শিল্পীর ভুবন- সমাজ প্রতীতির শিল্পায়ন by সিলভিয়া নাজনীন
কোনো জাতির বিকাশ ও প্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সেই জনগোষ্ঠীর মনোভঙ্গি, মূল্যবোধ, রুচি, শিল্পবোধ, ধর্মবিশ্বাস প্রভৃতির পাশাপাশি শিকড়ের সন্ধান প্রয়োজন। বাঙালির সংস্কৃতি এতটাই সমৃদ্ধ যে অন্য কোথাও থেকে কোনো অনুকরণের প্রয়োজন নেই।
‘আমাদের সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স থাকাও ভীষণভাবে প্রয়োজন, সব সময় হীনম্মন্যতাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা,’ এভাবেই বলছিলেন এ সময়ের খ্যাতনামা সমাজসচেতন শিল্পী ও ব্যঙ্গচিত্র আঁকিয়ে শিশির ভট্টাচার্য্য। সাদা চিত্রপটে বলিষ্ঠ রেখা আর সীমিত রঙের ব্যবহার শিল্পী শিশিরকে স্বতন্ত্র প্রকাশভঙ্গিতে পরিচয় করিয়ে দেয়।
শিল্পের সঙ্গে মানুষের অবেগ-অনুভূতি-আকাঙ্ক্ষার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আধুনিক অনেক মতবাদ শিল্পী-শিল্পকর্ম ও দর্শকের মধ্যে দেয়াল তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টায় বহু তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু উত্তর আধুনিক সময়ে এসে এসব নৈরাজ্যবাদী তত্ত্ব-দেয়াল হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। শিল্প এখন মানুষের আনন্দ-বেদনা, আশা-হতাশা, বিদ্রূপ-বিষাদ, স্বপ্ন ও সাহসের সাবলীল প্রতিচ্ছবি। শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য উত্তর-আধুনিক সময়ের এমনই একজন মানবলগ্ন শিল্পের নিরবচ্ছিন্ন অনুরণন। শিল্পকে কীভাবে ক্যানভাসের দ্বিমাত্রিক জমিন থেকে উঠে এসে গণমানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হয়, শিশিরের শিল্পকর্ম তার যথাযথ উদাহরণ।
পত্রিকার পাতায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্যারিক্যাচারসমৃদ্ধ বক্তব্যধর্মী কার্টুন পাঠকদের সুপ্রভাত জানায় প্রায়ই। কার্টুন এ সময়ে শুধুই বিনোদন, না কোনো গভীরতর অর্থ বহন করে, এ প্রশ্নের উত্তরে শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক এবং সম্পাদকীয় কার্টুনের কথাই বলব; সেটা শুধুই বিনোদন পর্যায়ে যায়নি; আবার গভীর অর্থ সব সময় হয়তো থাকে না, তবে সেই চেষ্টা করা হয়ে থাকে। সুখবর হলো, এখন অনেকেই কার্টুন করছে আর বেশি কার্টুন হলেই ভালো করার একটা প্রবণতাও তৈরি হয়। হিউমার বা হাস্যরসসহ গভীর অর্থ বহন করে যে কার্টুন, সেটাই বলব ভালো কার্টুন।’
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার অখণ্ড নিঃসঙ্গ সবুজ পথ পেরিয়ে শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্যের শিল্পচর্চার একান্ত ভুবন। পরিশীলিত চিত্রতলকে কখনো সাদাসিধে সরল ড্রয়িং, অভিব্যক্তির অতিরঞ্জন আবার কখনো বা ফ্যান্টাসি—প্রচলিত শিল্পবিন্যাসকে ভেঙে নতুন রূপে উপস্থাপন করে। দীর্ঘ ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, শিল্পশিক্ষার একজন শিক্ষকের দায়িত্ব এবং গুরুত্ব অনেক বেশি। ‘আমি শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নই; এ দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় ভ্রান্তি আছে, শিক্ষকদেরও বিভ্রান্তি রয়েছে। পাশ্চাত্যের শিল্পীদের পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলের শিল্পীদের কম্পারেটিভ ওয়েতে যুক্তিসহ উপস্থাপন করে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।’ পাশ্চাত্যের শিল্পীদের প্রচার এবং উপস্থাপনের প্রবণতার মাত্রা সব সময়ই অধিক, কিন্তু এই চর্চা আমাদের অঞ্চলে ছিল না বললেই চলে। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, যদিও আমাদের পাঠ্যসূচি পুরোনো ধাঁচের। তাই সেভাবে এই অঞ্চলের শিল্পীদের সম্পর্কে ধারণা কম রয়েছে। কিন্তু এখন সময় হয়েছে আমাদের অঞ্চলের শিল্পীদের শিল্পকর্ম-শিল্পভাবনা নিজেদের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করার। এখানকার শিল্পীরা যথেষ্ট শক্তিশালী, শিল্পকর্ম নানা নিরীক্ষা-ভাবনায় সমৃদ্ধ। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিল্পচর্চায় তাদের জীবনবোধ—অর্থাৎ ‘কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার যে প্রবণতা, সেটা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হলে পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে এ দেশের শিল্পকলা হবে মানবিক, জাগতিক এবং জীবনের সত্য উপলব্ধির প্রকাশ।’
শিল্পী শিশির এ সময়ের তরুণ শিল্পীদের শিল্পচর্চার পাশ্চাত্যমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণাত্মক দিক গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মনে করেন। কারণ, সভ্যতার ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞান শিল্পকলাকে এগিয়ে নিয়েছে। আর বাণিজ্যিক ‘চটকদারি’ বর্জন করলে শিল্পচর্চায় আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।
শিল্পে আধুনিকতার বিষয়াদি নিয়ে আলাপচারিতায় বলেন, ‘স্থাপনাশিল্পের বিরোধী আমি নই। তবে নিজেকে প্রকাশের জন্য সেই স্থাপনা কতখানি যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখার বিষয়।’ শিশির মনে করেন, আমাদের দেশ স্থাপনাশিল্পে পরিপূর্ণ, এখনকার শিল্পীরা রি-মেইক করে এই বিষয়গুলোকে ধনিক জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরলে ব্যাপারটার একটা গুরুত্ব অবশ্যই হয়তো থাকে। (কারণ, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া না-দেওয়ার ওপরই সবকিছুর অর্থবহতা নির্ভরশীল)
একজন মানুষ কখন শিল্পী হয়ে ওঠেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভীষণ কঠিন প্রশ্ন! যিনি জীবনের, প্রকৃতির এবং তাবৎ সৃষ্টির বৈচিত্র্যকে অনুধাবন করে তাঁর মতো কোনো সত্যকে আবিষ্কার ও উপস্থাপন করেন এবং যা কিনা মানবতাবিরোধী নয়—তিনিই শিল্পী।’ একজন শিল্পীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, এত বৈচিত্র্য আমাদের চারপাশে অথচ একটি স্টাইলে আবদ্ধ হওয়া শিল্পীর আরাধ্য হতে পারে না। তবে ‘আমার শিল্পকর্ম আমাকে রিপ্রেজেন্ট করবে—তাই আমি যেমন তা আমার সেই শিল্পের মধ্যে আসবেই, এটা নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই।’
দেশ-জাতি-সমাজ ও শিল্প যেন শিশির ভট্টাচার্য্যের ক্যানভাসে এসে অর্কেস্ট্রায় ধ্বনিত হয়ে ওঠে। বিশ্বশিল্পের ইতিহাসে এমন সমাজমুখী শিল্পীদের আলাদাভাবে চেনা যায়। তার সুতীক্ষ রেখার ক্ষিপ্রতায় জেগে থাকে মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ।
শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য: জন্ম ১৯৬০ সালে ঠাকুরগাঁও জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে বিএফএ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৭ ভারতের এম এস বরোদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ক্রিয়েটিভ পেইন্টিংয়ে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
শিল্পের সঙ্গে মানুষের অবেগ-অনুভূতি-আকাঙ্ক্ষার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আধুনিক অনেক মতবাদ শিল্পী-শিল্পকর্ম ও দর্শকের মধ্যে দেয়াল তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টায় বহু তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু উত্তর আধুনিক সময়ে এসে এসব নৈরাজ্যবাদী তত্ত্ব-দেয়াল হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। শিল্প এখন মানুষের আনন্দ-বেদনা, আশা-হতাশা, বিদ্রূপ-বিষাদ, স্বপ্ন ও সাহসের সাবলীল প্রতিচ্ছবি। শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য উত্তর-আধুনিক সময়ের এমনই একজন মানবলগ্ন শিল্পের নিরবচ্ছিন্ন অনুরণন। শিল্পকে কীভাবে ক্যানভাসের দ্বিমাত্রিক জমিন থেকে উঠে এসে গণমানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হয়, শিশিরের শিল্পকর্ম তার যথাযথ উদাহরণ।
পত্রিকার পাতায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্যারিক্যাচারসমৃদ্ধ বক্তব্যধর্মী কার্টুন পাঠকদের সুপ্রভাত জানায় প্রায়ই। কার্টুন এ সময়ে শুধুই বিনোদন, না কোনো গভীরতর অর্থ বহন করে, এ প্রশ্নের উত্তরে শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক এবং সম্পাদকীয় কার্টুনের কথাই বলব; সেটা শুধুই বিনোদন পর্যায়ে যায়নি; আবার গভীর অর্থ সব সময় হয়তো থাকে না, তবে সেই চেষ্টা করা হয়ে থাকে। সুখবর হলো, এখন অনেকেই কার্টুন করছে আর বেশি কার্টুন হলেই ভালো করার একটা প্রবণতাও তৈরি হয়। হিউমার বা হাস্যরসসহ গভীর অর্থ বহন করে যে কার্টুন, সেটাই বলব ভালো কার্টুন।’
ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার অখণ্ড নিঃসঙ্গ সবুজ পথ পেরিয়ে শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্যের শিল্পচর্চার একান্ত ভুবন। পরিশীলিত চিত্রতলকে কখনো সাদাসিধে সরল ড্রয়িং, অভিব্যক্তির অতিরঞ্জন আবার কখনো বা ফ্যান্টাসি—প্রচলিত শিল্পবিন্যাসকে ভেঙে নতুন রূপে উপস্থাপন করে। দীর্ঘ ২৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, শিল্পশিক্ষার একজন শিক্ষকের দায়িত্ব এবং গুরুত্ব অনেক বেশি। ‘আমি শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নই; এ দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় ভ্রান্তি আছে, শিক্ষকদেরও বিভ্রান্তি রয়েছে। পাশ্চাত্যের শিল্পীদের পাশাপাশি আমাদের অঞ্চলের শিল্পীদের কম্পারেটিভ ওয়েতে যুক্তিসহ উপস্থাপন করে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।’ পাশ্চাত্যের শিল্পীদের প্রচার এবং উপস্থাপনের প্রবণতার মাত্রা সব সময়ই অধিক, কিন্তু এই চর্চা আমাদের অঞ্চলে ছিল না বললেই চলে। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, যদিও আমাদের পাঠ্যসূচি পুরোনো ধাঁচের। তাই সেভাবে এই অঞ্চলের শিল্পীদের সম্পর্কে ধারণা কম রয়েছে। কিন্তু এখন সময় হয়েছে আমাদের অঞ্চলের শিল্পীদের শিল্পকর্ম-শিল্পভাবনা নিজেদের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করার। এখানকার শিল্পীরা যথেষ্ট শক্তিশালী, শিল্পকর্ম নানা নিরীক্ষা-ভাবনায় সমৃদ্ধ। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিল্পচর্চায় তাদের জীবনবোধ—অর্থাৎ ‘কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার যে প্রবণতা, সেটা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হলে পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে এ দেশের শিল্পকলা হবে মানবিক, জাগতিক এবং জীবনের সত্য উপলব্ধির প্রকাশ।’
শিল্পী শিশির এ সময়ের তরুণ শিল্পীদের শিল্পচর্চার পাশ্চাত্যমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণাত্মক দিক গ্রহণ করা যেতে পারে বলে মনে করেন। কারণ, সভ্যতার ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞান শিল্পকলাকে এগিয়ে নিয়েছে। আর বাণিজ্যিক ‘চটকদারি’ বর্জন করলে শিল্পচর্চায় আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।
শিল্পে আধুনিকতার বিষয়াদি নিয়ে আলাপচারিতায় বলেন, ‘স্থাপনাশিল্পের বিরোধী আমি নই। তবে নিজেকে প্রকাশের জন্য সেই স্থাপনা কতখানি যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখার বিষয়।’ শিশির মনে করেন, আমাদের দেশ স্থাপনাশিল্পে পরিপূর্ণ, এখনকার শিল্পীরা রি-মেইক করে এই বিষয়গুলোকে ধনিক জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরলে ব্যাপারটার একটা গুরুত্ব অবশ্যই হয়তো থাকে। (কারণ, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া না-দেওয়ার ওপরই সবকিছুর অর্থবহতা নির্ভরশীল)
একজন মানুষ কখন শিল্পী হয়ে ওঠেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভীষণ কঠিন প্রশ্ন! যিনি জীবনের, প্রকৃতির এবং তাবৎ সৃষ্টির বৈচিত্র্যকে অনুধাবন করে তাঁর মতো কোনো সত্যকে আবিষ্কার ও উপস্থাপন করেন এবং যা কিনা মানবতাবিরোধী নয়—তিনিই শিল্পী।’ একজন শিল্পীর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শিশির ভট্টাচার্য্য বলেন, এত বৈচিত্র্য আমাদের চারপাশে অথচ একটি স্টাইলে আবদ্ধ হওয়া শিল্পীর আরাধ্য হতে পারে না। তবে ‘আমার শিল্পকর্ম আমাকে রিপ্রেজেন্ট করবে—তাই আমি যেমন তা আমার সেই শিল্পের মধ্যে আসবেই, এটা নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই।’
দেশ-জাতি-সমাজ ও শিল্প যেন শিশির ভট্টাচার্য্যের ক্যানভাসে এসে অর্কেস্ট্রায় ধ্বনিত হয়ে ওঠে। বিশ্বশিল্পের ইতিহাসে এমন সমাজমুখী শিল্পীদের আলাদাভাবে চেনা যায়। তার সুতীক্ষ রেখার ক্ষিপ্রতায় জেগে থাকে মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ।
শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য: জন্ম ১৯৬০ সালে ঠাকুরগাঁও জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে বিএফএ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৭ ভারতের এম এস বরোদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ক্রিয়েটিভ পেইন্টিংয়ে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং ও পেইন্টিং বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
No comments