কঠোর আইনের কথা ভাবছে কংগ্রেস
গণধর্ষণের শিকার তরুণীর ফরেনসিক ও ডিএনএ প্রতিবেদন গতকাল সোমবার পুলিশের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল। ভারতের কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, ফরেনসিক প্রতিবেদন ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে সহায়ক হবে।
ধর্ষণের অভিযোগে আটক ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছে দিল্লির পুলিশ। ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের কথা চিন্তা করছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন দিল্লির ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। ধর্ষণকারীরা তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে রড দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে অবস্থার অবনতি ঘটার পর গত ২৭ ডিসেম্বর মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শনিবার তিনি মারা যান। এই ঘটনায় পুরো ভারতেই নারীর নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বরের ঘটনায় ছয় ব্যক্তিকে আটক করে দিল্লির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত গণধর্ষণ, অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, ডাকাতির সময় আঘাতের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। মেয়েটি মারা যাওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ যোগ করা হয়েছে। ফরেনসিক ও ডিএনএ প্রতিবেদন অভিযোগ গঠনের তদন্তে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকালই এ দুটি প্রতিবেদন পুলিশের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল। মৃত্যুর আগে মেয়েটি যে জবানবন্দি দিয়ে গেছেন, অভিযোগ গঠনের ব্যাপারে তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে দিল্লির পুলিশ জানায়, ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র তৈরি করা হচ্ছে এবং এর কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আগামী ৩ জানুয়ারি দিল্লির সাকেত জেলা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের কথা রয়েছে।
ধর্ষিতার মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ গতকালও অব্যাহত ছিল। ধর্ষণ রোধে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস কঠোর আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করছে। তারা ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক প্রয়োগে খোজাকরণ এবং ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। প্রস্তাব চূড়ান্ত করার পর তা দিল্লির ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত বিচারপতি জে এস বার্মার কাছে জমা দেবে কংগ্রেস।
বিজেপিও নারী নির্যাতন রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে তারা। বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা ভেনকিয়া নাইডু সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালগুলোতে অশ্লীলতা, সহিংসতা, উসকানিমূলক আধেয় যাতে না যায়, তা নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : জিনিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন দিল্লির ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। ধর্ষণকারীরা তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে রড দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে অবস্থার অবনতি ঘটার পর গত ২৭ ডিসেম্বর মেয়েটিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শনিবার তিনি মারা যান। এই ঘটনায় পুরো ভারতেই নারীর নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বরের ঘটনায় ছয় ব্যক্তিকে আটক করে দিল্লির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত গণধর্ষণ, অপহরণ, পাশবিক নির্যাতন, ডাকাতির সময় আঘাতের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। মেয়েটি মারা যাওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ যোগ করা হয়েছে। ফরেনসিক ও ডিএনএ প্রতিবেদন অভিযোগ গঠনের তদন্তে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকালই এ দুটি প্রতিবেদন পুলিশের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল। মৃত্যুর আগে মেয়েটি যে জবানবন্দি দিয়ে গেছেন, অভিযোগ গঠনের ব্যাপারে তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে দিল্লির পুলিশ জানায়, ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র তৈরি করা হচ্ছে এবং এর কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আগামী ৩ জানুয়ারি দিল্লির সাকেত জেলা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের কথা রয়েছে।
ধর্ষিতার মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ গতকালও অব্যাহত ছিল। ধর্ষণ রোধে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস কঠোর আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করছে। তারা ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক প্রয়োগে খোজাকরণ এবং ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবছে। প্রস্তাব চূড়ান্ত করার পর তা দিল্লির ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত বিচারপতি জে এস বার্মার কাছে জমা দেবে কংগ্রেস।
বিজেপিও নারী নির্যাতন রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে তারা। বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা ভেনকিয়া নাইডু সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালগুলোতে অশ্লীলতা, সহিংসতা, উসকানিমূলক আধেয় যাতে না যায়, তা নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : জিনিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments