বন্ধুর বন্ধু যখন আপন ভাই
গত জুনের কথা। ১২ বছর বয়সী আইজাক পিটার নলটিং ওয়াশিংটনের মিশোরি এলাকার একটি সুইমিংপুলে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। সেই আড্ডায় প্রথম দেখা বন্ধুর বন্ধু ১৩ বছর বয়সী ডাকোটা জিমারের সঙ্গে। দুজন পাশাপাশি দাঁড়াতেই বন্ধুরা হতবাক।
গড়নে এত মিল কিভাবে সম্ভব! একজন তো বলেই বসল, তোরা আপন ভাই না তো?
কথা এগোতে থাকে। জিমার কথায় কথায় জানায়, তার আসলে একটি ভাই ছিল। ডন নামের একজন দত্তক মায়ের কাছে আছে সেই ভাই। কোনো দিনই তাকে জিমার দেখেনি। 'আমার মায়ের নামও তো ডন', জানায় নলটিং। সঙ্গে সে যোগ করে, ডন তার গর্ভধারিণী মা।
সে দিন রাতের কথা। নলটিং মায়ের সঙ্গে খাবার টেবিলে। জিমারের কথা সে মাথা থেকে তাড়াতেই পারছে না। দুজনের চেহারায় আসলেই এত মিল! নলটিং মায়ের চোখে চোখ রাখে। হালকাভাবে প্রশ্ন করে, 'মা, আমি তোমার দত্তক ছেলে না তো?' ডন বিস্মিত। 'তোর মাথায় এমন চিন্তা ঢুকল কিভাবে?'_জানতে চান তিনি। নলটিং দুপুরের ঘটনাটি সবিস্তার খুলে বলে। ডন একপর্যায়ে যা জানালেন তা শোনার জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিল না নলটিং। সে আসলেই ডনের গর্ভজাত সন্তান নয়। ডন জানায়, নলটিং তখন সবে ৯ দিনের নবজাতক। ডন তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন নলটিংদের বাসায়। আগের বাচ্চাটির বয়স বছর না পেরোতেই চলে এসেছে নলটিং। দুই সন্তান নিয়ে মায়ের তখন বিচ্ছিরি দশা! দেখে মায়া হয় ডনের। তিনি ৯ দিনের বাচ্চাটিকে নিয়ে আসেন। সেই থেকে নলটিং তাঁর কাছেই আছে।
টুডে মমস ওয়েবসাইট দুই সহোদরের মিলনের চাঞ্চল্যকর এ খবরটি দিয়ে বলেছে, ৪২ বছর বয়সী ডন একটি লন্ড্রির ব্যবস্থাপক। তিনি স্বজনের সঙ্গে তো বটেই, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও পরামর্শ করেছেন কিভাবে নলটিংকে সত্যি কথাটি বলা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেটি দুঃখ পাবে ভেবে বলতে পারেননি। কিন্তু নলটিং নিজেই যখন সেই সত্যের মুখোমুখি হয়েছে, ডন সব কিছু স্বীকার করে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
টুডে মমস জানায়, ২০০৭ সালে নলটিংয়ের সত্যিকারের মা-বাবা ২০০৭ সালে মারা গেছেন। তার ভাই জিমার ও বোন অ্যাশলে থাকে নানির সঙ্গে। নানির কাছে ভাইয়ের অনেক গল্পই শুনেছে জিমার ও অ্যাশলে। কিন্তু দেখার সুযোগ হয়নি। সে দিনের রাতের ঘটনার পর ডন ফোন করেন নলটিংয়ের নানিকে। নলটিংয়ের মা সর্বশেষ যখন ছেলেকে দেখতে আসেন তখন নলটিংয়ের নানিও সঙ্গে ছিলেন। আর এই ফোনের সূত্র ধরে দুই ভাই ও এক বোন ফিরে পায় পরস্পরকে। যদিও তাদের মা-বাবা সুখের এ মুহূর্তটিকে আর দেখে যেতে পারেননি।
কথা এগোতে থাকে। জিমার কথায় কথায় জানায়, তার আসলে একটি ভাই ছিল। ডন নামের একজন দত্তক মায়ের কাছে আছে সেই ভাই। কোনো দিনই তাকে জিমার দেখেনি। 'আমার মায়ের নামও তো ডন', জানায় নলটিং। সঙ্গে সে যোগ করে, ডন তার গর্ভধারিণী মা।
সে দিন রাতের কথা। নলটিং মায়ের সঙ্গে খাবার টেবিলে। জিমারের কথা সে মাথা থেকে তাড়াতেই পারছে না। দুজনের চেহারায় আসলেই এত মিল! নলটিং মায়ের চোখে চোখ রাখে। হালকাভাবে প্রশ্ন করে, 'মা, আমি তোমার দত্তক ছেলে না তো?' ডন বিস্মিত। 'তোর মাথায় এমন চিন্তা ঢুকল কিভাবে?'_জানতে চান তিনি। নলটিং দুপুরের ঘটনাটি সবিস্তার খুলে বলে। ডন একপর্যায়ে যা জানালেন তা শোনার জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিল না নলটিং। সে আসলেই ডনের গর্ভজাত সন্তান নয়। ডন জানায়, নলটিং তখন সবে ৯ দিনের নবজাতক। ডন তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন নলটিংদের বাসায়। আগের বাচ্চাটির বয়স বছর না পেরোতেই চলে এসেছে নলটিং। দুই সন্তান নিয়ে মায়ের তখন বিচ্ছিরি দশা! দেখে মায়া হয় ডনের। তিনি ৯ দিনের বাচ্চাটিকে নিয়ে আসেন। সেই থেকে নলটিং তাঁর কাছেই আছে।
টুডে মমস ওয়েবসাইট দুই সহোদরের মিলনের চাঞ্চল্যকর এ খবরটি দিয়ে বলেছে, ৪২ বছর বয়সী ডন একটি লন্ড্রির ব্যবস্থাপক। তিনি স্বজনের সঙ্গে তো বটেই, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও পরামর্শ করেছেন কিভাবে নলটিংকে সত্যি কথাটি বলা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেটি দুঃখ পাবে ভেবে বলতে পারেননি। কিন্তু নলটিং নিজেই যখন সেই সত্যের মুখোমুখি হয়েছে, ডন সব কিছু স্বীকার করে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
টুডে মমস জানায়, ২০০৭ সালে নলটিংয়ের সত্যিকারের মা-বাবা ২০০৭ সালে মারা গেছেন। তার ভাই জিমার ও বোন অ্যাশলে থাকে নানির সঙ্গে। নানির কাছে ভাইয়ের অনেক গল্পই শুনেছে জিমার ও অ্যাশলে। কিন্তু দেখার সুযোগ হয়নি। সে দিনের রাতের ঘটনার পর ডন ফোন করেন নলটিংয়ের নানিকে। নলটিংয়ের মা সর্বশেষ যখন ছেলেকে দেখতে আসেন তখন নলটিংয়ের নানিও সঙ্গে ছিলেন। আর এই ফোনের সূত্র ধরে দুই ভাই ও এক বোন ফিরে পায় পরস্পরকে। যদিও তাদের মা-বাবা সুখের এ মুহূর্তটিকে আর দেখে যেতে পারেননি।
No comments