ভারতে ফিরল গান্ধীর চশমা-চরকা
মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃত ২৯টি জিনিস গত মঙ্গলবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এসব জিনিসের মধ্যে রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত ঐতিহাসিক চরকা, চশমা, তাঁর লেখা চিঠি-পত্র, রক্তমাখা মাটি ও ঘাস।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নয়াদিলি্লর বিরলা হাউসে আঁততায়ীর হাতে মহাত্মা গান্ধী নিহত হন। ওই সময় পিপি নামবিয়ার নামের এক ব্যক্তি গান্ধীর ব্যবহৃত এসব জিনিস সংগ্রহ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে এগুলো অ্যান্টনি নামের আরেক ব্যক্তিকে দেন। অ্যান্টনিই এসব জিনিস নিলামে তোলেন। গত বছর এপ্রিলে লন্ডনে আয়োজিত ওই নিলাম থেকে এসব জিনিস কিনে নেন ভারতের শিল্পপতি ও সাবেক মন্ত্রী কামাল মোরারকা। মঙ্গলবার সেসব জিনিসই দেশে আনা হলো।
মুম্বাই বিমানবন্দরে এসব জিনিস গ্রহণ করেন সামাজকর্মী আন্না হাজারে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং এবং কামাল মোরারকা। এ সময় কামাল সাংবাদিকদের বলেন, 'গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে গর্ব হচ্ছে। তবে এসব জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুঃখ পেয়েছি।' তিনি আরো বলেন, 'গান্ধীর ব্যবহৃত জিনিসের ওপর থেকে সরকার ২২ লাখ রুপি শুল্কও প্রত্যাহার করেনি। সরকারকে আমি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলাম। কখনো এসব জিনিস বিক্রি কিংবা দান করতে পারব না- এই মর্মে কর্তৃপক্ষ আমাকে একটি হলফনামায় সই করতে বলে। আমি বিক্রি না করতে সম্মত হলেও ভেবে দেখলাম, এসব জিনিস দান না করার তো কোনো কারণ নেই। পরে আমি পুরো শুল্ক দিয়েই এসব জিনিস দেশে এনেছি।'
শিল্পপতি কামাল বলেন, "গান্ধীর ব্যবহৃত এসব জিনিস আন্না হাজারে ও চৌথি দুনিয়া সাময়িকীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা দেশব্যাপী 'প্রণাম বাপু' শীর্ষক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে। এর মাধ্যমে জনগণ জাতির পিতার ব্যবহার্য জিনিস দেখার সুযোগ পাবে এবং গান্ধীর দর্শনে তরুণ সমাজ উজ্জীবিত হবে।" আগামী ৩০ জানুয়ারি বিহারের পাটনায় প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। সূত্র : জিনিউজ।
মুম্বাই বিমানবন্দরে এসব জিনিস গ্রহণ করেন সামাজকর্মী আন্না হাজারে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং এবং কামাল মোরারকা। এ সময় কামাল সাংবাদিকদের বলেন, 'গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে গর্ব হচ্ছে। তবে এসব জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুঃখ পেয়েছি।' তিনি আরো বলেন, 'গান্ধীর ব্যবহৃত জিনিসের ওপর থেকে সরকার ২২ লাখ রুপি শুল্কও প্রত্যাহার করেনি। সরকারকে আমি শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলাম। কখনো এসব জিনিস বিক্রি কিংবা দান করতে পারব না- এই মর্মে কর্তৃপক্ষ আমাকে একটি হলফনামায় সই করতে বলে। আমি বিক্রি না করতে সম্মত হলেও ভেবে দেখলাম, এসব জিনিস দান না করার তো কোনো কারণ নেই। পরে আমি পুরো শুল্ক দিয়েই এসব জিনিস দেশে এনেছি।'
শিল্পপতি কামাল বলেন, "গান্ধীর ব্যবহৃত এসব জিনিস আন্না হাজারে ও চৌথি দুনিয়া সাময়িকীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা দেশব্যাপী 'প্রণাম বাপু' শীর্ষক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবে। এর মাধ্যমে জনগণ জাতির পিতার ব্যবহার্য জিনিস দেখার সুযোগ পাবে এবং গান্ধীর দর্শনে তরুণ সমাজ উজ্জীবিত হবে।" আগামী ৩০ জানুয়ারি বিহারের পাটনায় প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। সূত্র : জিনিউজ।
No comments