নতুন বছর নতুন আমি by হাসান ইমাম
করব করব করেই বছর পার! করা হয়নি অনেক কিছুই। খাবারে সংযম আনবেন ভেবেছিলেন। তা তো হলোই না, উল্টো ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন। কাজের চাপে যত্ন নেওয়া হয়নি স্বাস্থ্যের।
পোশাকের চলতি ট্রেন্ডে ফিরে আসা হয়নি কিংবা প্রিয় মানুষটিকে বলতে পারেননি মনের কথা? তাহলে আজই আপনার জন্য হতে পারে উপযুক্ত দিন। নতুন বছরের এই দিনে নতুনভাবে শুরু করতে পারেন আপনার পথচলা।
‘অনেকেই স্রেফ আলসেমি করেই “শুরু করব, করব” ভেবেও শুরু করতে পারেন না। আমরা এটাকে বলি “ল্যাক অব ড্রাইভ”। নিজের ভেতরে কোনো উৎসাহের অভাবে এমনটি হয়। তাই নতুন কিছু শুরু করতে চাই একটা তাড়না। কারণ, পা বাড়ালেই আসল পথের শুরু। একটা উপলক্ষ বা বিশেষ দিন পেলে তার জন্য কাজটা করা অনেক সহজ হয়। আর তাই নতুন বছর একটা অন্যতম ভালো দিন। অঙ্গীকার করে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু করতে পারেন পরিবর্তনের এই কাজটা।’ বলছিলেন মনোরোগ চিকিৎসক আহমেদ হেলাল।
সুস্থতা প্রতিদিন
নতুন বছর থেকেই নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখতে দেখে নিতে পারেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের দেওয়া পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘যাঁরা কর্মজীবী, তাঁরা কাজের ফাঁকে হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখতে পারেন। বিশেষ করে যাঁরা বসে কাজ করেন, তাঁরা ঘাড় ও পিঠের ব্যথা থেকে বাঁচতে ছোট ছোট ব্যায়াম করুন। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করলে শরীর থাকবে সুস্থ। এ ক্ষেত্রে কী খাবেন আর কী খাবেন না, সেদিকে সচেতন হয়ে উঠুন। তাই একটা খাবারের চার্ট ঠিক করে নিয়ে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর খাবারে রাখতে পারেন শাকসবজি, ছোট মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ও ফলমূল। বর্জন করে চলতে পারেন ফাস্টফুড আর বেশি চর্বিযুক্ত খাবার।
সকালের নাশতায় রুটির সঙ্গে খেতে পারেন সবজির পদ, ডিম ও ফলমূল।
দুপুরে খেতে পারেন একটু বেশি। এখানে ভাতের সঙ্গে ডাল, শাকসবজি, মাছ বা মুরগির মাংস।
বিকেলে হালকা নাশতা করে নিতে পারেন। অবশ্যই তেলে ভাজা খাবার নয়। পছন্দ করলে ঝাল-জাতীয় কোনো খাবার খেতে পারেন।
রাতের আয়োজনে ভাত না রাখাই ভালো। রাতে রুটির সঙ্গে সবজি খেতে পারেন। রাতে শাক না খাওয়াই ভালো। ছোট মাছের ঝোল খেতে পারেন রাতে। ভাত খেতে চাইলে পরিমাণে অল্প খাবেন।
আর ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমাতে পারেন।
রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়াই ভালো। মাছের মধ্যে পাঙাশ বা বোয়াল-জাতীয় মাছ যতটা পারেন কম খান। খেতে পারেন ইলিশ মাছ।
চোখের যত্নে ধুলাবালু থেকে বাঁচতে চশমা ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁরা একটানা ২০ মিনিটের বেশি কম্পিউটারে না বসাই ভালো। একটু বিরতি দিয়ে আবার শুরু করুন।
শরীরের যত্নে ব্যায়াম
নতুন বছরের শুরুর দিন নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। পারসোনা হেলথ-এর প্রধান প্রশিক্ষক ফারজানা খানম বলেন, ‘নতুন বছর আসলে যেকোনো কাজ শুরুর জন্য একটি সুন্দর সময়। তাই যাঁরা নিজের শরীর নিয়ে ভাবেন, কিন্তু আলসেমি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না, তাঁদের জন্য শুরুটা হোক আজ থেকে। এখন যেহেতু তীব্র শীত, তাই শুরুতেই বাইরে না গিয়ে আপনার ব্যায়াম শুরু হতে পারে জিমে বা ঘরে। হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন আপনার এই নতুন যাত্রা। শুরুতেই ভারী বা কষ্টকর কিছু করার দরকার নেই। অল্প হাঁটার মাধ্যমেই এ কাজটি শুরু হতে পারেন। শুরুতে ২০ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট। এরপর আস্তে আস্তে বাড়াতে পারেন। জিমের মাধ্যমে শুরুটা করলে কারও ওজন, উচ্চতা বা শারীরিক গড়ন দেখে একটা চার্ট করে দেওয়া হয়, সেটা মেনে চললেই হয়। এভাবেই আপনি শুরু করতে পারবেন। একেকজনের জন্য একেক ধরনের চার্ট করা হয়, তাই দরকার পড়ে সঠিক নির্দেশনা। নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস বা ইতিবাচক চিন্তা তৈরিতে ধ্যান (মেডিটেশন) বা যোগব্যায়াম (ইয়োগা) করতে পারেন। ২০ মিনিট হাঁটা দিয়ে শুরু করে ৪৫ মিনিটে যেতে পারেন। এ ছাড়া সাইক্লিং করেও ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। হাঁটা বা সাইক্লিং করে যদি পা বা পেশি ব্যথা হয়, তাহলে তা হালকা কিছু ব্যায়াম দিয়ে সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর দেরি না করে আজ থেকেই লেগে পড়ুন। আর শরীরের সঙ্গে মনের ফিটনেসও বাড়িয়ে তুলুন। বাঁচুন ভরপুর সুস্থতায়।’
পরিপাটি পোশাক
আজ থেকে সচেতন হতে পারেন নিজের পোশাকের প্রতিও। এলোমেলো পোশাক-আশাকে আপনার ব্যক্তিত্ব তো ক্ষুণ্ন হবেই, মনটাও ভালো থাকে না। চলতি ট্রেন্ডই অন্ধভাবে অনুসরণ করতে হবে, তা নয়, পোশাকে একটু পরিপাটি ভাব বজায় রাখাই যথেষ্ট। ফ্যাশন হাউস ওটুর প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা আসিফ ইবনে মান্নান মনে করেন, ‘শুধু যে নতুন পোশাক পরলেই আপনি পরিপাটি হয়ে গেলেন, এমনটি ভাবা ঠিক না। পুরোনো পোশাকেও নিজেকে পরিপাটি করে তুলে ধরতে পারেন। ময়লা কাপড় জমিয়ে না রেখে ভালো করে পরিষ্কার করে, ইস্ত্রি করে নিতে পারেন। বাইরে বেরোনোর আগে কোথায় যাচ্ছেন, এটি মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করুন।’
নিয়মিত পাঠাভ্যাস
নতুন বছর থেকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেন। ঢাকা কলেজের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক বাহাদুর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘যাঁরা শিক্ষার্থী, তাঁরা বছরের শুরু থেকে নিয়মিত পড়তে পারেন। কোনো শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন পাঠ্যবই একটু একটু করে পড়েন, তাহলে বছর শেষ হওয়ার আগেই তাঁর পড়া শেষ হয়ে যাবে। মুখস্থ না করে বুঝে পড়ুন। এ ছাড়া যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরাও নিজের পছন্দের বা আগ্রহের বিষয়ে প্রতিদিন একটু করে পড়তে পারেন। কারণ, যতই পড়িবে ততই শিখিবে বলে একটা ব্যাপার আছে না?’
বদলে ফেলি বদভ্যাস
অনেকেরই অনেক ধরনের বদভ্যাস আছে। চাইলে আজ থেকে তা বদলে নিতে পারেন। নতুন বছরের সংকল্প আপনাকে নতুনভাবে সাহস জোগাবে। কাজের ফাঁকে অনেকে দাঁতে নখ কাটতে থাকেন, এই ছোট্ট বদভ্যাসটাও আপনার সংকল্পে বদলে যেতে পারে। মিথ্যা না বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন আজ থেকে। কাউকে কষ্ট দেওয়ার মতো কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পারেন নিজেকে।
সহযোগী মনোভাব
কর্মক্ষেত্রে অন্যের প্রতি সহযোগী মনোভাব বজায় রাখতে শুরু করতে পারেন আজ থেকে। সহকর্মীর কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। আপনার আচরণে কর্মক্ষেত্রে বা অন্যত্র কেউ কষ্ট পেলে তাঁকে ‘দুঃখিত’ বলে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারেন। কর্মক্ষেত্র ছাড়াও বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনি অন্যের প্রতি সচেতন ও যত্নবান থাকুন। অসহায়ের পাশে দাঁড়ান। এভাবে একটু একটু করে প্রতিদিন নিজেকে বের করে আনুন।
‘অনেকেই স্রেফ আলসেমি করেই “শুরু করব, করব” ভেবেও শুরু করতে পারেন না। আমরা এটাকে বলি “ল্যাক অব ড্রাইভ”। নিজের ভেতরে কোনো উৎসাহের অভাবে এমনটি হয়। তাই নতুন কিছু শুরু করতে চাই একটা তাড়না। কারণ, পা বাড়ালেই আসল পথের শুরু। একটা উপলক্ষ বা বিশেষ দিন পেলে তার জন্য কাজটা করা অনেক সহজ হয়। আর তাই নতুন বছর একটা অন্যতম ভালো দিন। অঙ্গীকার করে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু করতে পারেন পরিবর্তনের এই কাজটা।’ বলছিলেন মনোরোগ চিকিৎসক আহমেদ হেলাল।
সুস্থতা প্রতিদিন
নতুন বছর থেকেই নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখতে দেখে নিতে পারেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের দেওয়া পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘যাঁরা কর্মজীবী, তাঁরা কাজের ফাঁকে হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখতে পারেন। বিশেষ করে যাঁরা বসে কাজ করেন, তাঁরা ঘাড় ও পিঠের ব্যথা থেকে বাঁচতে ছোট ছোট ব্যায়াম করুন। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করলে শরীর থাকবে সুস্থ। এ ক্ষেত্রে কী খাবেন আর কী খাবেন না, সেদিকে সচেতন হয়ে উঠুন। তাই একটা খাবারের চার্ট ঠিক করে নিয়ে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর খাবারে রাখতে পারেন শাকসবজি, ছোট মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ও ফলমূল। বর্জন করে চলতে পারেন ফাস্টফুড আর বেশি চর্বিযুক্ত খাবার।
সকালের নাশতায় রুটির সঙ্গে খেতে পারেন সবজির পদ, ডিম ও ফলমূল।
দুপুরে খেতে পারেন একটু বেশি। এখানে ভাতের সঙ্গে ডাল, শাকসবজি, মাছ বা মুরগির মাংস।
বিকেলে হালকা নাশতা করে নিতে পারেন। অবশ্যই তেলে ভাজা খাবার নয়। পছন্দ করলে ঝাল-জাতীয় কোনো খাবার খেতে পারেন।
রাতের আয়োজনে ভাত না রাখাই ভালো। রাতে রুটির সঙ্গে সবজি খেতে পারেন। রাতে শাক না খাওয়াই ভালো। ছোট মাছের ঝোল খেতে পারেন রাতে। ভাত খেতে চাইলে পরিমাণে অল্প খাবেন।
আর ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমাতে পারেন।
রেড মিট বা লাল মাংস না খাওয়াই ভালো। মাছের মধ্যে পাঙাশ বা বোয়াল-জাতীয় মাছ যতটা পারেন কম খান। খেতে পারেন ইলিশ মাছ।
চোখের যত্নে ধুলাবালু থেকে বাঁচতে চশমা ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁরা একটানা ২০ মিনিটের বেশি কম্পিউটারে না বসাই ভালো। একটু বিরতি দিয়ে আবার শুরু করুন।
শরীরের যত্নে ব্যায়াম
নতুন বছরের শুরুর দিন নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। পারসোনা হেলথ-এর প্রধান প্রশিক্ষক ফারজানা খানম বলেন, ‘নতুন বছর আসলে যেকোনো কাজ শুরুর জন্য একটি সুন্দর সময়। তাই যাঁরা নিজের শরীর নিয়ে ভাবেন, কিন্তু আলসেমি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না, তাঁদের জন্য শুরুটা হোক আজ থেকে। এখন যেহেতু তীব্র শীত, তাই শুরুতেই বাইরে না গিয়ে আপনার ব্যায়াম শুরু হতে পারে জিমে বা ঘরে। হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন আপনার এই নতুন যাত্রা। শুরুতেই ভারী বা কষ্টকর কিছু করার দরকার নেই। অল্প হাঁটার মাধ্যমেই এ কাজটি শুরু হতে পারেন। শুরুতে ২০ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট। এরপর আস্তে আস্তে বাড়াতে পারেন। জিমের মাধ্যমে শুরুটা করলে কারও ওজন, উচ্চতা বা শারীরিক গড়ন দেখে একটা চার্ট করে দেওয়া হয়, সেটা মেনে চললেই হয়। এভাবেই আপনি শুরু করতে পারবেন। একেকজনের জন্য একেক ধরনের চার্ট করা হয়, তাই দরকার পড়ে সঠিক নির্দেশনা। নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস বা ইতিবাচক চিন্তা তৈরিতে ধ্যান (মেডিটেশন) বা যোগব্যায়াম (ইয়োগা) করতে পারেন। ২০ মিনিট হাঁটা দিয়ে শুরু করে ৪৫ মিনিটে যেতে পারেন। এ ছাড়া সাইক্লিং করেও ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। হাঁটা বা সাইক্লিং করে যদি পা বা পেশি ব্যথা হয়, তাহলে তা হালকা কিছু ব্যায়াম দিয়ে সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর দেরি না করে আজ থেকেই লেগে পড়ুন। আর শরীরের সঙ্গে মনের ফিটনেসও বাড়িয়ে তুলুন। বাঁচুন ভরপুর সুস্থতায়।’
পরিপাটি পোশাক
আজ থেকে সচেতন হতে পারেন নিজের পোশাকের প্রতিও। এলোমেলো পোশাক-আশাকে আপনার ব্যক্তিত্ব তো ক্ষুণ্ন হবেই, মনটাও ভালো থাকে না। চলতি ট্রেন্ডই অন্ধভাবে অনুসরণ করতে হবে, তা নয়, পোশাকে একটু পরিপাটি ভাব বজায় রাখাই যথেষ্ট। ফ্যাশন হাউস ওটুর প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা আসিফ ইবনে মান্নান মনে করেন, ‘শুধু যে নতুন পোশাক পরলেই আপনি পরিপাটি হয়ে গেলেন, এমনটি ভাবা ঠিক না। পুরোনো পোশাকেও নিজেকে পরিপাটি করে তুলে ধরতে পারেন। ময়লা কাপড় জমিয়ে না রেখে ভালো করে পরিষ্কার করে, ইস্ত্রি করে নিতে পারেন। বাইরে বেরোনোর আগে কোথায় যাচ্ছেন, এটি মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করুন।’
নিয়মিত পাঠাভ্যাস
নতুন বছর থেকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেন। ঢাকা কলেজের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক বাহাদুর হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘যাঁরা শিক্ষার্থী, তাঁরা বছরের শুরু থেকে নিয়মিত পড়তে পারেন। কোনো শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন পাঠ্যবই একটু একটু করে পড়েন, তাহলে বছর শেষ হওয়ার আগেই তাঁর পড়া শেষ হয়ে যাবে। মুখস্থ না করে বুঝে পড়ুন। এ ছাড়া যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরাও নিজের পছন্দের বা আগ্রহের বিষয়ে প্রতিদিন একটু করে পড়তে পারেন। কারণ, যতই পড়িবে ততই শিখিবে বলে একটা ব্যাপার আছে না?’
বদলে ফেলি বদভ্যাস
অনেকেরই অনেক ধরনের বদভ্যাস আছে। চাইলে আজ থেকে তা বদলে নিতে পারেন। নতুন বছরের সংকল্প আপনাকে নতুনভাবে সাহস জোগাবে। কাজের ফাঁকে অনেকে দাঁতে নখ কাটতে থাকেন, এই ছোট্ট বদভ্যাসটাও আপনার সংকল্পে বদলে যেতে পারে। মিথ্যা না বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন আজ থেকে। কাউকে কষ্ট দেওয়ার মতো কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পারেন নিজেকে।
সহযোগী মনোভাব
কর্মক্ষেত্রে অন্যের প্রতি সহযোগী মনোভাব বজায় রাখতে শুরু করতে পারেন আজ থেকে। সহকর্মীর কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। আপনার আচরণে কর্মক্ষেত্রে বা অন্যত্র কেউ কষ্ট পেলে তাঁকে ‘দুঃখিত’ বলে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারেন। কর্মক্ষেত্র ছাড়াও বাইরে চলাফেরা করার সময় আপনি অন্যের প্রতি সচেতন ও যত্নবান থাকুন। অসহায়ের পাশে দাঁড়ান। এভাবে একটু একটু করে প্রতিদিন নিজেকে বের করে আনুন।
No comments