকে এক বার্তায় বলেন, 'এই বয়সে চোখে একটু কম দেখি, কানেও কম শুনি। কোনো বিজ্ঞান সম্মেলনে গেলে প্রজেকশনের সময় কিছুই দেখতে পাই না। বিষয়টা আমার ভালো লাগে না। তা সত্ত্বেও কুড়ি বছর বয়সে যা চিন্তা করতে পারতাম এখন তার চেয়ে অনেক বেশি চিন্তা করতে পারি।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments