গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা- ই-কমার্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ
ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস) ই-কমার্সের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এনপিএস সম্প্রতি চালু হয়েছে। এখন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে এনপিএসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।
গতকাল বুধবার সপ্তাহব্যাপী ‘ই-কমার্স সপ্তাহ-২০১৩-এর (www.ecommerceweek.org) অংশ হিসেবে ঢাকার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেসের (বেসিস) মিলনায়তনে ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অ্যান্ড নিউ অপরচুনিটি ফর ই-কমার্স’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসিস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে চলতে থাকা ই-কমার্স সপ্তাহের পঞ্চম দিনে আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, এনপিএস সফল করতে হলে এর প্রচার বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, এনবিআর, সিটিও ফোরাম ও সাধারণ গ্রাহকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে এনপিএসে কারিগরি সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। তবেই এটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।বৈঠকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীর, সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি, যুগ্ম সম্পাদক দেব দুলালসহ অনেকে। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বেসিসের সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর। বৈঠকে এনপিএস বিষয়ে কারিগরি উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিমাদ্রি শেখর। বক্তারা বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে এনপিএস। কারণ, একটি সুইচের মাধ্যমে সব ব্যাংকের লেনদেন হবে। আর গ্রাহক যখন জানতে পারবে এর তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, তখন নিশ্চয় এটি আরও গ্রহণযোগ্য ও নিরাপদ বলে মনে করবে। তবে এনপিএসের বিষয়টির সম্ভাবনা যাচাই করার আগে এ বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা হওয়া দরকার বলেও বৈঠকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। ই-কমার্স সপ্তাহের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে গত সোমবার ও মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী। আজ শুরু হচ্ছে স্টার্টআপ উইকেন্ড শীর্ষক আয়োজন। কাল শুক্রবার ও শনিবার বসুন্ধরা সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে আরেকটি ই-কমার্স প্রদর্শনী। শনিবার বিকেলে রবীন্দ্রসরোবরে রয়েছে বিশেষ ই-কমার্স কনসার্ট।—নিজস্ব প্রতিবেদক
No comments