প্রথম আলো ট্রাস্ট- ‘কুম্বল পায়া বাঁচনু’
‘স্বামীর মৃত্যুর পর কারও কাছে হাত পাতিনি। জাড়ে (শীত) মরি যাচ্ছিনু। তোর কুম্বল পায়া মরার হাত থাকি বাঁচনু।’ গতকাল সোমবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দেওয়া কম্বল পেয়ে কথাগুলো বলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের জমেলা বেগম (৮৫)।
ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল জমেলাসহ লালপুর উপজেলার ১০০ জন দুস্থ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে ১০০টি কম্বল। এ নিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুস্থ শীতার্ত মানুষের মধ্যে এক হাজার ৬৩০টি কম্বল বিতরণ করা হলো।
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, সকাল ১০টার দিকে লালপুর প্রেসক্লাব চত্বরে কম্বল বিতরণ করা হয়। উপজেলার লালপুর, বালিতিতা ইসলামপুর, রামকৃষ্ণপুর, উত্তর লালপুর, দক্ষিণ লালপুর, জোতদৈবকী, ডেবরপাড়া, সাঁইপাড়া, মোহরকয়া, নাগশোষা, বিলমাড়িয়া, চকবাদেকুলপাড়া, নবীনগর, রামানন্দপুর, তিলকপুর, গোপালপুর, রহিমপুর ও আব্দুলপুর গ্রামের ১০০ জন দরিদ্র নারী-পুরুষ কম্বল পান। এর আগে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র ব্যক্তিদের তালিকা করেন।
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আকিয়াব হোসেন, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ, লালপুর বন্ধুসভার জালাল উদ্দীন, সীমানুর রহমান প্রমুখ।
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গতকাল বেলা ১১টায় রায়গঞ্জের সোনাখাড়া ইউনিয়নের বাঁশাইল গ্রামে ওঁরাও ফাউন্ডেশন কার্যালয় প্রাঙ্গণে আদিবাসী-অধ্যুষিত সোনাখাড়া ও ধামাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৫০ জন শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে ধলজান পশ্চিমপাড়ার কির্তনী রানী ওঁরাও (৭০) সাদরি ভাষায় বলেন, ‘এ ঠাঁড়ালে বাঁচালাই (এই শীত থেকে বাঁচালেন)।’
গত রোববার রাতে উপজেলার ধানগড়া পালপাড়া, মহেশপুর, ঝাপড়া, বেতুয়া ও রনতিথা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরও ৫০ জন দুস্থ শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।
ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত: দুস্থ শীতার্ত মানুষের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে সমাজের হূদয়বান ব্যক্তিদের দান অব্যাহত রয়েছে। তহবিলে রুমানা খান ও ফরিদা খান ২০ হাজার টাকা, আক্তার সালমা পাঁচ হাজার টাকা এবং তাসলিমা নূর ও শাকাত নূর নামের দুই ব্যক্তি এক হাজার টাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী ২০টি কম্বল ও তাহা ১৫টি কম্বল শীতার্ত মানুষের জন্য দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে চার লাখ ১৬ হাজার টাকা জমা পড়েছে। এ ছাড়া কম্বল জমা পড়েছে এক হাজার ৩৫টি। সোয়েটার জমা পড়েছে ১০০টি।
এর আগে পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী ও চাটমোহর, কুড়িগ্রামের উলিপুর, দিনাজপুরের বিরামপুর এবং রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দুস্থ শীতার্ত মানুষের মধ্যে এক হাজার ৩২০টি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সহায়তা করতে চাইলে: দুস্থ শীতার্ত মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, হিসাব নম্বর: ২০৭.২০০.১১১৯৪। কম্বল, সোয়েটার বা অন্য শীতবস্ত্র পাঠাতে চাইলে প্রথম আলো কার্যালয়ে ৮১৮০০৭৮-৮১ নম্বরে ফোন করে প্রথম আলো ট্রাস্টে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনে ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদের মুঠোফোন নম্বরে (০১৯১৪৬০০৭৭০) কল দিতে পারেন।
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, সকাল ১০টার দিকে লালপুর প্রেসক্লাব চত্বরে কম্বল বিতরণ করা হয়। উপজেলার লালপুর, বালিতিতা ইসলামপুর, রামকৃষ্ণপুর, উত্তর লালপুর, দক্ষিণ লালপুর, জোতদৈবকী, ডেবরপাড়া, সাঁইপাড়া, মোহরকয়া, নাগশোষা, বিলমাড়িয়া, চকবাদেকুলপাড়া, নবীনগর, রামানন্দপুর, তিলকপুর, গোপালপুর, রহিমপুর ও আব্দুলপুর গ্রামের ১০০ জন দরিদ্র নারী-পুরুষ কম্বল পান। এর আগে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র ব্যক্তিদের তালিকা করেন।
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আকিয়াব হোসেন, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ, লালপুর বন্ধুসভার জালাল উদ্দীন, সীমানুর রহমান প্রমুখ।
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গতকাল বেলা ১১টায় রায়গঞ্জের সোনাখাড়া ইউনিয়নের বাঁশাইল গ্রামে ওঁরাও ফাউন্ডেশন কার্যালয় প্রাঙ্গণে আদিবাসী-অধ্যুষিত সোনাখাড়া ও ধামাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৫০ জন শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে ধলজান পশ্চিমপাড়ার কির্তনী রানী ওঁরাও (৭০) সাদরি ভাষায় বলেন, ‘এ ঠাঁড়ালে বাঁচালাই (এই শীত থেকে বাঁচালেন)।’
গত রোববার রাতে উপজেলার ধানগড়া পালপাড়া, মহেশপুর, ঝাপড়া, বেতুয়া ও রনতিথা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরও ৫০ জন দুস্থ শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।
ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত: দুস্থ শীতার্ত মানুষের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে সমাজের হূদয়বান ব্যক্তিদের দান অব্যাহত রয়েছে। তহবিলে রুমানা খান ও ফরিদা খান ২০ হাজার টাকা, আক্তার সালমা পাঁচ হাজার টাকা এবং তাসলিমা নূর ও শাকাত নূর নামের দুই ব্যক্তি এক হাজার টাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী ২০টি কম্বল ও তাহা ১৫টি কম্বল শীতার্ত মানুষের জন্য দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে চার লাখ ১৬ হাজার টাকা জমা পড়েছে। এ ছাড়া কম্বল জমা পড়েছে এক হাজার ৩৫টি। সোয়েটার জমা পড়েছে ১০০টি।
এর আগে পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী ও চাটমোহর, কুড়িগ্রামের উলিপুর, দিনাজপুরের বিরামপুর এবং রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দুস্থ শীতার্ত মানুষের মধ্যে এক হাজার ৩২০টি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১১০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সহায়তা করতে চাইলে: দুস্থ শীতার্ত মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, হিসাব নম্বর: ২০৭.২০০.১১১৯৪। কম্বল, সোয়েটার বা অন্য শীতবস্ত্র পাঠাতে চাইলে প্রথম আলো কার্যালয়ে ৮১৮০০৭৮-৮১ নম্বরে ফোন করে প্রথম আলো ট্রাস্টে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনে ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদের মুঠোফোন নম্বরে (০১৯১৪৬০০৭৭০) কল দিতে পারেন।
No comments