একাত্তরের এই দিনে
* ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ সমাবেশে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগদলীয় ৪১৯ জন সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সমাবেশে তাঁর নীতিনির্ধারণী বক্তব্য প্রদান করেন।
* আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান রমনা রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে সাবধান করে বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। জনতাকে উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধু বলেন, ' আপনারা চরম ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকবেন।' তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঘোষণা করেন, '৬-দফার শাসনতন্ত্র প্রণীত হবেই, কেউ এটা ঠেকাতে পারবে না।' বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রদত্ত নীতিনির্ধারণী বক্তৃতায় শাসনতন্ত্র প্রণয়নের প্রশ্নে ঘোষণা করেন যে, সংখ্যায় বেশি আছি বলে একথা বলব না যে, কারো সহযোগিতা চাই না। আমরা সহযোগিতা চাই, তবে নীতির প্রশ্নে কোনো আপস নেই। তিনি বলেন, ৬-দফা ও ১১-দফা আওয়ামী লীগ বা মুজিবের সম্পত্তি না, জনতার সম্পত্তি। একে রদবদল করার অধিকার সদস্যদের নেই।
* তিনি উত্তরবঙ্গবাসীদের উদ্দেশ করে বলেন, যমুনার ওপর নিশ্চয় সেতু হবে, টাকার অভাব হবে না। শীতলক্ষ্যা ও মেঘনার ওপরও সেতু নির্মাণের প্রচেষ্টা চালানো হবে। তবে আস্তে আস্তে।
* আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কাশ্মীর ও ফারাক্কা বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার প্রচেষ্টা চালাবেন বলে তিনি ঘোষণা করেন।
* মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানুশ্রী সার্দস তিন দিনব্যাপী পূর্ব পাকিস্তান সফর শেষে সন্ধ্যায় স্বদেশের পথে ঢাকা থেকে ব্যাংকক যাত্রা করেন। ঢাকা বিমানবন্দরে মালয়েশীয় মন্ত্রীকে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মালিক এবং ঢাকায় ইন্দোনেশীয় ভাইস কন্সাল বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। পূর্ব পাকিস্তান অবস্থানকালে মালয়েশীয় মন্ত্রী পটুয়াখালী জেলার ঘূর্ণিদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
* তিনি উত্তরবঙ্গবাসীদের উদ্দেশ করে বলেন, যমুনার ওপর নিশ্চয় সেতু হবে, টাকার অভাব হবে না। শীতলক্ষ্যা ও মেঘনার ওপরও সেতু নির্মাণের প্রচেষ্টা চালানো হবে। তবে আস্তে আস্তে।
* আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কাশ্মীর ও ফারাক্কা বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার প্রচেষ্টা চালাবেন বলে তিনি ঘোষণা করেন।
* মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তানুশ্রী সার্দস তিন দিনব্যাপী পূর্ব পাকিস্তান সফর শেষে সন্ধ্যায় স্বদেশের পথে ঢাকা থেকে ব্যাংকক যাত্রা করেন। ঢাকা বিমানবন্দরে মালয়েশীয় মন্ত্রীকে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মালিক এবং ঢাকায় ইন্দোনেশীয় ভাইস কন্সাল বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। পূর্ব পাকিস্তান অবস্থানকালে মালয়েশীয় মন্ত্রী পটুয়াখালী জেলার ঘূর্ণিদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
No comments