আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর আসকের পর্যালোচনা- মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
২০১২ সালে দেশে ৫৯৫টি রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছে। এতে ৮৪ জন নিহত ও ১০ হাজার ৫২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
সংস্থাটির পর্যালোচনায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ‘নৈরাশ্যজনক’ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গত বছরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর আসকের পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। আরও বক্তব্য দেন সংস্থাটির পরিচালক মো. নূর খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘এনকাউন্টারের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গুম ও গুপ্ত হত্যার ঘটনা। ২০১২ সালে ৯১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ৫৬ জন গুম ও গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুনে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণ গেলেও এর মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। অপর দিকে, রাজনৈতিক প্রভাবে বিকাশের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্তি পেয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, যে নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেটাকে কাজে লাগাতে পারেনি। নির্যাতন ও অনাচারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। সরকার কাজের মাধ্যমে জনমনে এমন কোনো বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারেনি যে এগুলো কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধুর চেয়ে তাঁর কন্যা অনেক বেশি সুযোগ পেয়েছিলেন দেশটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনার।’
গত বছরের ভয়াবহ বিষয় ছিল কক্সবাজারসহ কয়েক স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা। কক্সবাজারে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শত বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দির, বৌদ্ধবসতি। দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, যশোর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন। ২০১২ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নিহত হয়েছে ৪৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। আহত হয়েছে ১০৬ জন এবং অপহূত হয়েছে ১৪০ জন।
গত বছর দেশে এক হাজার ১৪৯ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৯ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ১৪ জন পরে আত্মহত্যা করে। ৬৮ জন নারী অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার এবং অন্তত ২৫০ জন নারী বখাটেদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হন ২১৫ জন, তাতে ১৫ জন নিহত হন। ফতোয়ার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৩৮ জন। আসকের পর্যালোচনায় বলা হয়, এসব বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গত বছরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর আসকের পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। আরও বক্তব্য দেন সংস্থাটির পরিচালক মো. নূর খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘এনকাউন্টারের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গুম ও গুপ্ত হত্যার ঘটনা। ২০১২ সালে ৯১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ৫৬ জন গুম ও গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুনে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণ গেলেও এর মালিকসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। অপর দিকে, রাজনৈতিক প্রভাবে বিকাশের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্তি পেয়েছে।
সুলতানা কামাল বলেন, যে নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেটাকে কাজে লাগাতে পারেনি। নির্যাতন ও অনাচারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। সরকার কাজের মাধ্যমে জনমনে এমন কোনো বিশ্বাসের জন্ম দিতে পারেনি যে এগুলো কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধুর চেয়ে তাঁর কন্যা অনেক বেশি সুযোগ পেয়েছিলেন দেশটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনার।’
গত বছরের ভয়াবহ বিষয় ছিল কক্সবাজারসহ কয়েক স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা। কক্সবাজারে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শত বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দির, বৌদ্ধবসতি। দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, যশোর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন। ২০১২ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে নিহত হয়েছে ৪৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। আহত হয়েছে ১০৬ জন এবং অপহূত হয়েছে ১৪০ জন।
গত বছর দেশে এক হাজার ১৪৯ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৯ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ১৪ জন পরে আত্মহত্যা করে। ৬৮ জন নারী অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার এবং অন্তত ২৫০ জন নারী বখাটেদের দ্বারা লাঞ্ছিত হন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হন ২১৫ জন, তাতে ১৫ জন নিহত হন। ফতোয়ার দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৩৮ জন। আসকের পর্যালোচনায় বলা হয়, এসব বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
No comments