কারখানার ঝুঁকি তদারকি সংস্থা নিজেই ঝুঁকিতে by আপেল মাহমুদ
শ্রম আইন সঠিকভাবে অনুসরণ করে কারখানা চলছে কি না, তা তদারকির জন্য একটি সরকারি সংস্থা রয়েছে। তার নাম 'কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর'। কিন্তু গার্মেন্ট শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা করা, তাদের জীবন ঝুঁকিমুক্ত রাখা কিংবা কারখানার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সংস্থা কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না।
মাত্র কয়েকজন পরিদর্শক দেশের শিল্প খাতের লাখ লাখ কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে তাঁদের পক্ষে কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সাভারের আশুলিয়া এলাকায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ গার্মেন্ট কারখানা থাকলেও এগুলোর তদারকির জন্য রয়েছেন মাত্র একজন পরিদর্শক। তিনি কোনটা রেখে কোনটা পরিদর্শন করবেন, সেটাই ঠিক করা মুশকিল হয়ে যায় তাঁর পক্ষে। এ ছাড়া প্রভাবশালী গার্মেন্ট-মালিকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাঁকেই খানিকটা ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। শুধু লোকবল সংকটই নয়, যে আইনের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গার্মেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই আইনও যথেষ্ট শক্ত নয়। কোনো গার্মেন্ট-মালিক যত অপরাধই করেন না কেন, তিনি মাত্র দুই থেকে চার হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যান। কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোনো মালিক শ্রম আইন অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে শ্রম আইনের ৩১৭ ধারায় মামলা করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি চার হাজার টাকা। অথচ কোনো গার্মেন্ট-মালিক পরিবেশ নষ্ট করলে পরিবেশ আদালত তাঁকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারেন।
একাধিক পরিদর্শক কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রম আইনে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন গ্রহণের সুস্পষ্ট নির্দেশ আছে। কিন্তু গার্মেন্ট কিংবা অন্যান্য শিল্প-কারখানার মালিকরা এ নিবন্ধন নেওয়ার খুব একটি প্রয়োজন বোধ করেন না। কারণ কোনো কারখানা যতই ঝুঁকিপূর্ণ থাকুক না কেন, তা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা পরিদপ্তরের নেই। শুধু তাঁরা শ্রম আদালতে একটি মামুলি মামলা দায়ের করতে পারেন। অপরাধ প্রমাণিত হলে আদালত তাদের নামমাত্র জরিমানা করতে পারেন। পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, মামলা করলেও তা পরিচালনার জন্য পরিদপ্তরের নিজস্ব কোনো আইনজীবী নেই। পরিদর্শকদেরই আদালতে আসামিদের সওয়াল জবাব করতে হয়। যার ফলে অভিযুক্তরা সহজেই খালাস পেয়ে যায়।
তা ছাড়া ওই পরিদপ্তর থেকে নেওয়া নিবন্ধন শিল্প-কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কোনো কাজে আসে না। যেমন কেউ কোনো শিল্প-কারখানা গড়ে তুললে তার জন্য অগ্নি, পরিবেশ ছাড়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর ও ব্যাংক সচ্ছলতার সনদসহ আরো অনেক আনুষঙ্গিক কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের সনদ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অনেকেই এ আইনের বাইরে থাকার সুযোগ নিচ্ছেন। কারণ পরিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে একটি কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিমুক্ত করতে হলে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। আর সে নির্দেশনা না মানলে মাত্র দুই থেকে চার হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কারখানা ও শিল্পমালিকরা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছেন। পণ্য আমদানি-রপ্তানি করছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকেই কারখানা কিংবা ব্যবসা ঝুঁকিমুক্ত কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হচ্ছেন না।
শ্রম আইনে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে তাঁদের ঝুঁকিমুক্ত কর্মস্থল, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা এমনকি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। গার্মেন্ট কারখানার ক্ষেত্রে প্রশস্ত ও বিকল্প সিঁড়ি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, উন্মুক্ত দরজা থাকা বাধ্যতামূলক। এসব তদারকি করার জন্য পরিদর্শকরা যেকোনো সময় পরিদর্শন করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু যাতায়াতের জন্য তাঁদের কোনো পরিবহন নেই। লোকাল বাসে চড়ে তাঁদের কারখানায় যেতে হয়। এ কারণে সঠিকভাবে শিল্প-কারখানা কিংবা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করা যায় না বলে জানান পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম।
ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চলে ১৭টি জেলায় কয়েক লাখ ছোট-বড় কারখানা, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা পরিদর্শনের জন্য রয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন পরিদর্শক। একবার একটি কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলে সেটা আবার পরিদর্শন করতে হলেও কয়েক বছর সময় পার হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপ্রধান পরিদর্শক মোহাম্মদ আনিসুল হক জানান, তাঁর অধীনে পরিদর্শক রয়েছেন মোট ১১ জন, যদিও পরিদর্শকের পদ রয়েছে ২২টি। তাঁদের শুধু গার্মেন্ট শিল্প নয়, বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণিবিতান, কল-কারখানা এবং প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হয়। তা ছাড়া তাঁদের বিভিন্ন মামলার বাদী কিংবা সাক্ষী হিসেবে শ্রম আদালতে সময় দিতে হয়।
গার্মেন্ট শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেশির ভাগ গার্মেন্ট ও কারখানা পরিদর্শনের বাইরে রয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, মাঝেমধ্যে পরিদর্শকরা কারখানায় গেলেও খোশ গল্প করে কিছু নজরানা নিয়ে চলে যান। কেউ কেউ গার্মেন্ট-মালিকদের নামি-দামি ব্র্যান্ডের পোশাক উপহার পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। একাধিক গার্মেন্ট কারখানার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারখানা পরিদর্শকদের খুশি রাখার জন্য নগদ নজরানা দিতে হয়। এ সম্পর্কে পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, অভিযোগটি ঢালাওভাবে করা ঠিক নয়। তবে সবাই যে ধোয়া তুলসী পাতা, তাও নয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নামকাওয়াস্তে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের কার্যক্রম চলছে। তবে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে যে তদন্ত কমিটি হয়, তাতে এই পরিদপ্তরকে সংশ্লিষ্ট রাখা হয়। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, কত টাকা ক্ষতি হলো কিংবা কত প্রাণহানি হলো, সেই হিসাব-নিকাশ করেই তাঁরা দায়িত্ব শেষ করেন। পরিদপ্তরের উপপ্রধান পরিদর্শক দাবি করেন, সীমিত লোকবল ও ক্ষমতা দিয়ে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন। পরিদপ্তরের অন্যতম দায়িত্ব হলো, শ্রমিকদের অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া। কোনো শ্রমিক শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষের কাছ থেকে ন্যায্য বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পেলে তিনি অভিযোগ করার অধিকার রাখেন। পরিদর্শকরা সেই অভিযোগ তদন্ত করে সমাধান করবেন। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের নজির নেই বলে পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পক্ষেই যায় বলে সাধারণত শ্রমিকরা অভিযোগ করা থেকে নিরুৎসাহিত হন। কয়েকজন শ্রমিক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, পরিদপ্তরটি মূলত মালিকপক্ষই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
একাধিক পরিদর্শক কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রম আইনে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন গ্রহণের সুস্পষ্ট নির্দেশ আছে। কিন্তু গার্মেন্ট কিংবা অন্যান্য শিল্প-কারখানার মালিকরা এ নিবন্ধন নেওয়ার খুব একটি প্রয়োজন বোধ করেন না। কারণ কোনো কারখানা যতই ঝুঁকিপূর্ণ থাকুক না কেন, তা বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা পরিদপ্তরের নেই। শুধু তাঁরা শ্রম আদালতে একটি মামুলি মামলা দায়ের করতে পারেন। অপরাধ প্রমাণিত হলে আদালত তাদের নামমাত্র জরিমানা করতে পারেন। পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, মামলা করলেও তা পরিচালনার জন্য পরিদপ্তরের নিজস্ব কোনো আইনজীবী নেই। পরিদর্শকদেরই আদালতে আসামিদের সওয়াল জবাব করতে হয়। যার ফলে অভিযুক্তরা সহজেই খালাস পেয়ে যায়।
তা ছাড়া ওই পরিদপ্তর থেকে নেওয়া নিবন্ধন শিল্প-কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কোনো কাজে আসে না। যেমন কেউ কোনো শিল্প-কারখানা গড়ে তুললে তার জন্য অগ্নি, পরিবেশ ছাড়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর ও ব্যাংক সচ্ছলতার সনদসহ আরো অনেক আনুষঙ্গিক কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের সনদ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অনেকেই এ আইনের বাইরে থাকার সুযোগ নিচ্ছেন। কারণ পরিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে একটি কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিমুক্ত করতে হলে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। আর সে নির্দেশনা না মানলে মাত্র দুই থেকে চার হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কারখানা ও শিল্পমালিকরা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছেন। পণ্য আমদানি-রপ্তানি করছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকেই কারখানা কিংবা ব্যবসা ঝুঁকিমুক্ত কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হচ্ছেন না।
শ্রম আইনে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে তাঁদের ঝুঁকিমুক্ত কর্মস্থল, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা এমনকি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। গার্মেন্ট কারখানার ক্ষেত্রে প্রশস্ত ও বিকল্প সিঁড়ি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, উন্মুক্ত দরজা থাকা বাধ্যতামূলক। এসব তদারকি করার জন্য পরিদর্শকরা যেকোনো সময় পরিদর্শন করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু যাতায়াতের জন্য তাঁদের কোনো পরিবহন নেই। লোকাল বাসে চড়ে তাঁদের কারখানায় যেতে হয়। এ কারণে সঠিকভাবে শিল্প-কারখানা কিংবা গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করা যায় না বলে জানান পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম।
ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চলে ১৭টি জেলায় কয়েক লাখ ছোট-বড় কারখানা, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান থাকলেও তা পরিদর্শনের জন্য রয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন পরিদর্শক। একবার একটি কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলে সেটা আবার পরিদর্শন করতে হলেও কয়েক বছর সময় পার হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপপ্রধান পরিদর্শক মোহাম্মদ আনিসুল হক জানান, তাঁর অধীনে পরিদর্শক রয়েছেন মোট ১১ জন, যদিও পরিদর্শকের পদ রয়েছে ২২টি। তাঁদের শুধু গার্মেন্ট শিল্প নয়, বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণিবিতান, কল-কারখানা এবং প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হয়। তা ছাড়া তাঁদের বিভিন্ন মামলার বাদী কিংবা সাক্ষী হিসেবে শ্রম আদালতে সময় দিতে হয়।
গার্মেন্ট শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেশির ভাগ গার্মেন্ট ও কারখানা পরিদর্শনের বাইরে রয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, মাঝেমধ্যে পরিদর্শকরা কারখানায় গেলেও খোশ গল্প করে কিছু নজরানা নিয়ে চলে যান। কেউ কেউ গার্মেন্ট-মালিকদের নামি-দামি ব্র্যান্ডের পোশাক উপহার পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। একাধিক গার্মেন্ট কারখানার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারখানা পরিদর্শকদের খুশি রাখার জন্য নগদ নজরানা দিতে হয়। এ সম্পর্কে পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, অভিযোগটি ঢালাওভাবে করা ঠিক নয়। তবে সবাই যে ধোয়া তুলসী পাতা, তাও নয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নামকাওয়াস্তে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের কার্যক্রম চলছে। তবে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে যে তদন্ত কমিটি হয়, তাতে এই পরিদপ্তরকে সংশ্লিষ্ট রাখা হয়। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, কত টাকা ক্ষতি হলো কিংবা কত প্রাণহানি হলো, সেই হিসাব-নিকাশ করেই তাঁরা দায়িত্ব শেষ করেন। পরিদপ্তরের উপপ্রধান পরিদর্শক দাবি করেন, সীমিত লোকবল ও ক্ষমতা দিয়ে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন। পরিদপ্তরের অন্যতম দায়িত্ব হলো, শ্রমিকদের অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া। কোনো শ্রমিক শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষের কাছ থেকে ন্যায্য বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না পেলে তিনি অভিযোগ করার অধিকার রাখেন। পরিদর্শকরা সেই অভিযোগ তদন্ত করে সমাধান করবেন। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের নজির নেই বলে পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন কারখানা কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের পক্ষেই যায় বলে সাধারণত শ্রমিকরা অভিযোগ করা থেকে নিরুৎসাহিত হন। কয়েকজন শ্রমিক নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, পরিদপ্তরটি মূলত মালিকপক্ষই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
No comments