নগর আওয়ামী লীগ- বিরোধ মেটাতে তৎপর নেতারা by একরামুল হক
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধ মেটাতে তৎপর হয়ে উঠেছেন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে নগর কমিটির সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্ব অনেকটা কমিয়ে এনেছেন সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি ও যুগ্ম সম্পাদক আফছারুল আমীন।
দলীয় সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনে আসন ধরে রাখতে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার দাবি আসছিল তৃণমূল পর্যায় থেকে। দেরিতে হলেও শীর্ষ নেতারা বিষয়টি অনুধাবন করছেন। বর্তমানে নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
জানতে চাইলে সহসভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনার (মহিউদ্দিন চৌধুরী) সঙ্গে আমার সম্পর্ক চমৎকার। তিনি আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা, যিনি তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছেন।’ বিরোধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখন বিরোধ নেই। তৃণমূল পর্যায়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ, যে কারণে আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীনও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে আসছেন এর সঙ্গে আমার কোনো দ্বিমত ছিল না এবং নেই।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের আচরণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, যেখানে সব নেতার অংশগ্রহণ থাকবে।’
নেতা-কর্মীরা জানান, আড়াই বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। এ কারণে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র পদে হেরে যান। এরপর চট্টগ্রামে তাঁর বিরোধী পক্ষ আরও জোর পায়। তাঁরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাল্টা সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সাংগঠনিক কাঠামোও দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হলে সাংগঠনিক গতি আরও বাড়বে।’
কমিটি গঠনের ব্যাপারে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে চাই। ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছি। আরও বসতে হবে। দুই মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ে যাবে।’
দলীয় সূত্র আরও জানায়, তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও দলকে ঐক্যবদ্ধ করার ওপর জোর দিচ্ছেন। নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এখনো রয়ে গেছে। বিশেষ করে আফছারুল আমীনের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি দুটি পক্ষ রয়েছে। নির্বাচনী এলাকার লালখান বাজারে প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রী আফছারুল আমীন কোনো পক্ষকে সমর্থন না দিয়ে এই বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আফছারুল আমীন বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা লালখান বাজারে দুটি পক্ষ রয়েছে, যা সংগঠনের জন্য সুখকর নয়। তাই এলাকার মুরব্বিরা দুই পক্ষের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন বলে আমি শুনেছি।’
জানা গেছে, লালখান বাজারে চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত। এ কারণে গত চার বছরে সেখানে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অনেকে আহত হন।
লালখান বাজারে যুবলীগের একটি অংশের নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলাল এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। এ কারণে কেউ হয়তো আমাদের অবস্থান মেনে নিতে পারছিল না। তার পরও এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় আমরা বিরোধ নিরসনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। আশা করছি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার কাজ শুরু করতে পারব।’
জানতে চাইলে সহসভাপতি সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনার (মহিউদ্দিন চৌধুরী) সঙ্গে আমার সম্পর্ক চমৎকার। তিনি আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা, যিনি তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছেন।’ বিরোধ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখন বিরোধ নেই। তৃণমূল পর্যায়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ, যে কারণে আগামী নির্বাচনে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীনও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে আসছেন এর সঙ্গে আমার কোনো দ্বিমত ছিল না এবং নেই।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের আচরণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাই, যেখানে সব নেতার অংশগ্রহণ থাকবে।’
নেতা-কর্মীরা জানান, আড়াই বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। এ কারণে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র পদে হেরে যান। এরপর চট্টগ্রামে তাঁর বিরোধী পক্ষ আরও জোর পায়। তাঁরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাল্টা সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সাংগঠনিক কাঠামোও দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হলে সাংগঠনিক গতি আরও বাড়বে।’
কমিটি গঠনের ব্যাপারে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে চাই। ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছি। আরও বসতে হবে। দুই মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ে যাবে।’
দলীয় সূত্র আরও জানায়, তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও দলকে ঐক্যবদ্ধ করার ওপর জোর দিচ্ছেন। নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ এখনো রয়ে গেছে। বিশেষ করে আফছারুল আমীনের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি দুটি পক্ষ রয়েছে। নির্বাচনী এলাকার লালখান বাজারে প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রী আফছারুল আমীন কোনো পক্ষকে সমর্থন না দিয়ে এই বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আফছারুল আমীন বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা লালখান বাজারে দুটি পক্ষ রয়েছে, যা সংগঠনের জন্য সুখকর নয়। তাই এলাকার মুরব্বিরা দুই পক্ষের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন বলে আমি শুনেছি।’
জানা গেছে, লালখান বাজারে চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত। এ কারণে গত চার বছরে সেখানে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অনেকে আহত হন।
লালখান বাজারে যুবলীগের একটি অংশের নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলাল এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। এ কারণে কেউ হয়তো আমাদের অবস্থান মেনে নিতে পারছিল না। তার পরও এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় আমরা বিরোধ নিরসনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। আশা করছি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার কাজ শুরু করতে পারব।’
No comments