যৌথ ইশতেহার শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে দীপু মনি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাৰরিত যৌথ ইশতেহার শীঘ্রই জনসমৰে প্রকাশ করা হবে। ধানম-ির বেল টাওয়ারে বুধবার ইংরেজী দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট আয়োজিত এক সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসস, বিডিটোয়েন্টিফোর ডটকম।
দীপু মনি বলেন, খুব সহসাই এই দলিলগুলো জনসমৰে প্রকাশ করা হবে। আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি এবং তা চর্চা করি। এর মাধ্যমেই আমরা প্রমাণ করব যে আমরা জনগণের সরকার। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে স্বাৰরিত চুক্তিগুলো আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। অনুষ্ঠানটি দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও সেন্টার ফর ফরেন এ্যাফেয়ার্স সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করে।এ সময় তিনি বলেন, শুকনো মৌসুমে সঙ্কটে পড়ার আগেই তিসত্মার পানি বণ্টন নিয়ে আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ। আগামী মার্চে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পযর্ায়ের বৈঠকের পর পরই এ অস্থায়ী চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হবে।
আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি সঙ্কটে যেন না পড়তে হয়, সে জন্যই ঢাকার এ উদ্যোগ বলে তিনি মনত্মব্য করেন।
গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ তিসত্মার পানি বণ্টন বিষয়ে একটি চুক্তির জন্য প্রতিবেশী ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
১৯৯০ সালে ভারত তিসত্মার উজানে বাঁধ নিমর্াণ করার পর থেকে ভাটিতে বাংলাদেশ অংশে প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে সেচের পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের এক সপ্তাহ আগে জেআরসির সচিব পযর্ায়ের বৈঠকে তিসত্মার পানি বণ্টন চুক্তি ত্বরানি্বত করতে মতৈক্য হয়।
দীপু মনি বলেন, তিসত্মার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। মার্চে জেআরসির মন্ত্রী পযর্ায়ের বৈঠকের পর পরই এ্যাডহক (অস্থায়ী) ভিত্তিতে একটি চুক্তি আমরা করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা হাইড্রোলজিক্যাল সার্ভে ডাটা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে পারি না।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেআরসির বৈঠকে চুক্তির আগে তিসত্মার পানি সংক্রানত্ম তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধানত্ম হয়। এই কমিটি তিসত্মার ব্যাপারে হাইড্রলজিক্যাল সার্ভে চালাবে। এ সমীক্ষা থেকে পাওয়া উপাত্ত তিসত্মার পানি বণ্টন কাজে ব্যবহার করা হবে।
জেআরসির সচিব পযর্ায় ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ পযর্ায়ের বৈঠক ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে তিসত্মার পানি বণ্টন বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যকার মতপার্থক্য কিছুটা কমেছে।
তিসত্মা নদীকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরম্নত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। রংপুর অঞ্চলে তিসত্মা ব্যারাজ প্রকল্পের প্রথম ধাপের আওতায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ হেক্টর কৃষিজমি রয়েছে।
কিন্তু ভারত তার সেচ প্রকল্পের জন্য তিসত্মার উজানে গজলডোবায় ব্যারাজ (বাঁধ) নির্মাণ করায় প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে নদীর বাংলাদেশ অংশে পানি সঙ্কট দেখা দেয়।
পানির এমন সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ তিসত্মার সেচ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ বাসত্মবায়ন করতে পারছে না।
No comments