নিবন্ধন হবে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে- মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহীদের নিবন্ধন ১৩ জানুয়ারি শুরু
সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম নিবন্ধন শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি। দেশের সাত বিভাগের প্রতিটির কর্মীরা নিবন্ধনের জন্য তিন দিন সময় পাবেন। কেবল ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ৫০ টাকা ফি দিয়ে এ নিবন্ধন করা যাবে।
নিবন্ধনের পর ইউনিয়ন কোটা অনুযায়ী, লটারি করে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। শুরুতে তিনি বলেন, ‘২০১২ সাল শেষ হচ্ছে। নতুন বছর শুরু হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি দেশবাসীকে একটি সুখবর দিতে চাই। মালয়েশিয়া বনায়ন (প্লান্টেশন) খাতে রোববার আমাদের কাছে ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। তারা এ খাতে মোট ৩০ হাজার কর্মী নিতে চায়।’
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য ১০ জানুয়ারি দেশের সব গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে। ১৩ জানুয়ারি নাম নিবন্ধন শুরু হবে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের আগ্রহী ব্যক্তিরা ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। তাঁদের মধ্যে লটারি হবে ১৬ জানুয়ারি। রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের জন্য ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি নিবন্ধন এবং ১৭ তারিখ লটারি হবে। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি নিবন্ধন এবং ১৮ জানুয়ারি লটারি করা হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আগ্রহী প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই (এক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের অধীনে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হবে। তিন দিনে যাঁরা আসবেন, সবার নামই নিবন্ধন করা হবে।’ কেবল ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ সুযোগ নিয়ে আগ্রহীদের অনলাইনে নাম নিবন্ধনের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। কিন্তু আমরা প্রতারণা বন্ধ ও খরচ কমাতেই সরকারিভাবে কর্মী পাঠাচ্ছি। সেই বিবেচনায় সরকারি তথ্যসেবা কেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এতে তো শহরের আগ্রহী লোকেরা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়া তো কৃষিকাজে অভিজ্ঞ শ্রমিক নেবে। শহরে এমন লোক কই পাবেন? যদি এমন লোক থাকেনও, তাহলে তিনি তাঁর গ্রামে বা পাশের এলাকার তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।’
কীভাবে কর্মী চূড়ান্ত করা হবে—জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তিন দিন নিবন্ধনের পর উপস্থিত সবার সামনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনসংখ্যার অনুপাতে বরাদ্দকৃত কোটা অনুযায়ী কর্মীর তালিকা করা হবে। এভাবে সারা দেশের সব ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত কর্মীর তালিকা সমন্বয় করে জাতীয় ভিত্তিতে ৩০ হাজার কর্মী পাঠানোর জন্য ৩৫ হাজার কর্মীর তথ্যভান্ডার করা হবে। এখান থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবার লটারি করে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। যে ১০ হাজার জনকে চূড়ান্ত করা হবে, তাঁদের মুঠোফোনে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হবে। তালিকায় থাকা বাকি ২৫ হাজার জনের বিষয়ে তিনি বলেন, চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তাঁদেরও পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে। তাঁদের আর নতুন করে নাম নিবন্ধন করতে হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে একজন কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে ৪০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না।
বনায়ন খাতের কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাতটি যোগ্যতা থাকতে হবে। এগুলো হলো: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা, বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে, গ্রাম এলাকার প্রকৃত বাসিন্দা, উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ ফুট বা তদূর্ধ্ব, ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি এবং ২৫ কেজি মালামাল হাতে করে বহনের ক্ষমতা।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় চার বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ ছিল। টানা কূটনৈতিক যোগাযোগের পর গত ২৬ নভেম্বর সরকারিভাবে কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে দুই দেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। গত রোববার ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠায় মালয়েশিয়া। দেশটি সামনে কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা—এসব খাতেও কর্মী নেবে। সব মিলিয়ে দেশটি আগামী কয়েক বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। শুরুতে তিনি বলেন, ‘২০১২ সাল শেষ হচ্ছে। নতুন বছর শুরু হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি দেশবাসীকে একটি সুখবর দিতে চাই। মালয়েশিয়া বনায়ন (প্লান্টেশন) খাতে রোববার আমাদের কাছে ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। তারা এ খাতে মোট ৩০ হাজার কর্মী নিতে চায়।’
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য ১০ জানুয়ারি দেশের সব গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে। ১৩ জানুয়ারি নাম নিবন্ধন শুরু হবে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের আগ্রহী ব্যক্তিরা ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। তাঁদের মধ্যে লটারি হবে ১৬ জানুয়ারি। রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের জন্য ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি নিবন্ধন এবং ১৭ তারিখ লটারি হবে। খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি নিবন্ধন এবং ১৮ জানুয়ারি লটারি করা হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আগ্রহী প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই (এক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের অধীনে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হবে। তিন দিনে যাঁরা আসবেন, সবার নামই নিবন্ধন করা হবে।’ কেবল ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যাপারে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ সুযোগ নিয়ে আগ্রহীদের অনলাইনে নাম নিবন্ধনের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। কিন্তু আমরা প্রতারণা বন্ধ ও খরচ কমাতেই সরকারিভাবে কর্মী পাঠাচ্ছি। সেই বিবেচনায় সরকারি তথ্যসেবা কেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এতে তো শহরের আগ্রহী লোকেরা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়া তো কৃষিকাজে অভিজ্ঞ শ্রমিক নেবে। শহরে এমন লোক কই পাবেন? যদি এমন লোক থাকেনও, তাহলে তিনি তাঁর গ্রামে বা পাশের এলাকার তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।’
কীভাবে কর্মী চূড়ান্ত করা হবে—জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তিন দিন নিবন্ধনের পর উপস্থিত সবার সামনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনসংখ্যার অনুপাতে বরাদ্দকৃত কোটা অনুযায়ী কর্মীর তালিকা করা হবে। এভাবে সারা দেশের সব ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত কর্মীর তালিকা সমন্বয় করে জাতীয় ভিত্তিতে ৩০ হাজার কর্মী পাঠানোর জন্য ৩৫ হাজার কর্মীর তথ্যভান্ডার করা হবে। এখান থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবার লটারি করে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাপ্ত চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। যে ১০ হাজার জনকে চূড়ান্ত করা হবে, তাঁদের মুঠোফোনে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হবে। তালিকায় থাকা বাকি ২৫ হাজার জনের বিষয়ে তিনি বলেন, চাহিদাপত্র পাওয়ার পর তাঁদেরও পর্যায়ক্রমে পাঠানো হবে। তাঁদের আর নতুন করে নাম নিবন্ধন করতে হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে একজন কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে ৪০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না।
বনায়ন খাতের কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাতটি যোগ্যতা থাকতে হবে। এগুলো হলো: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা, বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে, গ্রাম এলাকার প্রকৃত বাসিন্দা, উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ ফুট বা তদূর্ধ্ব, ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি এবং ২৫ কেজি মালামাল হাতে করে বহনের ক্ষমতা।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় চার বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ ছিল। টানা কূটনৈতিক যোগাযোগের পর গত ২৬ নভেম্বর সরকারিভাবে কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে দুই দেশ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। গত রোববার ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠায় মালয়েশিয়া। দেশটি সামনে কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা—এসব খাতেও কর্মী নেবে। সব মিলিয়ে দেশটি আগামী কয়েক বছরে পাঁচ লাখ কর্মী নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
No comments