এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি by মোশাররফ বাবলু
আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের পথে হাঁটছে দলটি। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল, সেই রকম আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি মেনে নিয়ে সরকার সংলাপে বসার প্রস্তাব দিলে বিএনপি কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবে। তা না হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধ দিয়ে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে। বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রধান বিরোধী দলের ওই নেতারা জানান, জরুরি অবস্থা কিংবা কারফিউ জারি করলেও তাঁদের আন্দোলন থামবে না। ৯ ডিসেম্বর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বড় ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে।
জানা যায়, বুধবারের সমাবেশ থেকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়ন করার কৌশল ঠিক করছে ১৮ দলীয় জোট। কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিএনপি ও জোটের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ফিরে এসেছে বলে বিএনপি নেতারা জানান। খালেদা জিয়া বলেছেন, ছিয়ানব্বইতে আওয়ামী লীগ যেভাবে আন্দোলন করেছে, আওয়ামী লীগের সে পথ ধরেই বিএনপি এগোবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই। সরকার দাবি মেনে নিয়ে যদি সংলাপের প্রস্তাব দেয়, সেই প্রস্তাব আমরা বিবেচনা করব।' কঠোর আন্দোলনের বিষয়ে শরিক দল জামায়াতের কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখানে চাপ বলতে কিছু নেই। জামায়াতে ইসলামী মাত্র একটা দল, আমাদের সঙ্গে আছে ১৮ দলীয় জোট। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দাবি আদায়ে বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীরা সব সময় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে, তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আন্দোলন থেকে পিছু হটার কোনো উপায় নেই।'
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এখন এক দফার আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে সরকার ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে বাধা দিয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এই খেলা বন্ধ না করলে সরকারের পরিণতি ভালো হবে না।
জানা গেছে, বুধবারের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা সফল করতে আটঘাট বেঁধে নামছে বিএনপি। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন বিষয়টি বিবেচনা করার আভাস দিয়েছিলেন বলে জামায়াতের এক নেতা জানান। বুধবারের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া ঠিকই কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ৯ ডিসেম্বর সারা দেশের থানা, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও রাজপথ অবরোধের ডাক দেওয়ায় অনেকের সন্দেহ জামায়াতের চাপে বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে।
বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। এক দফা আন্দোলন শুরু হলে বিএনপিকে গুরুত্ব দেবে সরকার। তাঁরা বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে আন্দোলন করেছিল, হরতালের পর হরতাল দিয়েছিল, ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সেই একইভাবে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসন সেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
প্রধান বিরোধী দলের ওই নেতারা জানান, জরুরি অবস্থা কিংবা কারফিউ জারি করলেও তাঁদের আন্দোলন থামবে না। ৯ ডিসেম্বর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বড় ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে।
জানা যায়, বুধবারের সমাবেশ থেকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়ন করার কৌশল ঠিক করছে ১৮ দলীয় জোট। কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করায় বিএনপি ও জোটের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ফিরে এসেছে বলে বিএনপি নেতারা জানান। খালেদা জিয়া বলেছেন, ছিয়ানব্বইতে আওয়ামী লীগ যেভাবে আন্দোলন করেছে, আওয়ামী লীগের সে পথ ধরেই বিএনপি এগোবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই। সরকার দাবি মেনে নিয়ে যদি সংলাপের প্রস্তাব দেয়, সেই প্রস্তাব আমরা বিবেচনা করব।' কঠোর আন্দোলনের বিষয়ে শরিক দল জামায়াতের কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখানে চাপ বলতে কিছু নেই। জামায়াতে ইসলামী মাত্র একটা দল, আমাদের সঙ্গে আছে ১৮ দলীয় জোট। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দাবি আদায়ে বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীরা সব সময় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে, তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আন্দোলন থেকে পিছু হটার কোনো উপায় নেই।'
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এখন এক দফার আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে সরকার ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে বাধা দিয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এই খেলা বন্ধ না করলে সরকারের পরিণতি ভালো হবে না।
জানা গেছে, বুধবারের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা সফল করতে আটঘাট বেঁধে নামছে বিএনপি। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার আহ্বান জানান। বিএনপির চেয়ারপারসন বিষয়টি বিবেচনা করার আভাস দিয়েছিলেন বলে জামায়াতের এক নেতা জানান। বুধবারের সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া ঠিকই কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন। মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ৯ ডিসেম্বর সারা দেশের থানা, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও রাজপথ অবরোধের ডাক দেওয়ায় অনেকের সন্দেহ জামায়াতের চাপে বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে।
বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। এক দফা আন্দোলন শুরু হলে বিএনপিকে গুরুত্ব দেবে সরকার। তাঁরা বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে আন্দোলন করেছিল, হরতালের পর হরতাল দিয়েছিল, ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সেই একইভাবে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসন সেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
No comments