দুর্নীতিবাজ রাজনীতিককে প্রতিহত করুন ॥ দুদক চেয়ারম্যান
. জনগণকে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। নির্বাচনে দুর্নীতিপরায়ণদের ভোট না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করে তাদের ঠিকানা হবে নাজিমুদ্দিন রোড কেন্দ্রীয় কারাগার।
।সোমবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে দুদকের র্যালি-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করব সারাদেশের প্রতিটি মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসবে। দুর্নীতিপরায়ণদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। দুর্নীতিপরায়ণদের ঘৃণা করবে। তারা যেন কোনভাবে ক্ষমতায় থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা জনগণ করবে। যে যেখানে আছেন তাদের সবার ক্ষমতার উৎস জনগণ। কাজেই জনগণ যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, যদি তাদের ক্ষমতায় দেখতে না চান, তাহলে কোন দুর্নীতিপরায়ণ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, দুদকের শক্তি রাজনৈতিক দল নয়, জনগণ। তাই যে সকল রাজনীতিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতিহত করতে হবে। একই সঙ্গে তারা যেন ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করতে না পারে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে জনগণকে। নির্বাচনের সময় দুর্নীতিপরায়ণদের ভোট না দেয়ার পরামর্শ দেন গোলাম রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট দিতে হবে সৎ, অভিজ্ঞ, ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, দুদকের সংশোধিত আইন অচিরেই সংসদে পাস হওয়া দরকার।
৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন করার কথা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মসূচীসহ বিভিন্ন কারণে এতদিন দিবসটি পালন করতে পারেনি দুদক। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী সোমবার সকালে দুদক কার্যালয় থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, কমিশনার মোঃ বদিউজ্জামান, মোঃ সহাবুদ্দিন চুপ্পুসহ প্রায় কয়েক শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন বিটের কর্মরত সংবাদকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স এ্যাগেনস্ট করাপশন। সংগঠনটির সভাপতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি আলমগীর স্বপনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। সকাল ১০টায় র্যালিটি বের হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে দিয়ে কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর, পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব হয়ে আবার দুদক কার্যালয়ে আসে। র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংস্থটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। এ সময় তিনি বলেন, অনিবার্য কারণবশত ৯ ডিসেম্বর দিবসটি পালন করতে পারিনি। তাই বছরের শেষ দিন কর্মসূচী পালন করছি। সারাদেশে দুদকের শাখাগুলো নানা কর্মসূচী পালন করছে। তিনি বলেন, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনতার শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণ যদি দুর্নীতিপরায়ণদের সঙ্গে না থাকেন তাহলে দুর্নীতিবাজদের স্থান হবে নাজিমুদ্দিন রোড। গোলাম রহমান বলেন, শুধু দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। সকলকেই এই কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ সময় তিনি বিচারকদের উদ্দেশ করে বলেন, তাঁরা যেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে খ—গহস্ত হন। বিচারে কেউ দোষী কেউ নির্দোষ হতে পারে। কিন্তু বিচারকাজ স্থগিত না করার জন্য বিচারপতিদের প্রতি আকুল আবেদন করেন তিনি। দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি যতই ক্ষমতাবান হোক তার প্রতি কোন রূপ নমনীয়তা করা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার শামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাই দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার দাবি জানিয়ে বলেন, নিম্ন আদালতে এক বছরের মধ্যে এবং উচ্চ আদালতে এক বছরের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি হলে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল হবে। তিনি বলেন, যদি বছরে এক শ’ দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে জেলে পাঠনো যায়, তাহলে এর প্রভাব সমাজে পড়বে। ৩০ শতাংশ দুর্নীতি কমেছে টিআইবির রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেন, এর অর্থ হচ্ছে মানুষ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। দুর্নীতিকে সহ্য করবে না, দুর্নীতিবাজদের আইনের হাতে সোপর্দ করাই দুদকের নয়া বছরের লক্ষ্য বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান।
৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন করার কথা থাকলেও রাজনৈতিক কর্মসূচীসহ বিভিন্ন কারণে এতদিন দিবসটি পালন করতে পারেনি দুদক। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী সোমবার সকালে দুদক কার্যালয় থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, কমিশনার মোঃ বদিউজ্জামান, মোঃ সহাবুদ্দিন চুপ্পুসহ প্রায় কয়েক শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন বিটের কর্মরত সংবাদকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স এ্যাগেনস্ট করাপশন। সংগঠনটির সভাপতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি আলমগীর স্বপনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। সকাল ১০টায় র্যালিটি বের হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে দিয়ে কাকরাইল মোড়, বিজয়নগর, পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব হয়ে আবার দুদক কার্যালয়ে আসে। র্যালি শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংস্থটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। এ সময় তিনি বলেন, অনিবার্য কারণবশত ৯ ডিসেম্বর দিবসটি পালন করতে পারিনি। তাই বছরের শেষ দিন কর্মসূচী পালন করছি। সারাদেশে দুদকের শাখাগুলো নানা কর্মসূচী পালন করছে। তিনি বলেন, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনতার শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। জনগণ যদি দুর্নীতিপরায়ণদের সঙ্গে না থাকেন তাহলে দুর্নীতিবাজদের স্থান হবে নাজিমুদ্দিন রোড। গোলাম রহমান বলেন, শুধু দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। সকলকেই এই কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ সময় তিনি বিচারকদের উদ্দেশ করে বলেন, তাঁরা যেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে খ—গহস্ত হন। বিচারে কেউ দোষী কেউ নির্দোষ হতে পারে। কিন্তু বিচারকাজ স্থগিত না করার জন্য বিচারপতিদের প্রতি আকুল আবেদন করেন তিনি। দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি যতই ক্ষমতাবান হোক তার প্রতি কোন রূপ নমনীয়তা করা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার শামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাই দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার দাবি জানিয়ে বলেন, নিম্ন আদালতে এক বছরের মধ্যে এবং উচ্চ আদালতে এক বছরের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি হলে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল হবে। তিনি বলেন, যদি বছরে এক শ’ দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে জেলে পাঠনো যায়, তাহলে এর প্রভাব সমাজে পড়বে। ৩০ শতাংশ দুর্নীতি কমেছে টিআইবির রিপোর্ট উল্লেখ করে বলেন, এর অর্থ হচ্ছে মানুষ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। দুর্নীতিকে সহ্য করবে না, দুর্নীতিবাজদের আইনের হাতে সোপর্দ করাই দুদকের নয়া বছরের লক্ষ্য বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান।
No comments