অস্থির ও অনিশ্চিত অবস্থা থেকে মুক্তি দিন- দুই পক্ষকেই সংযত হতে হবে
টাঙ্গাইল আর ঢাকায় দুটি জনসভা হয়েছে গত বুধবার। একটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যটিতে বিরোধীদলীয় নেতা। রাজনীতিতে পরস্পরের সমালোচনা হবে, কথা দিয়ে পরস্পরকে ঘায়েল করাও স্বীকৃত পথ। নির্বাচনের সময় যেহেতু এগিয়ে আসছে, দুটি জনসভাতেই ছিল নির্বাচনী সুর।
কিন্তু নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে দুটি দলের অবস্থানের মধ্যে এখনো কোনো মতৈক্য না হওয়ায় জনগণ সত্যিই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। কারণ, এ নিয়ে সামনে যে আন্দোলনের কথা শোনা যাচ্ছে, তা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছেলেদের দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন, পাচার করা যে অর্থ দেশে ফেরত এনেছেন, তা জনকল্যাণে ব্যয়ের কথা বলেছেন, নিজের সরকারের নানা সাফল্যের কথা বলেছেন। ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে আরও কী কী করবেন, সেই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় জনসভায় এ ধরনের বক্তব্যই স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা যে বেড়ে চলছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সরকারি দলের পক্ষ থেকে যতই বলা হোক, যথাসময়ে ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, তাতে কিন্তু সংশয় কাটছে না। কারণ, নির্বাচন-পদ্ধতি নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের আপত্তি রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত মানুষের উদ্বেগ কাটবে না। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে সরকারের নানা কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দিলে ক্ষমতায় গিয়ে তিনি কী করবেন, সে ধরনের নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। জনগণের কাছে তিনি ‘আরেকবার সুযোগ’ চেয়েছেন।
এসব বক্তব্যের বাইরে তিনি জোর দিয়ে যা বলেছেন তা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানলে টানা হরতালের কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আমরা মাত্র ১৩ দিন করেছি।’ দাবি না মানলে তিনি সেভাবেই ‘লাগাতার হরতাল’ পর্যন্ত যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। জনসভায় এরই মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ৯ ডিসেম্বর রাজধানীসহ সব মহানগর ও পৌরসভায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামনে বেশ গরম হয়ে উঠতে পারে।
অতীতে এ ধরনের কর্মসূচির অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যা মীমাংসা করা যায়, তা আন্দোলনের নামে আদায় করতে গিয়ে এই দেশকে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের জনগণ ও অর্থনীতি। কোনো ইস্যুতেই আমরা ভবিষ্যতে কোনো হরতাল বা এ ধরনের দেশবিধ্বংসী কর্মসূচি দেখতে চাই না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমঝোতার পথ হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। সেটা না হয়ে সামনে কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতার পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় এই দুই পক্ষকেই নিতে হবে। আমরা আশা করব, দুই পক্ষই এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছেলেদের দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন, পাচার করা যে অর্থ দেশে ফেরত এনেছেন, তা জনকল্যাণে ব্যয়ের কথা বলেছেন, নিজের সরকারের নানা সাফল্যের কথা বলেছেন। ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে আরও কী কী করবেন, সেই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় জনসভায় এ ধরনের বক্তব্যই স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা যে বেড়ে চলছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সরকারি দলের পক্ষ থেকে যতই বলা হোক, যথাসময়ে ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, তাতে কিন্তু সংশয় কাটছে না। কারণ, নির্বাচন-পদ্ধতি নিয়ে প্রধান বিরোধী দলের আপত্তি রয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত মানুষের উদ্বেগ কাটবে না। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে সরকারের নানা কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন। আগামী নির্বাচনে ভোট দিলে ক্ষমতায় গিয়ে তিনি কী করবেন, সে ধরনের নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। জনগণের কাছে তিনি ‘আরেকবার সুযোগ’ চেয়েছেন।
এসব বক্তব্যের বাইরে তিনি জোর দিয়ে যা বলেছেন তা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানলে টানা হরতালের কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আমরা মাত্র ১৩ দিন করেছি।’ দাবি না মানলে তিনি সেভাবেই ‘লাগাতার হরতাল’ পর্যন্ত যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। জনসভায় এরই মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ৯ ডিসেম্বর রাজধানীসহ সব মহানগর ও পৌরসভায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামনে বেশ গরম হয়ে উঠতে পারে।
অতীতে এ ধরনের কর্মসূচির অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যা মীমাংসা করা যায়, তা আন্দোলনের নামে আদায় করতে গিয়ে এই দেশকে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের জনগণ ও অর্থনীতি। কোনো ইস্যুতেই আমরা ভবিষ্যতে কোনো হরতাল বা এ ধরনের দেশবিধ্বংসী কর্মসূচি দেখতে চাই না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমঝোতার পথ হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। সেটা না হয়ে সামনে কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতার পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় এই দুই পক্ষকেই নিতে হবে। আমরা আশা করব, দুই পক্ষই এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।
No comments