ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু- নয়াদিল্লিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীকে গণধর্ষণের সেই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবারও বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। নয়াদিল্লিতে সকাল থেকে হাজারো বিক্ষোভকারী সমবেত হতে থাকে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে সেই ছাত্রীর মৃত্যু, পরে দেশে এনে গত রোববার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দাহ করার শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি নয়াদিল্লির বাসিন্দারা। ইংরেজি নতুন বছর বরণের উৎসব বাতিল করেছে তারা। অসংখ্য ক্লাবও উৎসব উদ্যাপন করবে না।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে ছয় ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই ছাত্রীর ছেলেবন্ধুসহ তাঁকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। এই ঘটনায় ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ফাঁসি হবে। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও এই দাবি জানিয়েছেন। ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে নয়াদিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
ওই ছাত্রীর ভাই গতকাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেন, ‘লড়াই তো সবে শুরু হয়েছে। আমরা চাই, ওই ছয় হায়েনাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। শেষ পর্যন্ত এই দাবি আদায়ে আমরা লড়ে যাব।’
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার স্ত্রী গত দুই সপ্তাহে প্রায় কিছুই মুখে দেয়নি। শোকে পাথার হয়ে গেছে সে। চিকিৎসকেরা বারবার বলে আসছিলেন, মেয়েটির অবস্থা চরম আশঙ্কাজনক। এর পরও ওর মা এমন মৃত্যুশোক বহনের জন্য প্রস্তুত ছিল না; আমরাও ভাবিনি। মেয়ে হারানোর ব্যথায় আমার বুক ভেঙে যাচ্ছে। মেয়েটির কক্ষে ঢুকলাম; এখানেই জন্মেছিল। ওর বইপত্র, কাপড়-চোপড় সবই আছে; শুধু মেয়েটা নেই। এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। ওর গলা আর শুনব না কোনো দিন। আমার কাছে এসে আর কখনো ইংরেজি বই পড়ে শোনাবে না সে।’
গণধর্ষণের এই ঘটনার পর সরকারের ভূমিকায় এবং ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় মন্থরগতির কারণে সরকারের সমালোচনা হয়েছে। সরকার বলে আসছে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া নারীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নারীদের রক্ষায় লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা করেছেন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গতকাল নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে ওই ছাত্রীর স্মরণসভা হওয়ার কথা ছিল। বিবিসি।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে ছয় ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই ছাত্রীর ছেলেবন্ধুসহ তাঁকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। এই ঘটনায় ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ফাঁসি হবে। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরাও এই দাবি জানিয়েছেন। ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে নয়াদিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
ওই ছাত্রীর ভাই গতকাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেন, ‘লড়াই তো সবে শুরু হয়েছে। আমরা চাই, ওই ছয় হায়েনাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। শেষ পর্যন্ত এই দাবি আদায়ে আমরা লড়ে যাব।’
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার স্ত্রী গত দুই সপ্তাহে প্রায় কিছুই মুখে দেয়নি। শোকে পাথার হয়ে গেছে সে। চিকিৎসকেরা বারবার বলে আসছিলেন, মেয়েটির অবস্থা চরম আশঙ্কাজনক। এর পরও ওর মা এমন মৃত্যুশোক বহনের জন্য প্রস্তুত ছিল না; আমরাও ভাবিনি। মেয়ে হারানোর ব্যথায় আমার বুক ভেঙে যাচ্ছে। মেয়েটির কক্ষে ঢুকলাম; এখানেই জন্মেছিল। ওর বইপত্র, কাপড়-চোপড় সবই আছে; শুধু মেয়েটা নেই। এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। ওর গলা আর শুনব না কোনো দিন। আমার কাছে এসে আর কখনো ইংরেজি বই পড়ে শোনাবে না সে।’
গণধর্ষণের এই ঘটনার পর সরকারের ভূমিকায় এবং ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় মন্থরগতির কারণে সরকারের সমালোচনা হয়েছে। সরকার বলে আসছে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া নারীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নারীদের রক্ষায় লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা করেছেন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গতকাল নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে ওই ছাত্রীর স্মরণসভা হওয়ার কথা ছিল। বিবিসি।
No comments