নতুন চমক: গুগল ফাইবার by সাজিদুল হক
নো লোডিং। নো বাফারিং। প্লে টিপলেই অনলাইনে চলবে ভিডিও। ক্লিকে ক্লিকে মুহূর্তেই নামানো যাবে গিগাবাইট আকারের ছবি। আর ইন্টারনেট! আপনার মনেই হবে না আপনি অনলাইনে বসে আছেন। বইয়ের পাতা ওল্টাতেও যেন এর চেয়ে বেশি সময় লাগে।
কারণ ইন্টারনেটের গতিই যে প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবাইট।
আমাদের কাছে একেবারে কল্পনার জগতের মতোই ব্যাপারস্যাপার। কিন্তু এই অকল্পনীয় ব্যাপারকে সম্ভব করেছে গুগলের গিগাবাইট ইন্টারনেট-সেবা গুগল ফাইবার। তবে এই মুহূর্তে এই সেবা পাওয়া যাচ্ছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস নগরে।
বিশ্বের নামকরা ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রেই। অথচ সেই যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়েই আছে। আর তাই আমেরিকানদের এই দুর্নাম কিছুটা ঘোচাতেই এগিয়ে এসেছে গুগল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেটের গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ মেগাবাইট, সেখানে গুগল ফাইবার ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড ও আপলোড উভয় ক্ষেত্রেই পাবেন প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট গতি। যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেটের গড় গতির চেয়ে যা ১০০ গুণ বেশি আর বাংলাদেশের হিসাবে তা হাজার গুণ বেশি। গুগল মনে করে, ভার্চুয়াল জগতে এমন কেউ নেই, যার অনলাইনে একটি ভিডিও চালিয়ে মিনিটের পর মিনিট অপেক্ষা করতে ভালো লাগে।
এ ছাড়া এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেসব সাইট দ্রুত গতির ইন্টারনেট ছাড়া দেখা সম্ভব হয় না।তাই উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবায় গুগল নতুন যুগের সূচনা করেছে গুগল ফাইবারের মাধ্যমে।
গুগল ফাইবারের গ্রাহকেরা এই সেবার মাধ্যমে একই সঙ্গে ইন্টারনেট ও কেব্ল টিভি ব্যবহার করতে পারবেন। টিভিতে যদি গুগল ফাইবার যুক্ত থাকে, তবে আপনাকে অন্য কোনো কেব্ল কোম্পানিকে মাসে মাসে টাকা দিতে হবে না। কেননা, গুগল ফাইবারের সঙ্গে ইতিমধ্যে শতাধিক কেব্ল চ্যানেল যুক্ত হয়ে গেছে। আরও নতুন চ্যানেল যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। টিভির অনুষ্ঠান রেকর্ড করে রাখার সুবিধাও থাকছে এই সেবায়। রেকর্ড করার জন্য গ্রাহকদের বিনা মূল্যে দেওয়া হবে ২ টেরাবাইট ধারণক্ষমতার স্টোরেজ বক্স। একই সঙ্গে আটটি অনুষ্ঠান রেকর্ড করার ব্যবস্থা রয়েছে এতে।
এ তো গেল টিভি দেখার কথা। গিগাবাইট গতির ইন্টারনেটের আসল জাদু দেখে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিত চমকে উঠবেন অনলাইন ব্যাকআপ এবং মুভি, ভিডিও বা বড় সাইজের ফাইল আপলোড ডাউনলোড বা শেয়ার করার সময়। ক্লাউডে তথ্য রাখার সুবিধা হিসেবে ব্যবহারকারীদের গুগল ড্রাইভে ১ টেরাবাইট জায়গা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। এ ছাড়া অনলাইনে শিক্ষা, ত্রিমাত্রিক ছবির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা, কেব্ল ও টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক হালনাগাদ ইত্যাদি কাজ আরও দ্রুত এবং উন্নত হবে এর মাধ্যমে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যানসাসে গুগলের এই সেবা চালু হয়েছে। এই ব্রডব্যান্ড-সেবা দেওয়ার জন্য নিজ উদ্যোগেই গুগল ফাইবার অপটিক কেব্ল বসিয়েছে ক্যানসাসে। এ জন্য ক্যানসাসকে অনেকগুলো অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, যাদের নাম দেওয়া হয়েছে ফাইবারহুডস। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ ফাইবারহুডস যুক্ত হয়েছে গুগল ফাইবারের সঙ্গে। ক্যানসাস নগরের বিদ্যালয়, গ্রন্থাগার এবং হাসপাতালগুলোকেও এই সেবায় আনা হবে। ২০১৩ সালের মধ্যে আশপাশের শহরগুলোকেও এই সেবার আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরও চাইছে গুগলের এই সেবা। সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে শত শত গ্রুপ গুগলকে তাদের শহরে এই সংযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে প্রতিনিয়ত। জানাবেই বা না কেন, এটি শুধু টিভি নয়, এটি শুধু ইন্টারনেটও নয়, এটি যে গুগল ফাইবার!
আমাদের কাছে একেবারে কল্পনার জগতের মতোই ব্যাপারস্যাপার। কিন্তু এই অকল্পনীয় ব্যাপারকে সম্ভব করেছে গুগলের গিগাবাইট ইন্টারনেট-সেবা গুগল ফাইবার। তবে এই মুহূর্তে এই সেবা পাওয়া যাচ্ছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস নগরে।
বিশ্বের নামকরা ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রেই। অথচ সেই যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়েই আছে। আর তাই আমেরিকানদের এই দুর্নাম কিছুটা ঘোচাতেই এগিয়ে এসেছে গুগল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেটের গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ মেগাবাইট, সেখানে গুগল ফাইবার ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড ও আপলোড উভয় ক্ষেত্রেই পাবেন প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবাইট গতি। যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেটের গড় গতির চেয়ে যা ১০০ গুণ বেশি আর বাংলাদেশের হিসাবে তা হাজার গুণ বেশি। গুগল মনে করে, ভার্চুয়াল জগতে এমন কেউ নেই, যার অনলাইনে একটি ভিডিও চালিয়ে মিনিটের পর মিনিট অপেক্ষা করতে ভালো লাগে।
এ ছাড়া এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেসব সাইট দ্রুত গতির ইন্টারনেট ছাড়া দেখা সম্ভব হয় না।তাই উচ্চগতির ইন্টারনেট-সেবায় গুগল নতুন যুগের সূচনা করেছে গুগল ফাইবারের মাধ্যমে।
গুগল ফাইবারের গ্রাহকেরা এই সেবার মাধ্যমে একই সঙ্গে ইন্টারনেট ও কেব্ল টিভি ব্যবহার করতে পারবেন। টিভিতে যদি গুগল ফাইবার যুক্ত থাকে, তবে আপনাকে অন্য কোনো কেব্ল কোম্পানিকে মাসে মাসে টাকা দিতে হবে না। কেননা, গুগল ফাইবারের সঙ্গে ইতিমধ্যে শতাধিক কেব্ল চ্যানেল যুক্ত হয়ে গেছে। আরও নতুন চ্যানেল যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। টিভির অনুষ্ঠান রেকর্ড করে রাখার সুবিধাও থাকছে এই সেবায়। রেকর্ড করার জন্য গ্রাহকদের বিনা মূল্যে দেওয়া হবে ২ টেরাবাইট ধারণক্ষমতার স্টোরেজ বক্স। একই সঙ্গে আটটি অনুষ্ঠান রেকর্ড করার ব্যবস্থা রয়েছে এতে।
এ তো গেল টিভি দেখার কথা। গিগাবাইট গতির ইন্টারনেটের আসল জাদু দেখে ব্যবহারকারীরা নিশ্চিত চমকে উঠবেন অনলাইন ব্যাকআপ এবং মুভি, ভিডিও বা বড় সাইজের ফাইল আপলোড ডাউনলোড বা শেয়ার করার সময়। ক্লাউডে তথ্য রাখার সুবিধা হিসেবে ব্যবহারকারীদের গুগল ড্রাইভে ১ টেরাবাইট জায়গা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। এ ছাড়া অনলাইনে শিক্ষা, ত্রিমাত্রিক ছবির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা, কেব্ল ও টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক হালনাগাদ ইত্যাদি কাজ আরও দ্রুত এবং উন্নত হবে এর মাধ্যমে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যানসাসে গুগলের এই সেবা চালু হয়েছে। এই ব্রডব্যান্ড-সেবা দেওয়ার জন্য নিজ উদ্যোগেই গুগল ফাইবার অপটিক কেব্ল বসিয়েছে ক্যানসাসে। এ জন্য ক্যানসাসকে অনেকগুলো অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, যাদের নাম দেওয়া হয়েছে ফাইবারহুডস। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ ফাইবারহুডস যুক্ত হয়েছে গুগল ফাইবারের সঙ্গে। ক্যানসাস নগরের বিদ্যালয়, গ্রন্থাগার এবং হাসপাতালগুলোকেও এই সেবায় আনা হবে। ২০১৩ সালের মধ্যে আশপাশের শহরগুলোকেও এই সেবার আওতায় আনার চিন্তাভাবনা করছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরও চাইছে গুগলের এই সেবা। সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে শত শত গ্রুপ গুগলকে তাদের শহরে এই সংযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে প্রতিনিয়ত। জানাবেই বা না কেন, এটি শুধু টিভি নয়, এটি শুধু ইন্টারনেটও নয়, এটি যে গুগল ফাইবার!
No comments