১৭ বছর পর নতুন শিক্ষাক্রমে বই- আজ পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় পৌনে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যের নতুন বই তুলে দিয়ে আজ ১ জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস পালন করবে সরকার। এবার ২৬ কোটি ১৮ লাখের বেশি বই দেওয়া হচ্ছে। ১৭ বছর পর এবারই নতুন শিক্ষাক্রমে তৈরি বই পাবে শিক্ষার্থীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার গণভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বিনা মূল্যের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার এ লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর। শিক্ষা ছাড়া দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করার পর দেশে শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। অভিভাবকদের এখন আর সন্তানদের বই কিনে দিতে হচ্ছে না এবং তাঁরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনেক বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের দেশের ভবিষ্যতের নেতা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তারা যথাযথ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎসব করে বই দেওয়া হবে: গতবারের মতো এবারও বিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠান করে উৎসব পালন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে। শিক্ষামন্ত্রী বেলা ১১টায় সেখানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়কমন্ত্রী রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়া মন্ত্রী গাজীপুরের কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিশুদের হাতে বই দেবেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে সব বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সব শিক্ষার্থীর হাতেই নতুন বই যাবে।’
এবার প্রায় তিন কোটি ৬৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ২৬ কোটি ১৮ লাখ নয় হাজার ১০৬ কপি বই দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৭১৪ কপি, ইবতেদায়িতে এক কোটি ৭২ লাখ এক হাজার ৪০ কপি, মাধ্যমিকে ১১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৩৩১ কপি, মাদ্রাসায় দুই কোটি পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪০ কপি এবং কারিগরিতে ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১ কপি বই দেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১১১টি বই নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিছু নতুন বিষয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করার পর দেশে শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। অভিভাবকদের এখন আর সন্তানদের বই কিনে দিতে হচ্ছে না এবং তাঁরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনেক বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের দেশের ভবিষ্যতের নেতা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তারা যথাযথ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎসব করে বই দেওয়া হবে: গতবারের মতো এবারও বিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠান করে উৎসব পালন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে। শিক্ষামন্ত্রী বেলা ১১টায় সেখানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষাবিষয়কমন্ত্রী রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়া মন্ত্রী গাজীপুরের কয়েকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিশুদের হাতে বই দেবেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে সব বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি সব শিক্ষার্থীর হাতেই নতুন বই যাবে।’
এবার প্রায় তিন কোটি ৬৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ২৬ কোটি ১৮ লাখ নয় হাজার ১০৬ কপি বই দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৭১৪ কপি, ইবতেদায়িতে এক কোটি ৭২ লাখ এক হাজার ৪০ কপি, মাধ্যমিকে ১১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৩৩১ কপি, মাদ্রাসায় দুই কোটি পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ৫৪০ কপি এবং কারিগরিতে ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১ কপি বই দেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ১১১টি বই নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিছু নতুন বিষয়।
No comments