সিসিমপুর: টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে -শিকুর স্বাগতম যন্ত্র
শিকু তার ঘরে কাচের বাক্সের ভেতর একটা পুতুল নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। তার মন খুব খারাপ। এমন সময় ইকরি এসে বলল, ‘কী হয়েছে, শিকু?’
শিকু বলল, ‘একটা যন্ত্র বানালাম। সেটা কিছুতেই কাজ করছে না, ইকরি।’
শিকু বলল, ‘একটা যন্ত্র বানালাম। সেটা কিছুতেই কাজ করছে না, ইকরি।’
ইকরি বলল, ‘ও তাই। এটা কী যন্ত্র, শিকু?’
শিকু বলল, ‘এই যে কাচের বাক্সটা দেখছ, এর ভেতরে একটা পুতুল আছে।’ শিকু লাল সুইচ দেখিয়ে বলল, ‘আমি সুইচটা চাপ দিলে বাক্সের ভেতর থেকে পুতুলটা বের হয়ে আসবে আর স্বাগতম...স্বাগতম...বলবে। কিন্তু কী যে হলো, কিছুতেই জিনিসটা কাজ করছে না। আমার খুব মন খারাপ, ইকরি...’
ইকরিও মন খারাপ করে বলল, ‘ইকরিরও খুব কষ্ট হচ্ছে। কান্না পাচ্ছে।’ ইকরি কাঁদতে লাগল।
শিকু বলল, ‘এই ইকরি, শোনো, তুমি কাঁদছ কেন?’
ইকরি বলল, ‘হবে না? শিকুর মন খারাপ, তাই ইকরিরও মন খারাপ। শিকু ইকরির বন্ধু।’
ইকরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করল। ইকরির কান্না দেখে শিকুর আরও মন খারাপ হলো। সে ইকরিকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘এই ইকরি, কেঁদো না। মন খারাপ কোরো না। স্বাগতম যন্ত্রটা নিশ্চয়ই ঠিক হবে।’
ইকরি যন্ত্রটার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কী যে হলো!’ সে সুইচগুলো নাড়াচাড়া করা শুরু করল। হঠাৎ ইকরির হাত একটা সুইচে গিয়ে পড়তেই ঘড়ঘড় শব্দ করে যন্ত্রটি চালু হয়ে গেল। ইকরি চমকে উঠল।
সবাই অবাক হলো। শিকুও খুশি। চিৎকার করে বলল, ‘ঠিক হয়ে গেছে। যন্ত্রটি কাজ করা শুরু করেছে।’
ততক্ষণে কাচের বাক্স থেকে দরজা খুলে পুতুলটা বের হয়ে এল। মাথা নেড়ে পুতুলটা বলতে শুরু করল, ‘স্বাগতম! স্বাগতম!’
শিকু খুশিতে হাসতে লাগল। সে ইকরিকে ধন্যবাদ জানাল। ইকরি বলল, ‘দারুণ যন্ত্র তো, শিকু! কী সুন্দর “স্বাগতম স্বাগতম” বলে ডাকছে!’
শিকু গর্বের সঙ্গে বলল, ‘হুম্! এটা আমার আবিষ্কার!’
শিকু বলল, ‘এই যে কাচের বাক্সটা দেখছ, এর ভেতরে একটা পুতুল আছে।’ শিকু লাল সুইচ দেখিয়ে বলল, ‘আমি সুইচটা চাপ দিলে বাক্সের ভেতর থেকে পুতুলটা বের হয়ে আসবে আর স্বাগতম...স্বাগতম...বলবে। কিন্তু কী যে হলো, কিছুতেই জিনিসটা কাজ করছে না। আমার খুব মন খারাপ, ইকরি...’
ইকরিও মন খারাপ করে বলল, ‘ইকরিরও খুব কষ্ট হচ্ছে। কান্না পাচ্ছে।’ ইকরি কাঁদতে লাগল।
শিকু বলল, ‘এই ইকরি, শোনো, তুমি কাঁদছ কেন?’
ইকরি বলল, ‘হবে না? শিকুর মন খারাপ, তাই ইকরিরও মন খারাপ। শিকু ইকরির বন্ধু।’
ইকরি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করল। ইকরির কান্না দেখে শিকুর আরও মন খারাপ হলো। সে ইকরিকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘এই ইকরি, কেঁদো না। মন খারাপ কোরো না। স্বাগতম যন্ত্রটা নিশ্চয়ই ঠিক হবে।’
ইকরি যন্ত্রটার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কী যে হলো!’ সে সুইচগুলো নাড়াচাড়া করা শুরু করল। হঠাৎ ইকরির হাত একটা সুইচে গিয়ে পড়তেই ঘড়ঘড় শব্দ করে যন্ত্রটি চালু হয়ে গেল। ইকরি চমকে উঠল।
সবাই অবাক হলো। শিকুও খুশি। চিৎকার করে বলল, ‘ঠিক হয়ে গেছে। যন্ত্রটি কাজ করা শুরু করেছে।’
ততক্ষণে কাচের বাক্স থেকে দরজা খুলে পুতুলটা বের হয়ে এল। মাথা নেড়ে পুতুলটা বলতে শুরু করল, ‘স্বাগতম! স্বাগতম!’
শিকু খুশিতে হাসতে লাগল। সে ইকরিকে ধন্যবাদ জানাল। ইকরি বলল, ‘দারুণ যন্ত্র তো, শিকু! কী সুন্দর “স্বাগতম স্বাগতম” বলে ডাকছে!’
শিকু গর্বের সঙ্গে বলল, ‘হুম্! এটা আমার আবিষ্কার!’
No comments