স্বাগতম ২০১৩-উদ্ভাসিত হোক আশার আলো
খ্রিস্টাব্দ ২০১২ এখন ইতিহাসের পাতায় নথিবদ্ধ। স্বাগতম ২০১৩ সাল। সময় বহমান, কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তবুও মানুষ পেছন ফিরে তাকায়, ভবিষ্যতের পানেও দৃষ্টি ফেলে। কেমন কাটল বছরটি সেটা নিয়ে চলে মূল্যায়ন। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণে অনেকেই সচেষ্ট হন।
পুরাতনকে বিদায় দিয়ে ব্যর্থতা মুছে ফেলে নতুন সংকল্প নেওয়ার দিন আজ। নতুন বছর সম্ভাবনা জাগায় আশাবাদ। হয়ে ওঠে এগিয়ে চলার প্রেরণা। দিনযাপন তখন আর ক্লান্তিকর মনে হয় না। প্রবল অপশক্তিকে মোকাবেলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ায় অভাব হয় না সাহসের। অসম্ভবকেও যেন সম্ভব করা যায় তেমন অঙ্গীকার নেয় জনে জনে। আমরা পারি এবং আমাদের পারতেই হবে_ নববর্ষের নবপ্রভাতের আলোয় এভাবেই আমরা উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে চাই।
বাংলাদেশের এবং বিশেষভাবে বলতে গেলে বাঙালির অবশ্য আপন নববর্ষ রয়েছে, যার শুরু বৈশাখের প্রথম দিনে। নব আনন্দে, প্রাণের আবেগে এ দিনে ভেসে যায় গোটা দেশ। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে পহেলা বৈশাখ। বাঙালি ঋতুচক্রের হিসাব বাংলা পঞ্জিকা অনুসরণ করে। কৃষিকাজে যুক্তরা জানেন কখন বর্ষা এসে সিক্ত করবে ধরণী, কখনই-বা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়বে প্রকৃতি। কখন ফুটবে বসন্তের ফুল, ডাকবে কোকিল। ঐতিহাসিকভাবে বহু সংস্কৃতির উত্তরাধিকার-বাহিত এ ভূখণ্ডে আরও পালিত হয় মুসলিম ঐতিহ্যের হিজরি সাল। মুসলিম ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো এ সালের দিনক্ষণ মেনে পালিত হয়। অফিস-আদালতের কাজ চলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় পঞ্জিকা মেনে। অর্থবছর শুরু হয় জুলাইয়ের প্রথম দিনে। দেবে আর নেবে মেলাবে মিলিবে মন্ত্রে উজ্জীবিত থাকার কারণেই প্রধান তিন পঞ্জিকা নিয়ে কোনো সংঘাত নেই। ইংরেজি নববর্ষ এবং একই সঙ্গে এ বছরের বিদায়ের দিনটি পালনে বিশেষভাবে উৎসাহী থাকে এলিট শ্রেণী। তাতে আমজনতা বাদ সাধে না। এর আয়োজনের উন্মাদনায় তারা শরিক হয় না; বাড়াবাড়িতে শঙ্কাবোধ করে। আশার কথা 'থার্টিফাস্ট' নাইটে এখন আর তেমন উচ্ছৃঙ্খলতা হয় না।
বিদায়ী প্রতিটি বছরকেই ঘটনাবহুল বলা যায়। নতুন বছরেও ঘটনার কমতি থাকবে না। তবে বছরটি অঘটনের বছর হিসেবে চিহ্নিত যেন না হয়, এটাই একান্তভাবে কাম্য। আমরা অর্থনীতি এবং সামাজিক বেশ কিছু সূূচকে উন্নতি করছি। এ ধারা কেবল একটি বছরের জন্য নয়, অনাগত দিন ও বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকুক। নতুন বছর আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এ কারণে, ২০১৩ নির্বাচনের বছর, চ্যালেঞ্জের বছর, অগি্নপরীক্ষার বছর। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। এ বছরে রাজনৈতিক অঙ্গন যেন অনাবশ্যক উত্তপ্ত না হয়, জনজীবন যেন অকারণ বিঘ্ন ও যন্ত্রণায় দগ্ধ না হয়, শক্তের অপরাধ যেন প্রতিকারহীন হয়ে না পড়ে।
বাংলাদেশের এবং বিশেষভাবে বলতে গেলে বাঙালির অবশ্য আপন নববর্ষ রয়েছে, যার শুরু বৈশাখের প্রথম দিনে। নব আনন্দে, প্রাণের আবেগে এ দিনে ভেসে যায় গোটা দেশ। সব শ্রেণী-পেশার মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে পহেলা বৈশাখ। বাঙালি ঋতুচক্রের হিসাব বাংলা পঞ্জিকা অনুসরণ করে। কৃষিকাজে যুক্তরা জানেন কখন বর্ষা এসে সিক্ত করবে ধরণী, কখনই-বা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়বে প্রকৃতি। কখন ফুটবে বসন্তের ফুল, ডাকবে কোকিল। ঐতিহাসিকভাবে বহু সংস্কৃতির উত্তরাধিকার-বাহিত এ ভূখণ্ডে আরও পালিত হয় মুসলিম ঐতিহ্যের হিজরি সাল। মুসলিম ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো এ সালের দিনক্ষণ মেনে পালিত হয়। অফিস-আদালতের কাজ চলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় পঞ্জিকা মেনে। অর্থবছর শুরু হয় জুলাইয়ের প্রথম দিনে। দেবে আর নেবে মেলাবে মিলিবে মন্ত্রে উজ্জীবিত থাকার কারণেই প্রধান তিন পঞ্জিকা নিয়ে কোনো সংঘাত নেই। ইংরেজি নববর্ষ এবং একই সঙ্গে এ বছরের বিদায়ের দিনটি পালনে বিশেষভাবে উৎসাহী থাকে এলিট শ্রেণী। তাতে আমজনতা বাদ সাধে না। এর আয়োজনের উন্মাদনায় তারা শরিক হয় না; বাড়াবাড়িতে শঙ্কাবোধ করে। আশার কথা 'থার্টিফাস্ট' নাইটে এখন আর তেমন উচ্ছৃঙ্খলতা হয় না।
বিদায়ী প্রতিটি বছরকেই ঘটনাবহুল বলা যায়। নতুন বছরেও ঘটনার কমতি থাকবে না। তবে বছরটি অঘটনের বছর হিসেবে চিহ্নিত যেন না হয়, এটাই একান্তভাবে কাম্য। আমরা অর্থনীতি এবং সামাজিক বেশ কিছু সূূচকে উন্নতি করছি। এ ধারা কেবল একটি বছরের জন্য নয়, অনাগত দিন ও বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকুক। নতুন বছর আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এ কারণে, ২০১৩ নির্বাচনের বছর, চ্যালেঞ্জের বছর, অগি্নপরীক্ষার বছর। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। এ বছরে রাজনৈতিক অঙ্গন যেন অনাবশ্যক উত্তপ্ত না হয়, জনজীবন যেন অকারণ বিঘ্ন ও যন্ত্রণায় দগ্ধ না হয়, শক্তের অপরাধ যেন প্রতিকারহীন হয়ে না পড়ে।
No comments