মুক্তির অপেক্ষায় সিনেমা ‘জোনাকীর আলো’
শূটিং এবং সম্পাদনার কাজ শেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে পরিচালক খালিদ মাহমুদের চলচ্চিত্র ‘জোনাকীর আলো।’ এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমন, কল্যাণ এবং লাক্স সুন্দরী মিম।
সিনেমার চিত্রধারণের কাজ হয়েছে সেন্টমার্টিন, রাঙামাটি, কুমিল্লা, টাঙ্গাইলের মনোরম সব লোকেশনে। সিনেমায় গান রয়েছে ছয়টি। আগুন, পড়শি, হায়দার হোসেন, বাপ্পা মজুমদার, ইবরার টিপু এবং ন্যান্সি প্লেব্যাক করেছেন এই চলচ্চিত্রে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী মার্চে। সিনেমার দৈর্ঘ্য আড়াই ঘণ্টা। ছবির গল্পে নায়ক দু’জন। ইমন এবং কল্যাণ আর নায়িকা মিম। সেই অর্থে এটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্পও বটে। এখানে ভালবাসার গল্পের সঙ্গে আনন্দ বেদনা সবই রয়েছে। ছবির গল্প লিখেছেন পরিচালক খালিদ মাহমুদ নিজেই। ছবির সম্পাদনা এবং চিত্রধারণের কাজও করেছেন তিনি। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ইমন সাহা। সিনেমার মূল থিম তিনি গ্রহণ করেছেন চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের একটি চিত্রকলা থেকে। যে থিমের জন্য সুলতান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পদক পেয়েছিলেন। যেখানে দেখান হয়েছে, বাংলাদেশের শিশুদের ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে একটা দূরত্ব গড়ে ওঠে। যেটি পরবর্তীকালে তাদের কর্মজীবনেও প্রভাব ফেলে। এই সিনেমার নায়িকা মিম চেষ্টা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। স্বাবলম্বী হতে। ছবিতে বেশ কিছু সিম্বলিক সিকুয়েন্স রয়েছে । ছবির নাম জোনাকীর আলো রাখা প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, ‘জোনাকী যতই ছোট হোক না কেন সে তার নিজের আলোতেই চলে। কারও ওপর নির্ভর করে না। এছাড়াও জোনকীর আলো জ্বলে এবং নেভে। জীবনে সুখ দুঃখ পাশাপাশি থাকে। তাই আমার ছবির নাম ‘জোনাকীর আলো।’ পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু তরুণ পরিচালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ডিজিটাল হলেই সিনেমার খরচ কিন্তু খুব একটা কমছে না। আর প্রযুক্তি আসলে ছবি বানাবে না। তবে নতুন পরিচালক যাঁরা আসছেন তাঁরা অনেক বেশি স্ব শিক্ষিত এবং সারা পৃথিবীর সিনেমা সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন। নতুন একই সঙ্গে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। এর ফলে অনেক নতুন নতুন গল্পের সিনেমা আসছে। আমি আশাবাদী সিনেমার সুদিন আসছে। আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
No comments