২৬ হাজার স্কুল জাতীয়করণ-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সুসংবাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দেশের ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করায় ১ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি শিক্ষক উপকৃত হয়েছিলেন। এ পদক্ষেপ ছিল ঐতিহাসিক। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের ওই পর্যায়ে সরকারের অর্থের টানাটানি ছিল।
কিন্তু আমাদের মুক্তিসংগ্রামের মহান নেতা প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। শিক্ষা ছিল তার কাছে বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। এর চার দশক পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ৯ জানুয়ারির তারিখের শিক্ষক সমাবেশে আরও ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেন। ফলে বেতন ও অন্যান্য সুবিধার বিবেচনায় উপকৃত হবেন ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষক। তিন ধাপে এর বাস্তবায়ন হবে চলতি বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রায় ২৩ হাজার নিবন্ধিত স্কুলের ৯১ হাজারের বেশি শিক্ষক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতোই সুবিধার আওতায় আসবেন। রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে শিক্ষকদের মহাসমাবেশে এ সুসংবাদ ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষকদের দাবি ছিল যৌক্তিক এবং সেটা আমি উপলব্ধি করেছি। প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্তরা শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ চেয়েছেন। আমি সবারটাই করে দিলাম। এখন সরকারিকরণের আশায় নতুন করে যত্রতত্র বিদ্যালয় করলে অনুমোদন দেওয়া হবে না। বিদ্যালয় করতে হলে সরকারিভাবে করা হবে।' এই অনন্য ও অবিস্মরণীয় পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে অভিনন্দনে সিক্ত হবেন এবং সাধুবাদ পাবেন।
সরকারি এ সিদ্ধান্তে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বৈষম্যের অবসান ঘটবে। চলতি বছরে এ জন্য বাড়তি ব্যয় পড়বে একশ' কোটি টাকা। শিক্ষার প্রতি বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার সর্বমহলে স্বীকৃত এবং জনগণ তা উপলব্ধিও করে। মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে সমকাল এবং আরও কয়েকটি দৈনিক পরিচালিত জরিপে জনসাধারণ শিক্ষা খাতে সাফল্যকেই এ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ এ সাফল্যের উষ্ণীষে নতুন স্বর্ণপালক যুক্ত করবে_ সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি বিষয়ক জটিলতা নিরসনে উদ্যোগী হবে বলে আমরা আশা করব। ৯ জানুয়ারি যখন প্রধানমন্ত্রী হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের আনন্দঘন সমাবেশে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন, ঠিক সে সময়েই এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী পরপর তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীতে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা সংঘর্ষও হয় এবং কয়েকজন শিক্ষক কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটায় আহত হন। শিক্ষা সংক্রান্ত দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকরা রাজপথে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হবেন_ বর্তমান সরকারের কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সরকারের আর্থিক সমস্যা রয়েছে_ সেটা জানা কথা। কিন্তু শিক্ষকদের দাবি তো বেশি নয় এবং বর্তমান অর্থনৈতিক ক্ষমতায় তা পূরণ অস্বাভাবিক হওয়ার কথা নয়।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত লক্ষাধিক শিক্ষকের পরিবারে মহাউৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদেরও তাদের প্রিয় শিক্ষকদের আর চোখের জল দেখতে হবে না। এ যে বড় প্রাপ্তি। কিন্তু এর ফলে তাদের ওপর নতুন দাবিও বর্তাবে_ ছাত্রছাত্রীদের আরও ভালো করে পাঠদান। এতে সফল হলে দেশের সমৃদ্ধির পথে আরও নিশ্চিত করে চলা সম্ভব হবে।
সরকারি এ সিদ্ধান্তে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বৈষম্যের অবসান ঘটবে। চলতি বছরে এ জন্য বাড়তি ব্যয় পড়বে একশ' কোটি টাকা। শিক্ষার প্রতি বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার সর্বমহলে স্বীকৃত এবং জনগণ তা উপলব্ধিও করে। মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে সমকাল এবং আরও কয়েকটি দৈনিক পরিচালিত জরিপে জনসাধারণ শিক্ষা খাতে সাফল্যকেই এ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ এ সাফল্যের উষ্ণীষে নতুন স্বর্ণপালক যুক্ত করবে_ সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি বিষয়ক জটিলতা নিরসনে উদ্যোগী হবে বলে আমরা আশা করব। ৯ জানুয়ারি যখন প্রধানমন্ত্রী হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের আনন্দঘন সমাবেশে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন, ঠিক সে সময়েই এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী পরপর তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীতে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা সংঘর্ষও হয় এবং কয়েকজন শিক্ষক কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটায় আহত হন। শিক্ষা সংক্রান্ত দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকরা রাজপথে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হবেন_ বর্তমান সরকারের কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সরকারের আর্থিক সমস্যা রয়েছে_ সেটা জানা কথা। কিন্তু শিক্ষকদের দাবি তো বেশি নয় এবং বর্তমান অর্থনৈতিক ক্ষমতায় তা পূরণ অস্বাভাবিক হওয়ার কথা নয়।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত লক্ষাধিক শিক্ষকের পরিবারে মহাউৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদেরও তাদের প্রিয় শিক্ষকদের আর চোখের জল দেখতে হবে না। এ যে বড় প্রাপ্তি। কিন্তু এর ফলে তাদের ওপর নতুন দাবিও বর্তাবে_ ছাত্রছাত্রীদের আরও ভালো করে পাঠদান। এতে সফল হলে দেশের সমৃদ্ধির পথে আরও নিশ্চিত করে চলা সম্ভব হবে।
No comments