স্বাগত ২০১৩-নতুন আশায় বুক বাঁধব
শুরু হলো নতুন একটি বছর। ঘরের দেয়াল থেকে সরে গেল পুরনো বছরের ক্যালেন্ডার। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে যুক্ত হলো আরো একটি বছর। পুরনো বছরের ব্যর্থতা সরিয়ে রেখে নতুন বছরে নতুনভাবে পথচলা শুরু। সাফল্য-ব্যর্থতার নতুন হিসাব।
পুরনো বছরের সংকটগুলো কাটিয়ে উঠে নতুন সম্ভাবনার আশায় নতুন করে দিনযাপন আজ থেকে। স্বাগত ২০১৩।
দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে গত এক বছরে। বিরোধী দলের আন্দোলন আর সরকারি দলের প্রতিহত করার কর্মসূচি নিয়ে সারা বছর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল সংঘাতপূর্ণ। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। 'জ্বালাওপোড়াও' হয়েছে। ২০১২ সালে সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল, মন্ত্রিসভা নিয়ে টানাপড়েন, কক্সবাজারে বৌদ্ধপল্লীতে হামলা ও অগি্নসংযোগ, হলমার্ক ও সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারি, শিক্ষাঙ্গনে অশান্ত পরিবেশ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিশ্বজিৎ দাসের খুন হওয়া সরকারকে নেতিবাচক একটি অবস্থানে ঠেলে দেয়। এর পাশাপাশি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনা ছিল বছরজুড়ে আলোচিত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিলেও সরকার যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। মহাজোট সরকারের দুটি প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার। বছরের শেষে এসে স্কাইপি কেলেঙ্কারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগ সাময়িক ধাক্কা দিলেও দ্রুত আদালত পুনর্গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার।
২০১২ সালজুড়েই উচ্চ শিক্ষাঙ্গন ছিল উত্তপ্ত, উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট, রুয়েট ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর পাশাপাশি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্য ও আত্মঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
বরাবরের মতো গত বছরও বাজার ছিল অস্থিতিশীল। চালের দর কিছুটা কমলেও স্বস্তি আসেনি সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিদায়ী বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে। স্বস্তির দিকটি ছিল খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতির হার মাত্র ৪ শতাংশ। আর অস্বস্তির জায়গাটি হলো খাদ্যবহির্ভূত সূচক, এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। অতিক্রান্ত বছরে মূলত খাদ্যবহির্ভূত খাতের প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। কিন্তু সীমিত আয়ের মানুষের আয় বাড়েনি।
২০১২ সালেও আমরা হারিয়েছি দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের বেশ কয়েকজন কৃতী ব্যক্তিত্বকে। তাঁদের মধ্যে আছেন হুমায়ূন আহমেদ, স্যামসন এইচ চৌধুরী, বরেণ্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, অলি আহাদ, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, আখতারুজ্জামান বাবু, শিল্পী ইমদাদ হোসেন, সুভাষ দত্ত, খান সারওয়ার মুরশিদ, ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ ও মধ্যরাতের অশ্বারোহীখ্যাত সাংবাদিক-লেখক ফয়েজ আহমদ। এ ছাড়াও হারিয়েছি পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও সৈয়দ মোস্তফা সিরাজকে।
সব বিপর্যয় ও বিতর্ক সত্ত্বেও ২০১২ সালে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও গবেষণা সংস্থাগুলো। ২০১৩ সালে আমরা নতুন আশায় বুক বাঁধব। ২০১৩ সালে উন্মোচিত হোক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। আমাদের অগণিত গ্রাহক-পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, বিপণনকর্মী- সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে গত এক বছরে। বিরোধী দলের আন্দোলন আর সরকারি দলের প্রতিহত করার কর্মসূচি নিয়ে সারা বছর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল সংঘাতপূর্ণ। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। 'জ্বালাওপোড়াও' হয়েছে। ২০১২ সালে সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল, মন্ত্রিসভা নিয়ে টানাপড়েন, কক্সবাজারে বৌদ্ধপল্লীতে হামলা ও অগি্নসংযোগ, হলমার্ক ও সোনালী ব্যাংক কেলেঙ্কারি, শিক্ষাঙ্গনে অশান্ত পরিবেশ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিশ্বজিৎ দাসের খুন হওয়া সরকারকে নেতিবাচক একটি অবস্থানে ঠেলে দেয়। এর পাশাপাশি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনা ছিল বছরজুড়ে আলোচিত। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিলেও সরকার যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। মহাজোট সরকারের দুটি প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার। বছরের শেষে এসে স্কাইপি কেলেঙ্কারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগ সাময়িক ধাক্কা দিলেও দ্রুত আদালত পুনর্গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার।
২০১২ সালজুড়েই উচ্চ শিক্ষাঙ্গন ছিল উত্তপ্ত, উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট, রুয়েট ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর পাশাপাশি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্য ও আত্মঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
বরাবরের মতো গত বছরও বাজার ছিল অস্থিতিশীল। চালের দর কিছুটা কমলেও স্বস্তি আসেনি সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিদায়ী বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে। স্বস্তির দিকটি ছিল খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতির হার মাত্র ৪ শতাংশ। আর অস্বস্তির জায়গাটি হলো খাদ্যবহির্ভূত সূচক, এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। অতিক্রান্ত বছরে মূলত খাদ্যবহির্ভূত খাতের প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। কিন্তু সীমিত আয়ের মানুষের আয় বাড়েনি।
২০১২ সালেও আমরা হারিয়েছি দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের বেশ কয়েকজন কৃতী ব্যক্তিত্বকে। তাঁদের মধ্যে আছেন হুমায়ূন আহমেদ, স্যামসন এইচ চৌধুরী, বরেণ্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, অলি আহাদ, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, আখতারুজ্জামান বাবু, শিল্পী ইমদাদ হোসেন, সুভাষ দত্ত, খান সারওয়ার মুরশিদ, ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ ও মধ্যরাতের অশ্বারোহীখ্যাত সাংবাদিক-লেখক ফয়েজ আহমদ। এ ছাড়াও হারিয়েছি পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও সৈয়দ মোস্তফা সিরাজকে।
সব বিপর্যয় ও বিতর্ক সত্ত্বেও ২০১২ সালে অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও গবেষণা সংস্থাগুলো। ২০১৩ সালে আমরা নতুন আশায় বুক বাঁধব। ২০১৩ সালে উন্মোচিত হোক সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। আমাদের অগণিত গ্রাহক-পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, বিপণনকর্মী- সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
No comments