সরেজমিন : আশুলিয়া-মা-বাবার লাশ খুঁজছে শিশুরা by জয়নাল আবেদীন
ছোট্ট রিপার জন্য একটা লাশ দরকার! যে কারো লাশ হলেই চলবে। মাকে কবরে শুইয়ে গ্রাম ছেড়ে আসার আগে দাদিকে কথা দিয়ে এসেছে, যে করেই হোক বাবার লাশ নিয়ে ফিরবে সে। কিন্তু তাজরীন ফ্যাশনসের পোড়া ভবনে বাবার লাশ কি আর আছে? পুড়ে অঙ্গার হওয়া লাশগুলোর সঙ্গে হয়তো রিপার বাবারও লাশ ছিল। ঠাঁই হয়েছে জুরাইনের কবরস্থানে, অজ্ঞাতপরিচয়ে।
রিপার মতো এমন অসংখ্য শিশুর ভিড় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে। কেউ মা, কেউ বাবার খোঁজে অন্তহীন প্রতীক্ষায়। তারা এসেছে স্বজনদের কোলে চড়ে। দূর থেকে শুনেছে, বাবা বা মা পুড়ে মারা গেছেন। কিন্তু লাশ পাওয়া যাবে না, এ যেন তারা বিশ্বাস করতে পারছে না। শিশুদের নির্বাক ফ্যালফ্যাল দৃষ্টি, মা-বাবাকে খুঁজে ফেরার ব্যাকুলতা তাই হাহাকার হয়ে ভাসছিল নিশ্চিন্তপুরের বাতাসে।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রাম থেকে বড় চাচার সঙ্গে এসেছে রিক্তা খাতুন রিপা। তাজরীন ফ্যাশনসের পঞ্চম তলায় বাবা হাবিবুর রহমান এবং চতুর্থ তলায় কাজ করতেন মা আনোয়ারা বেগম। দুর্ঘটনার দিন আগুনের উত্তাপ ডিঙিয়ে নিচে নেমেও এসেছিলেন হাবিবুর। নেমেই মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। রিপা তার মায়ের খবর জানতে চাইলে হাবিবুর জ্বলন্ত ভবনেই উঠে যান স্ত্রীকে খুঁজতে। পরে রিপার মায়ের অর্ধদগ্ধ লাশ পেলেও তার বাবার আর খোঁজ মেলেনি।
এ প্রতিনিধিকে রিপা বলে, 'আমার দাদি পাগল হয়ে গেছে। দাদিকে বলে এসেছি, যে করেই হোক বাবার লাশ নিয়ে যাব। নইলে দাদিকে বাঁচানো যাবে না।' পোড়া ভবনের সামনে দাঁড়ানো মেয়েটি ভবনের দিকে হাত উঁচিয়ে বলে, 'আমার মন বলছে, বাবার লাশ এখানেই আছে। যদি এখানে না পাওয়া যায়, তাহলে আমাকে যে কারো একটি লাশের ব্যবস্থা করে দিন। একটি লাশ পেলেই দাদিকে বোঝাতে পারতাম।'
গ্রামের লতিফপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে রিপা। মা-বাবা দুজনকে হারালেও মনোবল হারায়নি আট বছরের মেয়েটি। বড় চাচা হাফিজুর রহমানকে নিয়ে চলে আসে ঢাকায়। সে তার দাদি হালিমার কথাই বলছিল বারবার। দাদা মোশারফ হোসেনও ছেলের শোকে কাতর।
দেড় বছরের শিশু মাসুমকে কোলে নিয়ে কারখানার এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল জব্বার। হাতে স্ত্রী মাহফুজা বেগমের স্কুলবেলার ছবি। মাহফুজা চতুর্থ তলায় সিউইং অপারেটরের কাজ করতেন। কুড়িগ্রামের বুড়িঙ্গামারী থানার বাঘভাণ্ডার ইউনিয়নের সোনাতলী গ্রাম থেকে এসেছেন জব্বার। কিন্তু কোথায় তাঁর স্ত্রীর লাশ? জব্বারের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনের কোলেও ১১ মাসের শিশু মিজান। সাদ্দামের স্ত্রী মিতু বেগমের লাশ পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি পাননি।
৯ বছরের নাসরিন আর চার বছরের নাদিরাকে নিয়ে এসেছেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিন। স্ত্রী জাহেদা বেগম নিখোঁজ রয়েছেন। লোকমুখে তিনি শুনেছেন, পোড়া ভবনের ভেতরে নাকি আরো লাশ আছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধ্যাপুর ইউনিয়নের খুপিবাড়ী থেকে দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে এসেছেন সাহেব আলী। সাড়ে ছয় বছরের সিয়ামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন এসেছ? তার উত্তর, 'মাকে দেখতে।' সিয়ামের ছোট ভাই সাড়ে চার বছরের সায়েমও সঙ্গে আছে। শিশু দুটির চোখ পোড়া ভবনে খুঁজে ফিরে মায়ের লাশ।
অগ্নিকাণ্ডের পর রবিবার সারা রাত মর্গে কাটিয়েছেন সাতক্ষীরার মিলন গাজী। কিন্তু মা রাসেদা খাতুনের লাশ খুঁজে পাননি। রাসেদা পঞ্চম তলায় বয়ার কাজ করতেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কালীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রাম থেকে রবিবার দুপুরের আগেই নিশ্চিন্তপুরে পৌঁছান মিলন। লাশের সারিতে অনেক খুঁজেছেন মাকে। এখনো অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু কেউ তাঁর মায়ের সন্ধান দিতে পারছে না। ক্ষতিপূরণ এবং শেষ পর্যন্ত মায়ের লাশ না পেলে মায়ের নভেম্বরের বেতনের হাজার তিনেক টাকা নিয়ে চোখের জলে ধরতে হবে গ্রামের পথ।
আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ায় বাম চোখ, মুখের কিছু অংশ এবং পিঠে আঘাত পান নাজমুল হোসেন। স্ত্রী রুমি আক্তার বেঁচে থাকলেও হারিয়েছেন শ্যালিকা (স্ত্রীর ছোট বোন) কাকলিকে। মামুনের চোখে-মুখে ব্যান্ডেজ বাঁধা। কেউ তাঁর খবর নিচ্ছে না অভিযোগ করে নাজমুল জানান, বাম চোখে ঝাপসা দেখছেন। কিন্তু ব্যথা সহ্য হয় না। কোনো রকমে ঘর থেকে ছুটে এসেছেন মালিকপক্ষের কারো খোঁজে।
বেঁচে আছে শিশুরা : তাজরীন ফ্যাশনসের নারী শ্রমিকদের বাচ্চাদের রাখার জন্য একটি ডে-কেয়ার সেন্টার আছে। দ্বিতীয় তলায় মেডিক্যাল সেন্টারের পাশেই রয়েছে কেন্দ্রটি। দুর্ঘটনার অল্প আগেও সেখানে ১৫-২০টি শিশু অবস্থান করছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এসব শিশুর মায়েদের বাধ্যতামূলক ছুটি হয়ে যায় যথারীতি বিকেল ৫টায়। আর অতিরিক্ত সময় কাজ করতে চাইলে শিশুকে রেখে আসতে হয় বাসায়। আর এ সুবাদেই সেদিন ডে-কেয়ারের সব শিশু ও তাদের মায়েরা বেঁচে যান।
তৃতীয় তলায় সিউইং অপারেটরের কাজ করতেন খাদিজা আক্তার। তিনি বলেন, 'আমার দেড় বছরের ছেলে সোহানকে প্রতিদিনই সঙ্গে নিয়ে যেতাম এবং ডে-কেয়ারে রাখতাম। দুর্ঘটনার দিনও ওই কক্ষে ১৪-১৫টি শিশু ছিল। আমার সঙ্গে অন্যরাও শিশুদের নিয়ে বিকেল ৫টায় বেরিয়ে যায়।'
পরিচয়পত্র পুড়ে যাওয়ায় : কারখানার প্রধান ফটকের পাশে সীমানা প্রাচীরে তাজরীন ফ্যাশনস একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছে। তাতে লেখা, কারখানার শ্রমিকদের নভেম্বর মাসের বেতন আগামী ১ ডিসেম্বর দেওয়া হবে। বুধবার দুপুরে মাইকে প্রচার করা হয়, তাজরীন ফ্যাশনসের যেসব শ্রমিক বেঁচে আছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ জন্য শ্রমিকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিন্তপুর রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ওই মাঠে গেলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী কারখানায় ঢোকার পরই কর্তৃপক্ষকে পরিচয়পত্র দিয়ে দিতে হয়। সন্ধ্যায় কারখানা ছুটি হলে তা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার যখন দাউ দাউ করে আগুন লাগে, তখন প্রাণ নিয়ে কোনোমতে ফিরে আসা সম্ভব হয়েছে। পরিচয়পত্র নিয়ে আসার অবস্থা ওই সময় ছিল না।
সিউইং অপারেটর লিমা আক্তার, মোমেনা আক্তার, সুমি, নাসরিন সুলতানা ও ছকিনা বলেন, 'যাদের পরিচয়পত্র রয়েছে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেই। আমরা কি এক মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হব?'
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রাম থেকে বড় চাচার সঙ্গে এসেছে রিক্তা খাতুন রিপা। তাজরীন ফ্যাশনসের পঞ্চম তলায় বাবা হাবিবুর রহমান এবং চতুর্থ তলায় কাজ করতেন মা আনোয়ারা বেগম। দুর্ঘটনার দিন আগুনের উত্তাপ ডিঙিয়ে নিচে নেমেও এসেছিলেন হাবিবুর। নেমেই মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। রিপা তার মায়ের খবর জানতে চাইলে হাবিবুর জ্বলন্ত ভবনেই উঠে যান স্ত্রীকে খুঁজতে। পরে রিপার মায়ের অর্ধদগ্ধ লাশ পেলেও তার বাবার আর খোঁজ মেলেনি।
এ প্রতিনিধিকে রিপা বলে, 'আমার দাদি পাগল হয়ে গেছে। দাদিকে বলে এসেছি, যে করেই হোক বাবার লাশ নিয়ে যাব। নইলে দাদিকে বাঁচানো যাবে না।' পোড়া ভবনের সামনে দাঁড়ানো মেয়েটি ভবনের দিকে হাত উঁচিয়ে বলে, 'আমার মন বলছে, বাবার লাশ এখানেই আছে। যদি এখানে না পাওয়া যায়, তাহলে আমাকে যে কারো একটি লাশের ব্যবস্থা করে দিন। একটি লাশ পেলেই দাদিকে বোঝাতে পারতাম।'
গ্রামের লতিফপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে রিপা। মা-বাবা দুজনকে হারালেও মনোবল হারায়নি আট বছরের মেয়েটি। বড় চাচা হাফিজুর রহমানকে নিয়ে চলে আসে ঢাকায়। সে তার দাদি হালিমার কথাই বলছিল বারবার। দাদা মোশারফ হোসেনও ছেলের শোকে কাতর।
দেড় বছরের শিশু মাসুমকে কোলে নিয়ে কারখানার এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবদুল জব্বার। হাতে স্ত্রী মাহফুজা বেগমের স্কুলবেলার ছবি। মাহফুজা চতুর্থ তলায় সিউইং অপারেটরের কাজ করতেন। কুড়িগ্রামের বুড়িঙ্গামারী থানার বাঘভাণ্ডার ইউনিয়নের সোনাতলী গ্রাম থেকে এসেছেন জব্বার। কিন্তু কোথায় তাঁর স্ত্রীর লাশ? জব্বারের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনের কোলেও ১১ মাসের শিশু মিজান। সাদ্দামের স্ত্রী মিতু বেগমের লাশ পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি পাননি।
৯ বছরের নাসরিন আর চার বছরের নাদিরাকে নিয়ে এসেছেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিন। স্ত্রী জাহেদা বেগম নিখোঁজ রয়েছেন। লোকমুখে তিনি শুনেছেন, পোড়া ভবনের ভেতরে নাকি আরো লাশ আছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধ্যাপুর ইউনিয়নের খুপিবাড়ী থেকে দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে এসেছেন সাহেব আলী। সাড়ে ছয় বছরের সিয়ামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন এসেছ? তার উত্তর, 'মাকে দেখতে।' সিয়ামের ছোট ভাই সাড়ে চার বছরের সায়েমও সঙ্গে আছে। শিশু দুটির চোখ পোড়া ভবনে খুঁজে ফিরে মায়ের লাশ।
অগ্নিকাণ্ডের পর রবিবার সারা রাত মর্গে কাটিয়েছেন সাতক্ষীরার মিলন গাজী। কিন্তু মা রাসেদা খাতুনের লাশ খুঁজে পাননি। রাসেদা পঞ্চম তলায় বয়ার কাজ করতেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কালীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রাম থেকে রবিবার দুপুরের আগেই নিশ্চিন্তপুরে পৌঁছান মিলন। লাশের সারিতে অনেক খুঁজেছেন মাকে। এখনো অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু কেউ তাঁর মায়ের সন্ধান দিতে পারছে না। ক্ষতিপূরণ এবং শেষ পর্যন্ত মায়ের লাশ না পেলে মায়ের নভেম্বরের বেতনের হাজার তিনেক টাকা নিয়ে চোখের জলে ধরতে হবে গ্রামের পথ।
আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ায় বাম চোখ, মুখের কিছু অংশ এবং পিঠে আঘাত পান নাজমুল হোসেন। স্ত্রী রুমি আক্তার বেঁচে থাকলেও হারিয়েছেন শ্যালিকা (স্ত্রীর ছোট বোন) কাকলিকে। মামুনের চোখে-মুখে ব্যান্ডেজ বাঁধা। কেউ তাঁর খবর নিচ্ছে না অভিযোগ করে নাজমুল জানান, বাম চোখে ঝাপসা দেখছেন। কিন্তু ব্যথা সহ্য হয় না। কোনো রকমে ঘর থেকে ছুটে এসেছেন মালিকপক্ষের কারো খোঁজে।
বেঁচে আছে শিশুরা : তাজরীন ফ্যাশনসের নারী শ্রমিকদের বাচ্চাদের রাখার জন্য একটি ডে-কেয়ার সেন্টার আছে। দ্বিতীয় তলায় মেডিক্যাল সেন্টারের পাশেই রয়েছে কেন্দ্রটি। দুর্ঘটনার অল্প আগেও সেখানে ১৫-২০টি শিশু অবস্থান করছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এসব শিশুর মায়েদের বাধ্যতামূলক ছুটি হয়ে যায় যথারীতি বিকেল ৫টায়। আর অতিরিক্ত সময় কাজ করতে চাইলে শিশুকে রেখে আসতে হয় বাসায়। আর এ সুবাদেই সেদিন ডে-কেয়ারের সব শিশু ও তাদের মায়েরা বেঁচে যান।
তৃতীয় তলায় সিউইং অপারেটরের কাজ করতেন খাদিজা আক্তার। তিনি বলেন, 'আমার দেড় বছরের ছেলে সোহানকে প্রতিদিনই সঙ্গে নিয়ে যেতাম এবং ডে-কেয়ারে রাখতাম। দুর্ঘটনার দিনও ওই কক্ষে ১৪-১৫টি শিশু ছিল। আমার সঙ্গে অন্যরাও শিশুদের নিয়ে বিকেল ৫টায় বেরিয়ে যায়।'
পরিচয়পত্র পুড়ে যাওয়ায় : কারখানার প্রধান ফটকের পাশে সীমানা প্রাচীরে তাজরীন ফ্যাশনস একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছে। তাতে লেখা, কারখানার শ্রমিকদের নভেম্বর মাসের বেতন আগামী ১ ডিসেম্বর দেওয়া হবে। বুধবার দুপুরে মাইকে প্রচার করা হয়, তাজরীন ফ্যাশনসের যেসব শ্রমিক বেঁচে আছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ জন্য শ্রমিকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিন্তপুর রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ওই মাঠে গেলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী কারখানায় ঢোকার পরই কর্তৃপক্ষকে পরিচয়পত্র দিয়ে দিতে হয়। সন্ধ্যায় কারখানা ছুটি হলে তা ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার যখন দাউ দাউ করে আগুন লাগে, তখন প্রাণ নিয়ে কোনোমতে ফিরে আসা সম্ভব হয়েছে। পরিচয়পত্র নিয়ে আসার অবস্থা ওই সময় ছিল না।
সিউইং অপারেটর লিমা আক্তার, মোমেনা আক্তার, সুমি, নাসরিন সুলতানা ও ছকিনা বলেন, 'যাদের পরিচয়পত্র রয়েছে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেই। আমরা কি এক মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হব?'
No comments