জুয়ার নেশায় বুঁদ নিঃস্ব শতাধিক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে জুয়া খেলা চলছে। জুয়ার আসরে সর্বস্ব খুইয়ে শতাধিক লোক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জুয়া বন্ধের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও সড়াইল গ্রামের নুর আমীন তালুকদার (৪৫) বলেন, ‘আমার মাছ ও গরুর খামার ছিল। এ ছাড়া ১২ বিঘা জমি চাষ করতাম, ভালোই ছিলাম। একসময় জুয়ার নেশায় পেয়ে বসে। তখন থেকে অবনতি শুরু হয়। মাত্র চার বছরের মধ্যে আমার খামার গেল, আট বিঘা জমি গেল, চার ভরি সোনা, ৯০ হাজার টাকা দামের চারটি গরু ও ৭০ হাজার টাকার গাছ শেষ হয়ে গেল।’
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসরে নিঃস্ব হওয়া লোকজনের মধ্যে সাতানা গ্রামের রহিদুল ও রফিকুল, সোনাপাড়া গ্রামের শাহিন, সড়াইলের স্বপন, পাঁচগাছির সানাউল, রফিকুলসহ আরও অনেকে রয়েছেন।
উপজেলার বেলখুর, বড়পুকুরিয়া পুকুরপাড়, রশিদপুর, পুটারকুল (পল্লী বিদ্যুৎ), রামভদ্রপুরের চারমাথা মোড়ের বাঁশবাগান, শিমুলতলী, নন্দীগ্রাম মোড়, ধাপেরহাট হারামতী নদীর তীর (শিরতা), পাঁচবিবি ও হাকিমপুর উপজেলা সংযোগস্থল বাঁশমুড়ি ও পানিখুর, পাঁচবিবি বাজারের কৃষি নার্সারি, কড়িয়ার মাকলাতলীসহ ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা কয়েকটি বাজারে জুয়ার আসর বসে।
একাধিক জুয়াড়ির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঁশমুড়ি, বেলখুর ও কড়িয়া মাকলাতলীতে বড় বড় জুয়াড়িদের আসর বসে। এসব জায়গায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার খেলা হয় এবং এই আসরগুলোর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সমাজের উঁচুতলার লোকজনের যোগাযোগ আছে। জুয়ার আসর পরিচালনাকারীরা প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে নেন। এ ছাড়া পুলিশ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে আনুপাতিক হারে টাকা দিতে হয়।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক বলেন, ‘জুয়ার আসর থেকে টাকা নেওয়ার কথা সত্য নয়। জুয়াড়িদের পাহারাদার থাকে, তারা অত্যন্ত সজাগ। আমরা অভিযানে যাওয়ার আগেই ওরা টের পেয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।’
হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম রসুল জুয়ার আসর বসার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। মোহাম্মদপুর ইউপির চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন, ‘বাঁশমুড়ি জুয়ার আসর পরিচালনা করেন স্থানীয় আবদুর রহিমসহ কয়েকজন। ওরা সংঘবদ্ধ। নিয়মিত র্যাব অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসরে নিঃস্ব হওয়া লোকজনের মধ্যে সাতানা গ্রামের রহিদুল ও রফিকুল, সোনাপাড়া গ্রামের শাহিন, সড়াইলের স্বপন, পাঁচগাছির সানাউল, রফিকুলসহ আরও অনেকে রয়েছেন।
উপজেলার বেলখুর, বড়পুকুরিয়া পুকুরপাড়, রশিদপুর, পুটারকুল (পল্লী বিদ্যুৎ), রামভদ্রপুরের চারমাথা মোড়ের বাঁশবাগান, শিমুলতলী, নন্দীগ্রাম মোড়, ধাপেরহাট হারামতী নদীর তীর (শিরতা), পাঁচবিবি ও হাকিমপুর উপজেলা সংযোগস্থল বাঁশমুড়ি ও পানিখুর, পাঁচবিবি বাজারের কৃষি নার্সারি, কড়িয়ার মাকলাতলীসহ ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা কয়েকটি বাজারে জুয়ার আসর বসে।
একাধিক জুয়াড়ির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঁশমুড়ি, বেলখুর ও কড়িয়া মাকলাতলীতে বড় বড় জুয়াড়িদের আসর বসে। এসব জায়গায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার খেলা হয় এবং এই আসরগুলোর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সমাজের উঁচুতলার লোকজনের যোগাযোগ আছে। জুয়ার আসর পরিচালনাকারীরা প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে নেন। এ ছাড়া পুলিশ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে আনুপাতিক হারে টাকা দিতে হয়।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক বলেন, ‘জুয়ার আসর থেকে টাকা নেওয়ার কথা সত্য নয়। জুয়াড়িদের পাহারাদার থাকে, তারা অত্যন্ত সজাগ। আমরা অভিযানে যাওয়ার আগেই ওরা টের পেয়ে যায়। তবে এ ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।’
হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম রসুল জুয়ার আসর বসার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। মোহাম্মদপুর ইউপির চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন, ‘বাঁশমুড়ি জুয়ার আসর পরিচালনা করেন স্থানীয় আবদুর রহিমসহ কয়েকজন। ওরা সংঘবদ্ধ। নিয়মিত র্যাব অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
No comments