রাজউক জনদুর্ভোগের জন্য নয়-সেবাপ্রতিষ্ঠান জনকল্যাণমুখী হোক
এক সময়ের ডিআইটি আজকের রাজউক। রাজধানী ঢাকার উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। রাজধানীর উন্নয়নে রাজউকের ভূমিকা কী? যে প্রতিষ্ঠানটির জন্ম জনকল্যাণে, সেই প্রতিষ্ঠানটি কি তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
ঢাকা শহরের উন্নয়নে রাজউক রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। মহানগরীর উন্নয়নই রাজউকের কাজ। কিন্তু এ উন্নয়ন করতে গিয়ে নাগরিকদের যেন হয়রানি কিংবা ক্ষতির শিকার হতে না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া রাজউকের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সে কর্তব্য রাজউক কতটুকু পালন করছে- এমন প্রশ্ন দীর্ঘদিন থেকেই আছে। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে নানা উন্নয়ন কাজের নামে রাজউক বারবার নাগরিকদের হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু হয়রানি নয়, রাজউকের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অনেক অভিযোগও আছে। রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়, সেই জমির দাম অনেক ক্ষেত্রেই চলতি বাজার দামের চেয়ে কম হয়। আবার সেই টাকা সময়মতো পাওয়া যায় না। তা ছাড়া জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই রাজউক স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাজউক নতুন করে আরেকটি জনদুর্ভোগের কারণ হতে যাচ্ছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে এমন আশঙ্কা করা যেতেই পারে। রাজধানীর কুড়িল প্রগতি সরণি থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩০০ ফুট চওড়া যে রাস্তাটি নির্মাণাধীন, সেই রাস্তার জন্য ২০ বছর আগে রাজউকের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের সময় রাস্তাটি সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তা ছিল এ রকম যে, মূল রাস্তা ১০০ ফুট চওড়া হবে। এর উভয় পাশে ৫০ ফুট করে অযান্ত্রিক যানবাহন চলার জন্য রাস্তা থাকবে। এর পাশে আরো ৫০ ফুট করে জায়গা পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হবে। এখন বলা হচ্ছে, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) বাইরে দুই পাশে আরো ২০০ ফুট জায়গা ওয়াটার বডি হিসেবে রাখায় নতুন করে ২০০ ফুট জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
যখন এই রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তখন এলাকায় জমির দাম কম ছিল। এখন রাজধানীর আয়তন বেড়েছে। বেড়েছে লোকসংখ্যা। কাজেই ২০ বছর আগের দামে এখন ওই এলাকায় জমি পাওয়া সম্ভব নয়। তদুপরি জমি এখন মানুষের জন্য সম্পদই শুধু নয়, ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় সঞ্চয় হিসেবেও বিবেচিত। কাজেই এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকার জমির দাম বাড়ে। এখন রাজউক নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জমির মালিকরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিষয়টি বিবেচনা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রেখেছেন। নতুন কৌশল অবলম্বন করে জমি অধিগ্রহণের মতো একটি ব্যবস্থা, যা জনগণের জন্য ক্ষতিকর হবে, তা এড়ানো সম্ভব কি না, তা ভেবে দেখতে অনুরোধও করা হয়েছে। রাজউকের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করা উচিত হবে না।
রাজউকের মতো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ। আমরা মনে করি, ৩০০ ফুট চওড়া রাস্তাটির ব্যাপারে রাজউক নতুন করে ভেবে দেখবে। আর যাতে জমি অধিগ্রহণ করতে না হয়, মানুষকে যেন বাস্তুচ্যুত হতে না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়াও রাজউকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা আশা করব, রাজউক সে কর্তব্য পালন করবে এবং সত্যিকার অর্থেই একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
রাজউক নতুন করে আরেকটি জনদুর্ভোগের কারণ হতে যাচ্ছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে এমন আশঙ্কা করা যেতেই পারে। রাজধানীর কুড়িল প্রগতি সরণি থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩০০ ফুট চওড়া যে রাস্তাটি নির্মাণাধীন, সেই রাস্তার জন্য ২০ বছর আগে রাজউকের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের সময় রাস্তাটি সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তা ছিল এ রকম যে, মূল রাস্তা ১০০ ফুট চওড়া হবে। এর উভয় পাশে ৫০ ফুট করে অযান্ত্রিক যানবাহন চলার জন্য রাস্তা থাকবে। এর পাশে আরো ৫০ ফুট করে জায়গা পানি নিষ্কাশনের জন্য রাখা হবে। এখন বলা হচ্ছে, ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) বাইরে দুই পাশে আরো ২০০ ফুট জায়গা ওয়াটার বডি হিসেবে রাখায় নতুন করে ২০০ ফুট জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
যখন এই রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তখন এলাকায় জমির দাম কম ছিল। এখন রাজধানীর আয়তন বেড়েছে। বেড়েছে লোকসংখ্যা। কাজেই ২০ বছর আগের দামে এখন ওই এলাকায় জমি পাওয়া সম্ভব নয়। তদুপরি জমি এখন মানুষের জন্য সম্পদই শুধু নয়, ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় সঞ্চয় হিসেবেও বিবেচিত। কাজেই এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকার জমির দাম বাড়ে। এখন রাজউক নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জমির মালিকরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিষয়টি বিবেচনা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রেখেছেন। নতুন কৌশল অবলম্বন করে জমি অধিগ্রহণের মতো একটি ব্যবস্থা, যা জনগণের জন্য ক্ষতিকর হবে, তা এড়ানো সম্ভব কি না, তা ভেবে দেখতে অনুরোধও করা হয়েছে। রাজউকের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করা উচিত হবে না।
রাজউকের মতো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ। আমরা মনে করি, ৩০০ ফুট চওড়া রাস্তাটির ব্যাপারে রাজউক নতুন করে ভেবে দেখবে। আর যাতে জমি অধিগ্রহণ করতে না হয়, মানুষকে যেন বাস্তুচ্যুত হতে না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়াও রাজউকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা আশা করব, রাজউক সে কর্তব্য পালন করবে এবং সত্যিকার অর্থেই একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
No comments